জোয়ান রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গ[১] ছিলেন একজন আমেরিকান আইনজীবী এবং আইনজ্ঞ যিনি ১৯৯৩ থেকে ২০২০ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সহযোগী বিচারপতি হিসাবে কাজ করেছিলেন।[২] তিনি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বায়রন হোয়াইটের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন কর্তৃক মনোনীত হয়েছিলেন এবং সেই সময় তাঁকে একজন মধ্যপন্থী সম্মতি-নির্মাতা হিসাবে দেখা হয়েছিল।[৩] গিন্সবার্গ ছিলেন প্রথম ইহুদি মহিলা এবং সান্দ্রা ডে ও'কনরের পরে কোর্টে দায়িত্ব পালনকারী দ্বিতীয় মহিলা। তার মেয়াদকালে, গিন্সবার্গ ইউনাইটেড স্টেটস বনাম ভার্জিনিয়া, ওলমস্টেড বনাম এলসি, সিটি অফ শেরিল বনাম ওনিডা ইন্ডিয়ান নেশন অফ নিউ ইয়র্ক ইত্যাদি মামলায় তার মত দিয়েছেন। পরের মেয়াদে, গিন্সবার্গ আবেগপূর্ণ ভিন্নমতের প্রতি মনোযোগ দিয়েছিলেন যা আইনের উদার মতামত প্রতিফলিত করে।
গিন্সবার্গ নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। তার বড় বোন, মেরিলিন, ছয় বছর বয়সে মেনিনজাইটিসে মারা যান, এবং তার মা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার কিছু আগে মারা যান।[৪] তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মার্টিন ডি. গিনসবার্গকে বিয়ে করেন। তিনি হার্ভার্ডে আইন স্কুলে পড়া শুরু করার আগে একজন মা হন। গিন্সবার্গ কলম্বিয়া ল স্কুলে স্থানান্তরিত হন, যেখানে তিনি তার ক্লাসে যুগ্ম প্রথম হন। ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি আন্তর্জাতিক পদ্ধতির উপর কলম্বিয়া ল স্কুল প্রকল্পের সাথে কাজ করেছিলেন, সুইডিশ ভাষা শিখেছিলেন এবং সুইডিশ আইনবিদ অ্যাণ্ডারস ব্রুজেলিয়াসের সাথে একটি বইয়ের সহ-রচনা করেছিলেন। সুইডেনে তার কাজ লিঙ্গ সমতার বিষয়ে তার চিন্তাভাবনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তারপরে তিনি রুটজার্স ল স্কুল এবং কলাম্বিয়া ল স্কুলে একজন অধ্যাপক হয়েছিলেন।
গিন্সবার্গ তার আইনি কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন লিঙ্গ সমতা এবং মহিলাদের অধিকারের জন্য একজন প্রবক্তা হিসেবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সামনে অনেক মামলা জিতেছেন। তিনি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক অ্যাটর্নি হিসাবে ওকালতি করেছিলেন। ১৯৭০ এর দশকে তিনি এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং একজন সাধারণ পরামর্শদাতা ছিলেন। ১৯৮০ সালে, রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার তাকে ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া সার্কিটের জন্য ইউএস কোর্ট অফ আপিলসে নিযুক্ত করেন, যেখানে অভাবেতিনি ১৯৯৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে তার নিয়োগের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে ও'কনরের অবসর গ্রহণ এবং ২০০৯ সালে সোনিয়া সোটোমায়র নিয়োগের আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টে একমাত্র মহিলা বিচারপতি।