ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রিভালদো ভিতর বোরবা ফেরেইরা | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৯ এপ্রিল ১৯৭২ | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | রিসিফে, ব্রাজিল | |||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৭ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের আক্রমনকারী / ফরোয়ার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯-১৯৯০ | পাওলিস্তানো | |||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯২ | সান্তা ক্রুজ | |||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯২ | সান্তা ক্রুজ | ৯ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২-১৯৯৩ | মোগি মিরিম | ০ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-১৯৯৪ | → করিন্থিয়ানস (ধারে) | ৮ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪-১৯৯৬ | পালমেইরাস | ৩০ | (১৪) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬-১৯৯৭ | দেপোর্তিবো লা করুনিয়া | ৪১ | (২১) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭-২০০২ | বার্সেলোনা | ১৫৭ | (৮৬) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০২-২০০৪ | মিলান | ২২ | (৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ | → ক্রুইজেরু (ধারে) | ০ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০০৭ | অলিম্পিয়াকোস | ৭০ | (৩৬) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭-২০০৮ | এইকে এথেন্স | ৩৫ | (১২) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | বুনিয়োদকোর | ৫৩ | (৩৩) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | সাও পাওলো | ৩০ | (৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | কাবুস্কর্প | ২১ | (১১) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | সাও কেটানো | ৭ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-২০১৫ | মোগি মিরিম | ৮ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
মোট | ৪৮১ | (২২৭) | ||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯৩ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ | ১৩ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪-১৯৯৬ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ | ৮ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-২০০৩ | ব্রাজিল | ৭৪ | (৩৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
রিভালদো ভিতর বোরবা ফেরেইরা (জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৭২), রিভালদো নামে পরিচিত (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ʁiˈvawdu]), সাবেক ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার। তিনি প্রধানত একজন আক্রমণকারী মধ্যমাঠের খেলোয়াড় কিন্তু দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলতেন। যদিও তিনি প্রধানত বাম পায়ে খেলতেন তবে অন্য পায়েও খেলার ক্ষমতা ছিল এবং প্রয়োজনে পার্শ্বীয় মধ্যমাঠ (ইংরেজিতে ওয়াইড মিডফিল্ডার) বা উইঙ্গার হিসেবেও খেলতেন।[১][২]
তিনি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় পাঁচ বছর খেলেন, সেখানে তিনি প্যাট্রিক ক্লুইভার্টের সাথে সফল জুটি গড়ে তুলেন এবং ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে স্প্যানিশ লা লিগা চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৯৯৮ কোপা দেল রে জয় করেন। বার্সেলোনার হয়ে ১৩০ গোল করে তিনি ক্লাবের নবম সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন দখল করে আছেন।[৩] জুন ২০০১ সালে ভালেনসিয়ার বিপক্ষে তার করা গোল তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সেলোনাকে যোগ্যতা অর্জন করিয়েছিল, যার শেষ গোলটি করেছিলেন খেলার শেষ মিনিটে ২০-গজ দূরত্ব থেকে বাই-সাইকেল কিকে, এই হ্যাট্রিকটি প্রায়শই শ্রেষ্ঠ হ্যাটট্রিকগুলোর একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।[১][৪][৫]
১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রিভালদো ব্রাজিলের হয়ে ৭৪ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৩৫ টি গোল করেছেন; তিনি ব্রাজিলের সর্বকালের সপ্তম সর্বোচ্চ গোলদাতা।[৬] তিনি ব্রাজিলকে ১৯৯৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালেে উঠতে সহায়তা করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন এবং তিনি প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ জয়ি দলটিতে রোনালদো এবং রোনালদিনহোর পাশাপাশি রিভালদোও তারকা ছিলেন। তিনি ১৯৯৮ ও ২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপের অল-স্টার দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
তিনি তার প্রজন্মের সবচেয়ে দক্ষ ও সৃজনশীল খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ছিলেন, রিভালদো তার বাঁকানো ফ্রি কিক, বাই সাইকেল কিক, দূর থেকে প্রচন্ড শক্তিতে বলে শট নেওয়ার ক্ষমতা, এবং গোল করা ও করানোর সক্ষমতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।[১][২] তিনি ১৯৯৯ সালে বেলন ডি'অর এবং ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার জিতেন।[৭] ২০০৪ সালে ব্রাজিলিয়ান গ্রেট পেলে কর্তৃক প্রণীত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত খেলোয়াড়দের তালিকা ফিফা ১০০ তে তার নাম ছিল।[৮] ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মিউজিয়াম হল অফ ফেম-এ তার নাম আছে। ২০১৪ সালের মার্চে রিভালদো পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণের ঘোষণা দেন,[৯] তবে ২০১৫ সালের জুন থেকে তিনি মোগি মিরিম-এর হয়ে খেলেছেন।[১০] ১৪ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে তিনি ঘোষণা করেন যে তার প্রত্যাবর্তনকাল শেষ এবং তিনি আবার অবসর গ্রহণের ঘোষণা দেন।[১১] ২০১৫ সালে তিনি ইরানী-ব্রাজিলীয় যৌথ প্রযোজিত চলচ্চিত্র আই এম নট সালভ্যাদর-এ অভিনয় করেন। ২০১৮ সালে ফিফা ভিডিও গেম ফিফা ১৯-এ রিভালদোকে আইকন হিসেবে যুক্ত করা হয়।[১২]
রিভালদো ব্রাজিলের পেরেনাম্বুকো’র রেসিফেতে জন্ম গ্রহণ করেন, তিনি শহরের একটি বস্তিতে দরিদ্র পরিবারে প্রতিপালিত হন।[১৩][১৪][১৫][১৬] তার শৈশবে দারিদ্রের যে অভিজ্ঞতা তা এখনো তার চেহারায় বিদ্যমান: অপুষ্টিজনিত কারণে পা বাঁকা হয়ে যায় এবং কয়েকটি দাঁত হারান।[১৭] প্রধানত বাম পায়ের খেলোয়াড় রিভালদো ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে পাউলিস্তানো ফুটবল ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেন।[১৮] শারীরিকভাবে দুর্বল বলে পাউলিস্তানোর কোচরা তার সফলতার ব্যপারে সনি্দহান ছিলেন। রিভালদোর বাবা রোমিলদো ১৯৮৯ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, তা সত্ত্বেও তিনি সেই বছরের শেষদিকে তার পেশাদার ফুটবল জীবনের প্রথম চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।[১৯]
রিভালদো ১৯৯১ সালে সান্তা ক্রুজের হয়ে খেলতে আসেন। ১৯৯২ সালে তিনি ব্রাজিলের দ্বিতীয় সারির দল সাও পাওলো রাজ্যের দক্ষিণের ক্লাব মোগি মিরিম-এ খেলার জন্য চলে যান। ১৯৯৩ সালে তিনি প্রথম বিভাগের দল করিন্থিয়ানস এ খেলার জন্য রাজ্যের রাজধানীতে চলে আসেন।[২০]
পরের বছর, তিনি স্থানীয় আনুগত্য পরিবর্তন করে পালমেইরাসে চলে যান, সফলভাবে ক্লাবকে ১৯৯৪ সালের লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ রক্ষা করতে সহায়তা করে। ১৯৯৩ এবং ১৯৯৪ উভয় বছরে তিনি তার অবস্থানের জন্য ক্রীড়া বিষয়ক নির্ভযোগ্য প্রকাশনা প্ল্যাকার ম্যাগাজিন কর্তৃক উক্ত পজিশনের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বোলা ডি অওরো পদকে সম্মানিত হন।
১৯৯৬ সালের অলিম্পিকের আগে, ইতালীয়ান ফুটবল ক্লাব পার্মা ঘোষণা করে যে তারা পালমেইরাস থেকে রিভালদো এবং তার সহখেলোয়াড় এমারালকে চুক্তিবদ্ধ করেছে।[২১] অলিম্পিকের পরে বিবাদের কারণে রিভালদো ইতালির পরিবর্তে স্পেনের লা লিগা’র ক্লাব দেপোর্তিবো লা করুনিয়ায় যোগ দেন। এখানে তিনি মাত্র এক মৌসুম ছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্লাব এবং তার জন্য এটি একটি সফল মৌসুম ছিল। রিভালদো ৪১ ম্যাচে ২১ গোল করে যৌথভাবে চতুর্থ শীর্ষ গোলদাতা হন আর দেপোর্তিভো লিগে তৃতীয় স্থান দখল করে। ১৯৯৭ সালে ৪ বিলিয়ন পেসেটা (প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলার) ট্রান্সফার ফি’র[১৮] বিনিময়ে রিভালদোকে দেপোর্তিভো থেকে এফসি বার্সেলোনাতে নিয়ে আসা হয়। স্টিভ ম্যাকম্যানামনের পরিবর্তে রিভালদোকে চুক্তিবদ্ধ করতে ববি রবসন বার্সেলোনাকে রাজি করান, তিনি বলেন রিভালদো দলের জন্য অনেক গোলের গ্যারান্টি হবে।[২২][২৩]
রিভালদো বার্সেলোনাতে তার প্রথম মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে ১৯ গোল করে দ্বিতীয় শীর্ষ গোলদাতা হয়েছিলেন, লা লিগা চ্যাম্পিয়নশিপ এবং কোপা দেল রে জিতে বার্সেলোনা ডাবল জিতেছিল।[২৪] ১৯৯৯ সালে তিনি বার্সেলোনার হয়ে আবারও লা লিগা শিরোপা জিতেন এবং আবারও ২৪ গোলে করে লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। রিভালদো ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন এবং বেলন ডি'অর জিতেন। বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নস লীগে ব্যর্থতার পর রিভালদো ক্যাম্প ন্যু থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক রয় কেইনের বিবৃতিতে বলা হয়, রিভালদো ইউনাইটেডের জন্য সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন খেলোয়াড়।[২৫]
বার্সেলোনায় রিভালদোর তৃতীয় মৌসুমে, লেফট উইং এর পরিবর্তে প্লেমেকার হিসেবে খেলার জন্য জিদ করে ম্যানেজার লুইস ফন গাল এর সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।[২৬] যদিও ফন গালের সাথে রিভালদোর ভাল সম্পর্ক ছিল না তবু তার ১০ গোলের উপর ভর করে বার্সেলোনা ঐ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমি-ফাইনালে পৌছে যায়। ২০০০ সালের জুনে ফন গালকে বহিস্কার করা হয়।
২০০০-০১ মৌসুমে, রিভালদো ২৩ গোল করে আবারও লীগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। মৌসুমের শেষ খেলায়, ভালেনসিয়া ফুটবল ক্লাব এর বিরুদ্ধে রিভালদো হ্যাট্রিক করেন এবং বার্সেলোনা ৩-২ গোলে জয়ী হয়।[২] প্রায়শই এটিকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হ্যাট্রিক হিসেবে গণ্য করা হয়,[১][৪][৫] তার প্রথম গোলটি ছিল একটি ট্রেডমার্ক বাঁকানো ফ্রি কিক যা বেঁকে গিয়ে ডান প্রান্তের নীচ দিয়ে গোলে ঢুকে,[৪] দ্বিতীয়টি ভালেনসিয়ার খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে কিক নেন, বল সরে গিয়ে বাম প্রান্তের নীচ দিয়ে জালে জড়ায়,[২৭] ম্যাচ জয়ি তৃতীয় গোলটি আসে ম্যাচের অন্তিম মূহুর্তে ৮৯ মিনিটে, পেনাল্টি সীমার শেষপ্রান্ত থেকে মাথার উপর দিয়ে বাই-সাইকেল কিক করে গোলটি করেন। এটিকে তিনি তার ক্যারিয়ারের সেরা গোল হিসেবে বিবেচনা করেন।[২৮] আনন্দে রিভালদো জর্সি খুলে ফেলেন এবং তা মাথার উপর নাড়তে থাকেন। বার্সেলোনা ক্লাবের সভাপতি জোয়ান গ্যামপার্ট রীতিনীতি ভুলে গিয়ে স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে বিপক্ষ প্রতিনিধির সামনেই মুষ্ঠিবদ্ধ উভয় হাত বাতাসে ছুড়ে এবং চিৎকার করে আনন্দ প্রকাশ করেন।[২][২৮] জয়টির ফলে বার্সেলোনা ভ্যালেনসিয়ার সামনে থেকে ২০০১-০২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা নিশ্চিত করে।[২] খেলার পর রিভালদো বলেন, "অবিশ্বাস্য! আজ রাতে যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য। আমি জয়সূচক গোলটি সকল খেলোয়াড়দের যারা সারা মৌসুম কঠিন পরিশ্রম করেছে এবং সকল সহায়তাকারিদের যারা অনেক কষ্ট করেছেন তাদের প্রতি উৎসর্গ করছি। আমি আমার গোলের দ্বারা তাদের খুশি করতে পেরে আনন্দিত।”[২] তিনি এই মৌসুমে মোট ৩৬ টি গোল করেন এবং বার্সেলোনার হয়ে ১৩০ গোলের মাইলফলক অর্জন করেন।[২০]
জুন ২০০২ সালে, ফন গাল বার্সেলোনার ম্যানেজার হিসেবে ফিরে আসেন। রিভালদো বার্সেলোনার সাথে তার চুক্তি থেকে অব্যাহতি নেন, এবং ইতালির সিরি এ-এর ক্লাব মিলানের সাথে তিন বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মিলানে তিনি ২০০২-০৩ মৌসুমে কোপা ইতালিয়া এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেন। মিলান ছাড়ার পর, তিনি অল্প সময়ের জন্য ব্রাজিল ফিরে আসেন, বেলো হরিজোন্তে’র ক্রুজিরোতে খেলেন।[২০] ২০০৪ সালে তিনি বোল্টন ওয়ান্ডারার্স এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে আসেন, যদিও শেষ পর্যন্ত বোল্টন চুক্তিটি স্বাক্ষর করেনি।[২৯][৩০][৩১]
ক্রুইজিরোর কোচ ভ্যান্ডার্লি লুক্সেমবুর্গের সাথে সাক্ষাতের পর রিভালদো ২০০৪ সালের শুরুতে ব্রাজিলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন, তিনি কোপা লিবার্টাদোরেস-এর জন্য ক্রুইজিরোতে খেলার জন্য রিভালদোকে রাজি করান।[৩২] যাই হোক, দলের সাথে তিনি খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ছিলনে, মাত্র ১১ ম্যাচ, গোল করেন ২টি। সিএনএন এর প্রতিবেদন মতে, রিভালদোর ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের পরামর্শদাতা লুক্সেমবুর্গের ইন্দনে মাত্র দুই মাসের মাথায় ক্লাব ত্যাগ করেন।[৩৩] রিভালদো বলেন, "যখন তিনি চলে যান, আমিও ছেড়ে দিতে পছন্দ করি। এটি ছিল আমার সিদ্ধান্ত কারণ আমি লুক্সেমবুর্গকে বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করি।"[৩৩]
২০০২ সালের ২২ জুলাই রিভালদো গ্রিসের সুপারলিগ-এর ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে যোগ দেন।[২০] ২০০৪-০৫ মৌসুমে তিনি কিছু দর্শনীয় গোল করেন, তার মধ্যে একটি হলো পানাথিনিকোসের বিরুদ্ধে তার প্রথম ডার্বিতে, যা অলিম্পিয়াকোসের জার্সিতে তার সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে আছে: একটি বাঁকানো ফ্রি কিকে গোল করেন যা তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে অলিম্পিয়াকোসকে জিতিয়ে দেয়। রিভালদোর আরেকটি উল্লেখযোগ্য গোল হলো পরবর্তী সপ্তাহে অলিম্পিয়াকোসের চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ ম্যাচে ঐ মৌসুমে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইংল্যান্ডের লিভারপুল এফসি’র বিরুদ্ধে, সেখানে তিনি কপ-এর সামনে থেকে নিপুণ ফ্রি কিকের মাধ্যমে গোল করে গ্রিক জায়ান্টদের এগিয়ে দেন।[৩৪] তবে লিভারপুলের টালিসমান স্টিভেন গেরার্ড খেলা শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে ২৫-গজ দূর থেকে হাফ ভলিতে গোল করলে ওলিম্পিয়াকোস চ্যাম্পিয়নস লীগ থেকে বিদায় নেয়।[৩৪] অলিম্পিয়াকোসে রিভালদোর প্রথম মৌসুমের শেষ খেলায়, আলফা ইথনিকি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য অলিম্পিয়াকোসের একটি জয় দরকার ছিল, পানাথিনিকোসের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল তারা। রিভালদোর গোলে অলিম্পিয়াকোস বিপক্ষের মাঠ থেসালোনিকি-তে ইরাক্লিসকে ১-০ গোলে পরাজিত করে এবং চ্যাম্পিয়নশিপটি সুরক্ষিত করে।
৩৪ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও রিভালদো অলিম্পিয়াকোসের সাথে তার চুক্তি ৩ বছরের জন্য নবায়ন করেন। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে রিভালদো ঘোষণা করেন যে ব্রাজিল ফিরে আসার আগে ২০০৬-০৭ মৌসুমই ইউরোপে অলিম্পিয়াকোসের সাথে শেষ বছর।[৩৫] তবে, তিনি দ্রুত তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন আরও একটি বছর থাকবেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে তিনি ২৭ টি সুপারলিগ ম্যাচে ১৭ গোল করেন। রিভালদো অলিম্পিকোসের পক্ষে ৮১ ম্যাচে ৪৩ গোল করেন!
ক্লাবের চেয়ারম্যান সক্রেটিস কোক্কাইলিসের সঙ্গে বিতর্কের জড়ানোর পর অলিম্পিয়াকোস রিভালদোকে ক্লাব থেকে অব্যাহতি দেয়, তিনি (সক্রেটিস) সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে রিভালদোর ক্লাবে থাকার পক্ষে বয়স বেশিই হয়ে গেছে। সেই বছর গ্রীষ্মের শেষে ২৯ মে ২০০৭ তারিখে রিভালদো সুপার লিগের ক্লাব এইকে এথেন্স এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[২০] এথেন্সের ক্লাবটির পক্ষে তার প্রথম সুপার লীগ গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে প্যানিয়নিওসের বিপক্ষে, ম্যাচটি তার দল জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে। রিভালদো ও তার দলের জন্য আরেকটি ভাল মৌসুম কাটে। অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ের পর, রিভালদো ক্যামেরার সামনে চারটি আঙুল প্রদর্শন করেন। যদি রুলিং অলিম্পিয়াকোসের পক্ষে যায় এবং এএইচকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা না হয় তবে রাইভেলডো গ্রিস ছেড়ে যাওয়ার তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন: "দলটি শিরোপা জয় করতে যথেষ্ট ভাল নয়, তারা ট্রফি পাওয়ার যোগ্য নয়।"[৩৬] (আপোলন কালামারিয়াস বনাম অলিম্পিয়াকোসের ম্যাচ মূলত ১-০ গোলে অলিম্পিয়াকোস হেরেছিল, কিন্তু গ্রিক স্পোর্টস কোর্টের অলিম্পিয়াকোসকে ৩-০ জয়ি ঘোষণা করে এবং অলিম্পিয়াকোসকে তিন পয়েন্ট দেয়, এই ভিত্তিতে যে হোম দল অমনোনয়নযোগ্য খেলোয়াড় খেলিয়েছিল। এবং আপোলন কালামারিয়াসের একটি অতিরিক্ত পয়েন্ট কাটা হয়। ফলে লিগ শেষে অলিম্পিয়াকোসের পয়েন্ট দাড়ায় ৭০ আর এইকে’র ৬৮ পয়েন্ট।[৩৭])
২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট রিভালদো একটি গ্রিক স্পোর্ট বেতার কেন্দ্র কে জানান যে, তিনি উজবেকিস্তানের বুনিয়োদকোরে তার খেলোয়াড়ি জীবন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মত হয়েছেন এবং তা অভিলম্বে কার্যকর হবে; তিনি একে "অত্যন্ত লোভনীয় চুক্তির প্রস্তাব" হিসাবে বর্ণনা করেন।[৩৮]
রিভালদো দুই বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন যার মূল্য ছিল ১০.২ মিলিয়ন ইউরো এবং পরে চুক্তিটি ২০১১ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।[৩৯] রিভালদো বুনইয়োদকোরে তার অভিষেক ম্যাচে দুই গোল করেন এবং তার দল ২-০ গোলে জয়লাভ করে।[৪০] ২০০৯ সালে বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি চারটি ধারাবাহিক ম্যাচে একটি, তারপরের ম্যাচে দুইটি, তারপরের ম্যাচে তিনটি এবং তারপরের ম্যাচে চারটি গোল করেন। প্রথম ম্যাচে তিনি এক গোল করেন এবং দ্বিতীয় ম্যাচে দুই গোল করেন নাভবাহোর-এর বিরুদ্ধে। ২৫ জুন ২০০৯ তারিখে তৃতীয় ম্যাচে রিভালদো হ্যাট্রিক করেন মেটালুর্গ-এর বিপক্ষে এবং দল জিতে ৪-০ গোলে।[৪১] চতুর্থ ম্যাচে বুনইয়োদকোর ৫-০ গোলে সোগডিয়ানা জিজাখকে হারায় এবং রিভালদো ১৭ মিনিটে চার গোল করেন। ২০০৯ মৌসুম শেষে রিভিলদো লীগে ২০ গোল করে ইউএফএফ সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেন, এবং ইউএফএফ প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারে রানার আপ হন। ক্লাবের হয়ে তিনি মোট ৩৩ টি গোল করেন। ১১ আগস্ট ২০১০ তারিখে রিভালদো এক টুইটার বার্তায় ঘোষণা করেন যে তিনি বুনইয়োদকোরের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন।[৪২]
১৮ নভেম্বর ২০১০ তারিখে তিনি ঘোষণা করেন তিনি মোগি মিরিম ক্লাবে ফিরে আসবেন, যে ক্লাবে ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি তার খেলোয়াড় জীবন শুরু করেছিলেন, তিনি তার সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বলেন: "দেশের বাইরে অনেক বিষয় ভাবার পর আমি মোগি মিরিমের হয়ে ২০১১ সালে পাউলিস্তায় খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাদের কাছে আমি রাষ্ট্রপতি।" যাইহোক, তিনি জানুয়ারি ২০১১ সালে সাও পাওলোতে যোগদান করেন।[২০]
২৩ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে, রিভালদো সাও পাওলোতে যোগ দেন। প্রথম বিভাগে সাও পাওলোর হয়ে অভিষেক ম্যাচে রিভালদো লিনেন্সের বিপক্ষে একটি দুর্দান্ত গোল করেন। মাঠের বাম প্রান্ত থেকে পাঠানো বলটি রিভালদো প্রথমে নিয়ন্ত্রণ নেন তার পর বাম হাঁটু দ্বারা একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের উপর দিয়ে কাটিয়ে নিয়ে নিকটতম পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান। ২০১১ সালের মার্চের বেশিরভাগ সময় তার ইন্জুরিতে কাটে, তবে তিনি পরবর্তীতে ফিরে আসেন এবং তার দল পালমেইরাসের সাথে ১-১ ড্র এবং করিন্থিয়ানসের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
রিভিলদো তার টুইটার একাউন্টে একটি বিবৃতিতে বলেন যে এই মৌসুম শেষে তিনি সাও পাওলো ত্যাগ করবেন: "আমি শুধু সবাইকে জানাতে চাই যে এই শনিবার সাও পাওলোতে আমার শেষ প্রশিক্ষণ অধিবেশন হতে যাচ্ছে। আমি ক্লাবের অফিসিয়ালদের বলেছি যে এখানে এটি আমার শেষ ট্রেনিং সেশন হতে যাচ্ছে।" তিনি আরও যোগ করেন: "আমি এখনোই ফুটবলকে বিদায় বলছি না। আমার এখনও অনেক কিছু করার আছে। আমি আশা করি ২০১২ সালের শেষে আমি আমার বুট জোড়া ঝুলিয়ে রাখব।"[৪৩]
রিভালদো ২০১২ সালের জানুয়ারিতে এঙে্গালার ক্লাব কাবুস্কর্পে যোগ দেন।[২০] ১৮ মার্চ রিভালদো রিক্রিয়েটিবো কালা’র বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেন। ২৩ মার্চ ইংলিশ লীগ-১ এর ক্লাব চার্লটন এথলেটিক জানায়, রিভালদোকে বিনা ট্রান্সফার ফীতে চুক্তিবদ্ধ করার একটি সুযোগ বাতিল করে দিয়েছে তারা।[৪৪] ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রিভালদো কাবুস্কর্প ত্যাগ করেন।[৪৫]
জানুয়ারী ২০১৩ সালে রিভালদো ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকার চুক্তিতে সাও কেটানোতে যোগ দেন।[৪৬] ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি তার নতুন ক্লাবে অভিষেক ম্যাচে স্পোর্ট ক্লাব করিন্থিয়ানস পাউলেস্তার বিরুদ্ধে প্রথম গোল করেন। ক্ল্যাব এথলেটিকো ব্র্যাগান্টিনোর বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে রিভালদো আবারও গোল করেন, যদিও তার দল ১-২ গোলে হেরে যায়। নভেম্বর ২০১৩ সালে তিনি হাঁটুর সমস্যার কারণে ক্লাব ছেড়ে যান।[৪৭]
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে রিভালদো ২০১৫ সাল পর্যন্ত থাকার চুক্তিতে মোগি মিরিমে যোগ দেন। তিনি বর্তমানে ক্লাবটির সভাপতি এবং তাঁর ছেলে রিভালদিনহো ক্লাবের হয়ে খেলেছেন।[৪৮] জুলাই ২০১৫ সালে অবসর নেওয়ার সময় পর্যন্ত রিভালদো ক্লাবটির হয়ে কেবল এক মৌসুম লিগে খেলেছেন।[৪৯]
২০ বছরেরও বেশি খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ব্রাজিলিয়ান আইকন ফুটবল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেন এবং ক্লাবকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে এবং তার ছেলে রিভালদিনহোর দেখাশোনা করতে তিনি মোগি মিরিমের সভাপতির পদে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।[৯] একটি বিবৃতিতে রিভালদো বলেন: ”একজন খেলোয়াড় হিসাবে আজ আমার অধ্যায় শেষ হলো। একজন খেলোয়াড় হিসাবে গত ২৪ বছর আমি যে ভালবাসা ও সমর্থন পেয়েছি তার জন্য আজ আমি অশ্রুশিক্ত নয়নে ঈশ্বর, আমার পরিবার এবং সমস্ত সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”[৯] তবে, ২০১৫ সালের জুনে তিনি দলে ফিরে আসেন। ১৪ জুলাই ২০১৫ রিভালদো এবং রিভালদিনহো পিতা-পুত্র একই ম্যাচে গোল করেন এবং প্রথমবারের মতো মোগি মিরিম ৩-১ গোলে ম্যাকায়ে-কে হারায়।[৫০]
১৮ জানুয়ারি ২০১৯, মরক্কোর এসসিসি মোহাম্মদিয়া ক্লাব পরের মৌসুমে রিভালদোকে তাদের নতুন প্রযুক্তি পরিচালক এবং কোচ হিসাবে ঘোষণা করে।[৫১] খেলোয়াড় অস্বীকার করেছেন যে বর্তমান মুহুর্তের জন্য একটি চুক্তি হয়েছিল, তিনি একটি প্রাক-চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন যাতে ক্লাবটি অবশ্যই জাতীয় (মরক্কো লিগের তৃতীয় স্তর) স্তর থেকে পদোন্নতি অর্জন করতে পারে এবং তাকে অবশ্যই মার্চ মাসে নির্ধারিত কোচিং কোর্সে অংশ নিতে হবে।[৫২]
১৯৯৩ সালে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে অভিষেক হয় রিভারদোর, ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন তিনি।[৫৩] ১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান দল ব্রোঞ্জ পদক জিতে, কিন্তু তৃতীয় স্থান নির্ধরনী প্লেঅফ ম্যাচের দলে রিভালদোর নাম ছিল না।[১৮]
রিভালদো ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিলের জাতীয় দলে ফিরে আসেন, সেখানে তিনি ফাইনালে যাওয়ার পথে ব্রাজিলের হয়ে মোট তিনটি গোল করেন, যার মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয়ের ম্যাচে দুটি গোল করেন তিনি। ফাইনালে ব্রাজিল ৩-০ ব্যবধানে স্বাগতি ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে ১৯৯৪ সালের জয় করা শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। রিভালদো ১৯৯৭ কোপা আমেরিকা জয়ি ব্রাজিল দলের সদস্য ছিলেন না তবে ১৯৯৯ সালের কোপা আমেরিকা শিরোপা ধরে রাখা ব্রাজিল দলের সফল অংশিদার ছিলেন। রিভালদো ৫ গোল করে টুর্ণামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন, এর একটি করেন কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ২-১ ব্যাবধানে জয় পাওয়া ম্যাচে একটি দর্শণীয় ফ্রি কিকে এবং ফাইনালে তার দুই গোলের সহযোগিতায় ব্রাজিল ৩-০ গোলে উরুগুয়েকে হারিয়ে শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখে। তিনি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।[৫৪]
১৯৯৬ সালের অলিম্পিকের পর থেকে ব্রাজিল অলিম্পিক শিরোপা জিততে না পারায় রিভালদো সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।[৫৫] ২০০০ সালের নভেম্বরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে রিভালদোকে এতটাই টিটকারি দেওয়া হয় যে তিনি দেশের হয়ে খেলা থেকে অবসর নেওয়ার হুমকি দেন।[৫৬]
২০০২ বিশ্বকাপে রোনালদো এবং রোনালদিনহোর সাথে খেলতে পেরে অনেক আনন্দ এবং নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। আমাদের দলবদ্ধ কাজ ছিল দুর্দান্ত এবং এটি ফলাফলের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছিল।
— "থ্রি আর'স" সম্পর্কে বলতে গিয়ে রিভালদো[৫৭]
২০০২ ফিফা বিশ্বকাপে রিভালদোর জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ সাফল্য আসে, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটিতে তিনি আগের বিশ্বকাপ ফাইনালের পরাজয়ের হতাশাকে মুছে ফেলতে সক্ষম হয়ে ব্রাজিলকে তাদের পঞ্চম বিশ্বকাপ জিততে সহায়তা করেছিলেন। রোনালদো এবং রোনালদিনহোর সাথে আক্রমণাত্মক ত্রৈয়ি’র অংশ ছিলেন যাদের বলা হতো "the three R's", রিভালদো প্রথম পাঁচটি ম্যাচে গোল করেছিলেন এবং রোনালদো চার ম্যাচে গোল করেছিলেন।[৫৮][৫৯] একটি সফল টুর্নামেন্ট সত্ত্বেও, রিভালদো তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত ঘটনায় জড়িত ছিলেন।[৬০] ম্যাচের শেষের দিকে- বলটি তখন খেলার মধ্যে ছিল না, তুরস্কের ডিফেন্ডার হাকান উনসাল কর্নার পতাকার কাছে অপেক্ষায় থাকা রিভালদোর দিকে বলটি লাথি মেরে পাঠান। বলটি তার উরুতে আঘাত করে, কিন্তু রিভালদো মুখ থুপড়ে মাটিতে পড়ে যান। রেফারি তুর্কি খেলোয়াড়টিকে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে একটি ভিডিও পর্যালোচনার পর ফিফা রিভালদোকে ১১,৬৭০ সুইস ফ্র্যাঙ্ক জরিমানা করে।[৯]
ফাইনালের প্রাক্কালে, রোনালদো, রিভালদো এবং রোনালদিনহো ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে জাপানের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বিষ্ময়কর আনন্দের সাথে একে অপরকে উষ্ণ করে তোলেন।
— "থ্রি আর'স" এর বন্ধন সম্পর্কে দ্য গার্ডিয়ানের অ্যামি লরেন্স।[৫৯]
দ্বিতীয় রাউন্ডে বেলজিয়ামের বিপক্ষে রিভালদোর গোলটির পর বেলজিয়ামের কোচ রবার্ট ওয়াসেইগ তাকে the deciding factor বলে আক্ষায়িত করেন।[৬১] কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোনালদিনহোর গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচটিতে রোনালদিনহোর সমতায়তায় রিভালদো গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন।[৬২] ফাইনালে ব্রাজিল জার্মানি মুখোমুখি হয়, রোনাল্দোর দুই গোলের সুবাদে ব্রাজিল জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে। দুটো গোলেই রিভালদোর অবদান ছিল।[৬৩] প্রথমটি হয়েছিল রিভালদোর জোরালো শট জার্মান গোলরক্ষক অলিভার কান ঠিকভাবে সেভ করতে না পারলে ফিরতি বল রোনালদো সঠিক ঠিকানায় পাঠান, দ্বিতীয়টি আসে রিভালদো জার্মান রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে বলটি রোনালদোর দিকে এগিয়ে দেন আর রোনালদো বল জালে পাঠিয়ে দেন।[৬৩] কোচ লুইজ ফিলিপ স্কোলারির হিসেবে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় রিভালদো।[৬৪] রোনালদো এবং রোনালদিনহোর সাথে রিভালদো ফিফা বিশ্বকাপ অল-স্টার দলে জায়গা করে নেন।[৬৫]
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে রিভালদো শেষ ম্যাচটি খেলেন ১৯ নভেম্বর ২০০৩-এ কুরুতিবাতে উরুগুয়ের সাথে, ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়। তিনি ম্যাচে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলেন, পরে তার বদলি হিসেবে লুইস ফ্যাবিয়ানোকে মাঠে নামানো হয়। পেরুর বিপক্ষে তিনি তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক গোলটি করেছিলেন পেনাল্টি কিক থেকে ১৬ নভেম্বর ২০০৩ তারিখে, খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৭৪ টি ম্যাচে অংশ নেন আর গোল করেন ৩৫ টি।[৬৬]
রিভালদোকে তার প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন এবং সর্বকালের সেরা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের মধ্যে একজন হিসেবে গণ্য করা হয়,[৬৭] তার ড্রিবলিং ক্ষমতা, কৃত্রিম আক্রমণের ব্যবহার, ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ এবং বল নিয়ন্ত্রণের জন্য রিভালদো একজন বিপজ্জনক, দক্ষ এবং সৃজনশীল খেলোয়াড় ছিলেন।[১][২][৬৭][৬৮] ডেড-বল বিশেষজ্ঞ রিভালদো তার বাঁকানো ফ্রি কিক এবং পেনাল্টি গ্রহণের পাশাপাশি শক্তিশালী কিকের সাহায্যে দূর থেকে গোল করার দক্ষতার জন্য খ্যাতিমান ছিলেন।[১][৬৮] বাম পায়ে খেলা ও দূর্দান্ত কৌশলের অধিকারি রিভালদো ভলি থেকে বল মারা এবং বাইসাইকেল কিক থেকে গোল করার প্রতি ঝোকের জন্যও পরিচিত ছিলেন।[১][২]
ডান পা ছাড়া রিভালদোর সবই ছিল। তার নমনীয় কিন্তু শক্তিশালী দেহ তাকে ডিফেন্ডারদের ছুঁড়ে মারতে ক্ষমতা দিয়েছেল, তিনি একজন অসামান্য বল নিয়ন্ত্রক, তাঁর একটি বাম পা ছিল যা শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান উভয়ই, চতুর এবং একটি হাতুড়িবিশেষ। - রব স্মিথ, রিভালদোর খেলার স্টাইল নিয়ে দ্য গার্ডিয়ান-এ লিখেছেন।[১]
যদিও তিনি সত্যিকার স্ট্রাইকার ছিলেন না, রিভালদো ছিলেন একজন দুর্দান্ত গোলদাতা, বেশ কয়েকটি সৃজনশীল এবং দূরহ অবস্থানে খেলতে সক্ষম: খেলোয়াড়ি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে তিনি বালোঁ দর জিতেছেন এবং ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন, তার দূরদর্শিতা এবং বল পাসিং ক্ষমাতার জন্য তিনি প্রায়শই ক্লাসিক ১০ নাম্বারধারী হিসাবে মধ্যমাঠের আক্রমণভাগে একজন প্লেমেকার হিসেবে ভূমিকা পালন করতেন যা তাকে একজন দুর্দান্ত গোল করায় সহায়তাকারী হিসেবে তৈরি করেছে।[১] তার গতি এবং নিখুত বল পাসের দক্ষতার কারণে তিনি দ্বিতীয় স্ট্রাইকার বা বাম উইঙ্গার হিসাবেও খেলতে পারতেন, যে অবস্থানে তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের প্রথম দিকে প্রায়শই খেলতেন।[৬৮][৬৯][৭০] যদিও মূলত বাম পায়ের খেলোয়াড় তবে তিনি অন্য প্রান্তেওে খেলতে সক্ষম ছিলেন।[১][২][৬৯]
সূত্র:[৭১]
ক্লাব পারফরম্যান্স | লীগ | কাপ | মহাদেশীয়[nb ১] | রাজ্য লীগ | অন্যান্য[nb ২] | মোট | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ক্লাব | মৌসুম | বিভাগ | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল |
সান্তা ক্রুজ | ১৯৯১ | সিরি বি | — | — | — | ১৮ | ৮ | — | ১৮ | ৮ | ||||
১৯৯২ | ৯ | ১ | — | — | — | — | ৯ | ১ | ||||||
মোট | ৯ | ১ | — | — | ১৮ | ৮ | — | ২৭ | ৯ | |||||
মোগি মিরিম | ১৯৯২ | — | — | — | — | ২৭ | ৯ | ৪ | ৪ | ৩১ | ১৩ | |||
মোট | — | — | — | ২৭ | ৯ | ৪ | ৪ | ৩১ | ১৩ | |||||
করিনথিনাস | ১৯৯৩ | সিরি এ | ৮ | ২ | — | — | ১৪ | ৯ | — | ২২ | ১১ | |||
১৯৯৪ | — | ১ | ০ | — | — | ১ | ১ | ২ | ১ | |||||
মোট | ৮ | ২ | ১ | ০ | — | ১৪ | ৯ | ১ | ১ | ২৪ | ১২ | |||
পালমেইরাস | ১৯৯৪ | সিরি এ | ২৯ | ১৪ | — | — | — | — | ২৯ | ১৪ | ||||
১৯৯৫ | ১ | ০ | — | ৯ | ৫ | ২৪ | ১৯ | — | ৩৪ | ২৪ | ||||
১৯৯৬ | — | ২ | ০ | — | ৩২ | ২২ | — | ৩৪ | ২২ | |||||
মোট | ৩০ | ১৪ | ২ | ০ | ৯ | ৫ | ৫৬ | ৪১ | — | ৯৭ | ৬০ | |||
দেপোর্তিবো লা করুনিয়া | ১৯৯৬-৯৭ | লা লিগা | ৪১ | ২১ | ৫ | ১ | — | — | — | ৪৬ | ২২ | |||
মোট | ৪১ | ২১ | ৫ | ১ | — | — | — | ৪৬ | ২২ | |||||
বার্সেলোনা | ১৯৯৭-৯৮ | লা লিগা | ৩৪ | ১৯ | ৭ | ৮ | ৬ | ০ | — | ৪ | ১ | ৫১ | ২৮ | |
১৯৯৮-৯৯ | ৩৭ | ২৪ | ৩ | ২ | ৬ | ৩ | — | ২ | ০ | ৪৮ | ২৯ | |||
১৯৯৯-২০০০ | ৩১ | ১২ | ৫ | ১ | ১৪ | ১০ | — | — | ৫০ | ২৩ | ||||
২০০০-০১ | ৩৫ | ২৩ | ৫ | ২ | ১৩ | ১১ | — | — | ৫৩ | ৩৬ | ||||
২০০১-০২ | ২০ | ৮ | — | ১৩ | ৬ | — | — | ৩৩ | ১৪ | |||||
মোট | ১৫৭ | ৮৬ | ২০ | ১৩ | ৫২ | ৩০ | — | ৬ | ১ | ২৩৫ | ১৩০ | |||
মিলান | ২০০২-০৩ | সিরি এ | ২২ | ৫ | ৩ | ১ | ১৩ | ২ | — | — | ৩৮ | ৮ | ||
২০০৩-০৪ | — | — | ১ | ০ | — | ১ | ০ | ২ | ০ | |||||
মোট | ২২ | ৫ | ৩ | ১ | ১৪ | ২ | — | ১ | ০ | ৪০ | ৮ | |||
ক্রুইজিরো | ২০০৪ | সিরি এ | — | — | ৩ | ০ | ৭ | ২ | — | ১০ | ২ | |||
মোট | — | — | ৩ | ০ | ৭ | ২ | — | ১০ | ২ | |||||
অলিম্পিয়াকোস | ২০০৪-০৫ | সুপার লীগ | ২৩ | ১২ | ২ | ২ | ৯ | ১ | — | — | ৩৪ | ১৫ | ||
২০০৫-০৬ | ২২ | ৭ | ২ | ২ | ৬ | ২ | — | — | ৩০ | ১১ | ||||
২০০৬-০৭ | ২৫ | ১৭ | — | ৬ | ০ | — | — | ৩১ | ১৭ | |||||
মোট | ৭০ | ৩৬ | ৪ | ৪ | ২১ | ৩ | — | — | ৯৫ | ৪৩ | ||||
এইকে এথেন্স | ২০০৭-০৮ | সুপার লীগ | ৩৫ | ১২ | — | ৮ | ৩ | — | — | ৪৩ | ১৫ | |||
২০০৮-০৯ | — | — | ১ | ০ | — | — | ১ | ০ | ||||||
মোট | ৩৫ | ১২ | — | ৯ | ৩ | — | — | ৪৪ | ১৫ | |||||
বুনইয়োদকোর | ২০০৮ | উজবেক লীগ | ১২ | ৭ | ১ | ০ | ৪ | ২ | — | — | ১৭ | ৯ | ||
২০০৯ | ৩০ | ২০ | ১ | ১ | ৯ | ১ | — | — | ৪০ | ২২ | ||||
২০১০ | ১১ | ৬ | ৩ | ৩ | ৫ | ২ | — | — | ১৯ | ১১ | ||||
মোট | ৫৩ | ৩৩ | ৫ | ৪ | ১৮ | ৫ | — | — | ৭৬ | ৪২ | ||||
সাও পাওলো | ২০১১ | সিরি এ | ৩০ | ৫ | ৪ | ০ | ৩ | ১ | ৯ | ১ | — | ৪৬ | ৭ | |
মোট | ৩০ | ৫ | ৪ | ০ | ৩ | ১ | ৯ | ১ | — | ৪৬ | ৭ | |||
কাবিওস্কোর্প | ২০১২ | গিরাবোলা | ২১ | ১১ | — | — | — | — | ২১ | ১১ | ||||
মোট | ২১ | ১১ | — | — | — | — | ২১ | ১১ | ||||||
সাও কেটানো | ২০১৩ | সিরি বি | ৭ | ০ | ২ | ০ | — | ১০ | ২ | — | ১৯ | ২ | ||
মোট | ৭ | ০ | ২ | ০ | — | ১০ | ২ | — | ১৯ | ২ | ||||
মোগি মিরিম | ২০১৪ | সিরি সি | ৪ | ০ | — | — | ৪ | ০ | — | ৮ | ০ | |||
২০১৫ | সিরি বি | ৪ | ১ | — | — | — | — | ৪ | ১ | |||||
মোট | ৮ | ১ | — | — | ৪ | ০ | — | ১২ | ১ | |||||
খেলোয়াড়ি জীবনে মোট | ৪৮১ | ২২৭ | ৪৬ | ২৩ | ১২৯ | ৪৯ | ১৪৫ | ৭২ | ১২ | ৬ | ৮১৩ | ৩৭৭ |
ব্রাজিল জাতীয় দল | ||
---|---|---|
বছর | ম্যাচ | গোল |
১৯৯৩ | ১ | ১ |
১৯৯৪ | ১ | ০ |
১৯৯৫ | ৫ | ১ |
১৯৯৬ | ২ | ২ |
১৯৯৭ | ৪ | ১ |
১৯৯৮ | ১২ | ৫ |
১৯৯৯ | ১৩ | ৮ |
২০০০ | ১১ | ৮ |
২০০১ | ৮ | ৩ |
২০০২ | ১০ | ৫ |
২০০৩ | ৭ | ১ |
মোট | ৭৪ | ৩৫ |
স্কোর এবং ফলাফল তালিকা ব্রাজিল এর গোল প্রথমে।[৬৬]
গোল নম্বর | তারিখ | স্টেডিয়াম | বিপক্ষ | স্কোর | ফল | আসর |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৩ | এস্তাদিও জ্যালসকো, গোয়াডেলাজারা, মেক্সিকো | মেক্সিকো | ১-০ | ১-০ | প্রীতি ম্যাচ |
২ | ১৮ মে ১৯৯৫ | রামাত গান স্টেডিয়াম, রামাত গান, ইজরায়েল | ইজরায়েল | ২-০ | ২-১ | প্রীতি ম্যাচ |
৩ | ২৭ মার্চ ১৯৯৬ | টেক্সেইরাও, সাও জোসে দো রিও প্রেতো, ব্রাজিল | ঘানা | ৬-১ | ৮-২ | প্রীতি ম্যাচ |
৪ | ২৪ এপ্রিল ১৯৯৬ | সকার সিটি, জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | দক্ষিণ আফ্রিকা | ২-২ | ৩-২ | প্রীতি ম্যাচ |
৫ | ১১ নভেম্বর ১৯৯৭ | এস্তাদিও মানে গারিঞ্চা, ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল | ওয়েলস | ২-০ | ৩-০ | প্রীতি ম্যাচ |
৬ | ৩ জুন ১৯৯৮ | স্টেড বাউয়ের, সেন্ট উয়ান, ফ্রান্স | এন্ডোরা | ২-০ | ৩-০ | প্রীতি ম্যাচ |
৭ | ১৬ জুন ১৯৯৮ | স্টেড ডি লা বেওজায়ার, ননতেস, ফ্রান্স | মরক্কো | ২-০ | ৩-০ | ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ |
৮ | ৩ জুলাই ১৯৯৮ | স্টেড ডি লা বেওজায়ার, ননতেস, ফ্রান্স | ডেনমার্ক | ২-১ | ৩-২ | ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ |
৯ | ৩ জুলাই ১৯৯৮ | স্টেড ডি লা বেওজায়ার, ননতেস, ফ্রান্স | ডেনমার্ক | ৩-২ | ৩-২ | ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ |
১০ | ১৮ নভেম্বর ১৯৯৮ | ক্যাস্টেলাও (সিরা), ফোর্টালেজা, ব্রাজিল | রাশিয়া | ৩-০ | ৫-১ | প্রীতি ম্যাচ |
১১ | ৩০ জুন ১৯৯৯ | এস্তাদিও আন্তেনিও ওদোনে সারুবি, চিওদাদ দেল এস্তে, প্যারাগুয়ে | ভেনেজুয়েলা | ৭-০ | ৭-০ | ১৯৯৯ কোপা আমেরিকা |
১২ | ১১ জুলাই ১৯৯৯ | এস্তাদিও আন্তেনিও ওদোনে সারুবি, চিওদাদ দেল এস্তে, প্যারাগুয়ে | আর্জেন্টিনা | ২-১ | ২-১ | ১৯৯৯ কোপা আমেরিকা |
১৩ | ১৪ জুলাই ১৯৯৯ | এস্তাদিও আন্তেনিও ওদোনে সারুবি, চিওদাদ দেল এস্তে, প্যারাগুয়ে | মেক্সিকো | ২-০ | ২-০ | ১৯৯৯ কোপা আমেরিকা |
১৪ | ১৮ জুলাই ১৯৯৯ | এস্তাদিও আন্তেনিও ওদোনে সারুবি, চিওদাদ দেল এস্তে, প্যারাগুয়ে | উরুগুয়ে | ১-০ | ৩-০ | ১৯৯৯ কোপা আমেরিকা |
১৫ | ১৮ জুলাই ১৯৯৯ | এস্তাদিও আন্তেনিও ওদোনে সারুবি, চিওদাদ দেল এস্তে, প্যারাগুয়ে | উরুগুয়ে | ২-০ | ৩-০ | ১৯৯৯ কোপা আমেরিকা |
১৬ | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ | এস্তাদিও বিয়েরা-রিও, পোর্তো আলজেরা, ব্রাজিল | আর্জেন্টিনা | ১-০ | ৪-২ | প্রীতি ম্যাচ |
১৭ | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ | এস্তাদিও বিয়েরা-রিও, পোর্তো আলজেরা, ব্রাজিল | আর্জেন্টিনা | ২-০ | ৪-২ | প্রীতি ম্যাচ |
১৮ | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ | এস্তাদিও বিয়েরা-রিও, পোর্তো আলজেরা, ব্রাজিল | আর্জেন্টিনা | ৩-১ | ৪-২ | প্রীতি ম্যাচ |
১৯ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০০ | রাজামঙ্গল স্টেডিয়াম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড | থাইল্যান্ড | ১-০ | ৭-০ | ২০০০ কিং’স কাপ |
২০ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০০ | রাজামঙ্গল স্টেডিয়াম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড | থাইল্যান্ড | ২-০ | ৭-০ | ২০০০ কিং’স কাপ |
২১ | ২৬ এপ্রিল ২০০০ | এস্তাদিও দো মরুবি, সাও পাওলো, ব্রাজিল | ইকুয়েডর | ১-১ | ৩-২ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
২২ | ২৬ এপ্রিল ২০০০ | এস্তাদিও দো মরুবি, সাও পাওলো, ব্রাজিল | ইকুয়েডর | ৩-১ | ৩-২ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
২৩ | ২৩ মে ২০০০ | মিলেনিয়াম স্টেডিয়াম, কার্ডিফ, ওয়েলস | ওয়েলস | ৩-০ | ৩-০ | প্রীতি ম্যাচ |
২৪ | ২৮ জুন ২০০০ | এস্তাদিও দো মারাকানা, রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল | উরুগুয়ে | ১-১ | ১-১ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
২৫ | ১৮ জুলাই ২০০০ | এস্তাদিও ডিফেনসোর দেল চাকো, এসুনসিওন, প্যারাগুয়ে | প্যারাগুয়ে | ১-১ | ১-২ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
২৬ | ৩ সেপ্টেম্বর ২০০০ | এস্তাদিও দো মারাকানা, রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল | বলিভিয়া | ২-০ | ৫-০ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
২৭ | ২৫ আগস্ট ২০০১ | এস্তাদিও অলিম্পিকো মনুমেন্টাল, পোর্তো আলজেরা, ব্রাজিল | প্যারগুয়ে | ২-০ | ২-০ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
২৮ | ৭ অক্টোবর ২০০১ | এস্তাদিও কোউতো পেরেইরা, কুরিতিবা, ব্রাজিল | চিলি | ২-০ | ২-০ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
২৯ | ১৪ নভেম্বর ২০০১ | ক্যাস্তেলাও (মারারহো), সাও লুইস, ব্রাজিল | ভেনেজুয়েলা | ৩-০ | ৩-০ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
৩০ | ৩ জুন ২০০২ | মুনস কাপ স্টেডিয়াম, উলসান, দক্ষিণ কোরিয়া | তুরস্ক | ২-১ | ২-১ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ |
৩১ | ৮ জুন ২০০২ | জেজু বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম, জেজু, দক্ষিণ কোরিয়া | চীন | ২-০ | ৪-০ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ |
৩২ | ১৩ জুন ২০০২ | সুওয়ান বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম, সুওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া | কোস্টারিকা | ৪-২ | ৫-২ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ |
৩৩ | ১৭ জুন ২০০২ | কোবে উইং স্টেডিয়াম, কোবে, জাপান | বেলজিয়াম | ১-০ | ২-০ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ |
৩৪ | ২১ জুন ২০০২ | সিজুকা স্টেডিয়াম,ফুকুরোই, জাপান | ইংল্যান্ড | ১-১ | ২-১ | ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ |
৩৫ | ১৬ নভেম্বর ২০০৩ | এস্তাদিও মনুমেন্টাল “U", লিমা, পেরু | পেরু | ১-০ | ১-১ | ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই |
বার্সেলোনা[৭২]
Best of all there was the greatest hat-trick of all time, against Valencia on June 17, 2001, a midsummer night's dream of a performance that deserves a book
(1) Rivaldo, Barcelona 3-2 Valencia, La Liga, June 17, 2001
A predictable winner? Perhaps. But everything about Rivaldo's hat-trick against Valencia on June 17, 2001 beggared belief