রুক্মী | |
---|---|
মহাভারতের চরিত্র | |
![]() | |
অস্ত্র | তলোয়ার |
পরিবার | ভীষ্মক (পিতা) রুক্মিণী (বোন) |
আত্মীয় | প্রদ্যুম্ন (জামাতা), রুক্মাবতী (কন্যা), অনিরুদ্ধ (পৌত্র), রোচনা (পৌত্রী) |
হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত অনুযায়ী রুক্মী (সংস্কৃত ভাষা: रुक्मी) ছিলেন বিদর্ভের শাসক৷ রুক্মী ছিলেন মহারাজা ভীষ্মকের জ্যেষ্ঠপুত্র এবং রুক্মিণীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা৷[১] হরিবংশমে উল্লেখ রয়েছে যে, রুক্মী কিমপুরুষ দ্রুম-এর কাছ থেকে যুদ্ধবিদ্যা সংক্রান্ত কলাকুশল শিক্ষালাভ করেন এবং পরশুরামের থেকে একাধিক দৈবাস্ত্র লাভ করেন৷ শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিণীর ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে বিদর্ভ রাজ্য থেকে অপহরণ করে বিবাহ করেন, যদিও রুক্মী তার ভগিনীর বিবাহ দিতে চেয়েছিলেন চেদীর মহারাজা শিশুপালের সহিত৷ রুক্মিণীকে অপহরণ কালে রুক্মী তাদের পথ আটকালে কৃষ্ণ তাঁকে পরাস্ত করেন কিন্তু কৃষ্ণ তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হলে সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী রুক্মিণীর অনুরোধে তিনি রুক্মীকে ক্ষমা করে দেন৷ নিজের বিজয় স্বরূপ রুক্মীকে শাস্তি দিতে তিনি রুক্মীর মাথা মুণ্ডণ করে দেন৷ [২]
কৃষ্ণের এরূপ আচরণে অপমানিত হয়ে রুক্মী আর কখনো বিদর্ভ রাজ্যের রাজধানী কৌণ্ডণ্যপুর (পুরাতন কুণ্ডিণাপুরী) ফেরৎ যান নি৷ তিনি কুণ্ডিণাপুরীর আরো পশ্চিমে নিজের আরেকটি রাজধানী স্থাপন করেন ভোজকাটাতে (বর্তমান পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়) এবং সেখান থেকেই রাজ্য শাসন করা শুরু করেন৷ রুক্মীর কন্যা রুক্মবতী কৃষ্ণের পুত্র তথা নিজ পিসতুতো ভ্রাতা প্রদ্যুম্নকে বিবাহ করেন৷ তাঁদের পুত্রসন্তানের নাম রাখা হয় অনিরুদ্ধ।[৩]
রুক্মী পরবর্তীকালে কৃষ্ণের মিত্রতা স্বীকার করলেও তার আত্মশ্লাঘার জন্য কৌরবপক্ষের দুর্যোধন বা পাণ্ডবপক্ষের অর্জুন কেউই রুক্মীকে বিশেষ পছন্দ করতেন না৷ উভয় পক্ষেরই অপছন্দ হওয়ার কারণে রুক্মী ও তার বিদর্ভ সেনা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কোনো পক্ষেই যোগদান না করে এই যুদ্ধ থেকে দূরে নিরপেক্ষ পরিস্থিতিতে ছিলেন৷
পাশা খেলায় বলরামের সাথে ছলনা করার জন্য বলরামের হাতে রুক্মীর মৃত্যু ঘটে৷[৪]