ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রিয়াজ আফ্রিদি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পেশাওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান | ২১ জানুয়ারি ১৯৮৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | শাহীন আফ্রিদি (ভ্রাতা) ইয়াসির আফ্রিদি (চাচাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো/কম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ |
রিয়াজ আফ্রিদি (উর্দু: ریاض آفریدی; জন্ম: ২১ জানুয়ারি, ১৯৮৫) খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশাওয়ার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী কোচ ও সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে খাইবার পাখতুনখোয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।[১]
২০০১-০২ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রিয়াজ আফ্রিদি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ও শশব্যস্ত ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার রিয়াজ আফ্রিদি ২০০৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান দল ব্যর্থ হলেও বেশ সুখ্যাতি কুড়ান তিনি। ১৩-এর কম গড়ে ১৯ উইকেট দখল করে দলের শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। এরফলে, বড়দের দলে দ্রুত অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ঐ মৌসুমে ৮০টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান।
ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা শাহীন আফ্রিদি ২০১৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার জন্যে পাকিস্তান দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[২] পাকিস্তানি ফুটবলার ইয়াসির আফ্রিদি’র চাচাতো ভাই তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রিয়াজ আফ্রিদি। ২৮ অক্টোবর, ২০০৪ তারিখে করাচীতে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এছাড়াও, তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
২০০৪ সালের শেষদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানা নাভেদ-উল-হাসানের সাথে তারও একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[৩] দূর্ভাগ্যবশতঃ এটিই তার একমাত্র আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। খেলায় দুই উইকেট পেলেও তার বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে কেবলমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেটেই তিনি অংশ নিতে থাকেন। তবে, আঘাতের কারণেও তাকে এ স্তরের ক্রিকেটে প্রতিবন্ধকতার পরিবেশ সৃষ্টি করে।
আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা তেমন না থাকায় আটজন পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সালে অনুমোদনবিহীন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) থেকে খেলোয়াড়দের উপর আন্তর্জাতিক খেলাসহ ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।
২০০৭ সালে অনুমোদনবিহীন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে (আইসিএল) লাহোর বাদশাহের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। এরফলে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। ঐ মৌসুমের গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এনওয়াইএসডি লীগে গ্রেট আইটন সিসি’র পক্ষে খেলেন। ঐ লীগে দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। ঐ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন।