রিচার্ড রামিরেজ | |
---|---|
ব্যক্তির তথ্য | |
জন্মের নাম | রিকার্ডো লেয়ভা মুনোজ রামিরেজ |
নামেও পরিচিত |
|
জন্ম | ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ এল পাসো, টেক্সাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ৭ জুন ২০১৩ গ্রিনব্রায়, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যুর কারণ | বি-সেল লিম্ফোমা |
দোষপ্রমাণ |
|
শাস্তি | মৃত্যুদণ্ড |
স্বামী বা স্ত্রী | ডোরিন লিওয় |
হত্যাকাণ্ড | |
শিকারের সংখ্যা | ১৪ |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
রাজ্য | ক্যালিফোর্নিয়া |
ধরার তারিখ | ৩১ আগস্ট ১৯৮৫ |
রিকার্ডো লেয়ভা মুনোজ রামিরেজ, সংক্ষেপে রিচার্ড রামিরেজ (২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ – ৭ জুন ২০১৩), ছিলেন একজন মার্কিন সিরিয়াল খুনি, ধর্ষক, ডাকাত এবং শয়তানের উপাসক। ১৯৮৪ সালের জুন থেকে ১৯৮৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত তার বহুল আলোচিত অপরাধসমূহ লস অ্যাঞ্জেলস ও সান ফ্রান্সিসকোর অধিবাসীদের আতঙ্কিত করে রেখেছিল। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে রিচার্ড রামিরেজকে গণমাধ্যম "নাইট স্টকার" নাম দিয়েছিল। রামিরেজ হ্যান্ডগান, ছুরি ও হাতুড়িসহ বিভিন্ন হাতিয়ার ব্যবহার করতেন। তিনি শয়তানের উপাসক ছিলেন এবং কখনোই তার অপরাধসমূহের জন্য অনুতাপ করেন নি। রামিরেজকে তার অপরাধসমূহের জন্য ১৩টি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়[১]। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কারাগারে থাকাকালে রামিরেজ বি-সেল লিম্ফোমাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৮৫ সালের ১৪ মে রামিরেজ মন্টেরে পার্কে ৬৬ বছর বয়স্ক বিল ডোইয়ের বাড়িতে প্রবেশ করেন[২]। রামিরেজ আচমকা বিল ডোইয়ের শোবার ঘরে প্রবেশ করেন এবং বিল তার নিজের হ্যান্ডগান খোঁজার চেষ্টা করলে একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল দিয়ে বিলের মুখমণ্ডলে গুলি করেন[৩]। এরপর তিনি মারাত্মকভাবে আহত বিলকে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে বিলের স্ত্রী ৫৬ বছর বয়স্ক লিলিয়ান ডোইয়ের ঘরে প্রবেশ করেন। রামিরেজ লিলিয়ানকে বেঁধে রেখে বাড়িজুড়ে মূল্যবান সামগ্রীর খোঁজ করেন এবং এরপর লিলিয়ানকে ধর্ষণ করেন[৪]। বিল ডোই পরবর্তীকালে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন[৫]।
১৯৮৫ সালের ৩০ মে রামিরেজ বারব্যাঙ্কে ৪২ বছর বয়স্ক ক্যারল কিলে নামক এক নারীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেন[৬]। বন্দুকের নলের মুখে তিনি ক্যারল ও তার ১১ বছর বয়সী ছেলেকে বেঁধে রেখেন এবং মূল্যবান সামগ্রীর খোঁজে বাড়ি তল্লাশি করেন[৭]। এরপর তিনি ক্যারলকে বারবার পায়ুসঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন[৮]। এরপর রামিরেজ বাড়িটি থেকে পালিয়ে যান[৯]।
১৯৮৫ সালের ২০ জুলাই ভোর ৪টার দিকে রামিরেজ লস অ্যাঞ্জেলসের সান ভ্যালিতে কোভানান্থ পরিবারের বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেন[১০]। তিনি একটি হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি করে ঘুমন্ত চাইনারোং কোভানান্থকে হত্যা করেন[১১]। এরপর রামিরেজ চাইনারোঙের স্ত্রী সোমকিদ কোভানান্থকে তাদের ৮ বছর বয়সী ছেলের সামনেই বারবার ধর্ষণ করেন, মারধোর করেন এবং পায়ুসঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। এরপর রামিরেজ ছেলেটিকে বেঁধে রেখে সোমকিদকে টেনে-হিঁচড়ে সঙ্গে নিয়ে মূল্যবান সামগ্রীর খোঁজে পুরো বাড়ি তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেন[১২]।
১৯৮৫ সালের ৮ আগস্ট রাত আড়াইটার পরে রামিরেজ ক্যালিফোর্নিয়ার ডায়মন্ড বারে ৩১ বছর বয়স্ক ইলিয়াস অ্যাবোওয়াথের বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেন[১৩]। তিনি বাড়িটির প্রধান শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ইলিয়াসকে একটি হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন[১৪]। তিনি ইলিয়াসের ২৭ বছর বয়সী স্ত্রী সাকিনা অ্যাবোওয়াথকে বেঁধে রেখে মারধোর করেন এবং তাদের গহনাপত্র বের করে দিতে বাধ্য করেন। এরপর রামিরেজ সাকিনাকে নিষ্ঠুরভাবে ধর্ষণ করেন এবং জোরপূর্বক সাকিনার সঙ্গে পায়ুসঙ্গমে লিপ্ত হন[১৫][১৬]। এক পর্যায়ে ইলিয়াস ও সাকিনার তিন বছর বয়সী ছেলে শোবার ঘরটিতে প্রবেশ করলে রামিরেজ শিশুটিকে বেঁধে রেখে সাকিনাকে ধর্ষণ করতে থাকেন[১৭]। রামিরেজ চলে যাওয়ার পর সাকিনা তার ছেলেকে মুক্ত করেন এবং সাহায্য চাওয়ার জন্য প্রতিবেশীদের কাছে পাঠান[১৮]।