ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম |
হরিয়ানা, ভারত | ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৫৮ মি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | হাফব্যাক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬– | ভারত | ২৪০ | (১৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদক রেকর্ড
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তথ্যছক সর্বশেষ আপডেট: ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৭ |
রিতু রানি (জন্ম ২৯শে ডিসেম্বর ১৯৯১) হলেন একজন ভারতীয় ফিল্ড হকি খেলোয়াড় এবং জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি হাফব্যাক হিসেবে খেলেন।[১] অনেক বার, পদক জয়ের ক্ষেত্রে রিতু ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিশেষত ২০১৪ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জেতা। এছাড়াও তাঁর অধিনায়কত্বে দলটি ২০১৪-১৫ মহিলা এফআইএইচ হকি ওয়ার্ল্ড লিগ সেমিফাইনালে পঞ্চম হয়ে ৩৬ বছর পরে অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে।[২]
রিতু ১৯৯১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর হরিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হরিয়ানার শাহাবাদ মারকান্দায় শ্রী গুরু নানক দেব সিনিয়র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত করেন।[৩] তিনি ৯ বছর বয়সে হকিতে অংশগ্রহণ করেন এবং শাহবাদ মার্কন্দায় অবস্থিত শাহবাদ হকি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন।[৪] রিতু ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় রেলওয়েতে নিযুক্ত ছিলেন, এরপর তিনি হরিয়ানা পুলিশে যোগদান করেন।[৫]
২০০৬ সালে দোহায় এশিয়ান গেমসে সিনিয়র দলে রিতুর অভিষেক হয়। মাদ্রিদে ২০০৬ বিশ্বকাপ খেলা ভারতীয় দলের একজন সদস্য ছিলেন তিনি। সেই সময়ে, ১৪ বছর বয়সে, তিনি ছিলেন দলের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য। রাশিয়ার কাজানে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস চ্যালেঞ্জ ২য়ে, ভারত টুর্নামেন্ট জিতেছিল, রিতু আটটি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে শেষ করেছিলেন।[৪] তিনি ২০১১ সালে দলের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বে, দলটি কুয়ালালামপুরে ২০১৩ এশিয়া কাপ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইন্ছনে ২০১৪ এশিয়ান গেমসে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল।[৬]
২০১৫ সালের গ্রীষ্মে ভারতে ২০১৪-১৫ মহিলা এফআইএইচ হকি ওয়ার্ল্ড লিগের রাউন্ড ২-এর আয়োজন হয়েছিল। সেই সময় রিতুর নেতৃত্বে ভারতীয় দল শীর্ষস্থানে থেকে পরবর্তী পর্যায়ের যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এছাড়াও তিনি আন্টভের্পে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড লিগের সেমিফাইনালে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং দলটি শ্রেণিবিভাগের ম্যাচে (মহিলা এবং পুরুষদের হকিতে পঞ্চম থেকে অষ্টম পর্যন্ত স্থান নির্ধারণের জন্য যে কোনো খেলাই শ্রেণিবিভাগের খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়) উচ্চ মর্যাদাক্রমের জাপানকে পরাজিত করে পঞ্চম স্থানে শেষ করেছিল।[৭] ভারতীয় মহিলা জাতীয় ফিল্ড হকি দল এইভাবে ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে।[৮][৯] ১৯৮০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর তাঁর নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ভারতীয় দল এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিল।[৮][১০]
২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের বিষয়ে রিতু বলেছেন:
আমি ১০ বছর ধরে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন দেখছি। এই দলের নেতৃত্ব দেওয়া একটি গর্বের বিষয়। এই মেয়েদের মধ্যে অনেকেই জুনিয়র বিশ্বকাপে (পদক) জিতেছে। শীর্ষস্থানীয় দলের বিরুদ্ধে খেলা আমাদের শিখিয়েছে রিওতে কী আশা করা যায়। এমনকি আমাদের সিনিয়ররাও অর্জন করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ২০১২ সালে চূড়ান্ত পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গিয়েছিল। তবে এই দলটি বিশেষ।[১১]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
টেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০০৬ এশিয়ান গেমসটেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০০৯ এশিয়া কাপটেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০১৩ এশিয়া কাপটেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০১৪ এশিয়ান গেমস