রুদ্র পশুপথি নায়নার | |
---|---|
![]() | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | পশুপথি থিরুথালায়ুর |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
দর্শন | শৈবধর্ম, ভক্তি |
সম্মান | নায়ণার সন্ত |
রুদ্র পশুপতি নয়নার হলেন ১৬ তম নয়নার সাধক। পেরিয়া পুরানম্ (১৩শ শতক) এবং তিরুথোন্ডার থোগাই (১০ম শতক) এর মতো ঐতিহ্যবাহী জীবনীতে হিন্দু দেবতা শিবের প্রতি তার কিংবদন্তিময় জীবন এবং সেবার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। পশুপতি নায়নার ছিলেন একজন বিদগ্ধ ব্রাহ্মণ ভক্ত যিনি শ্রী রুদ্রম চমকম্ বা রুদ্রকে (শিবের একটি রূপ) নিবেদিত বৈদিক স্তোত্র জপ করতেন। তাই তিনি রুদ্র পশুপতি নায়নার নামে পরিচিত।[১]
রুদ্র পশুপতি নায়নার তিরুথালায়ুরের ছোট গ্রামে এক ধার্মিক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যা বর্তমানে তিরুভারুর জেলার নান্নিলাম তালুকে অবস্থিত (১৭ মায়িলাদুথুরাই থেকে কি.মি দক্ষিণে এবং কোল্লুমানগুড়ি হয়ে নেদুঙ্গাডু - কারাইকাল যাত্রাপথে )।[২] থিরুথালায়ুরে, শ্রী পার্বতী সমাধ শ্রী বালেশ্বর মন্দির নামে একটি প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে।
রুদ্র পশুপতি নয়নার ছিলেন প্রবল শিবভক্ত। তিনি সকাল-সন্ধ্যা পুকুরে যেতেন এবং মাথার উপরে হাত তুলে 'শ্রী রুদ্রম চমকম্' স্তোত্র উচ্চারণ করতেন। স্তোত্রটি শিবকে পরম সত্তা হিসাবে প্রশংসা করে এবং বিশ্বাস করা হয় যে, পাঠক শিবের অনুগ্রহ লাভ করে। বর্ণনা করা হয়েছে, নায়নারের তীব্র প্রার্থনার কম্পন শিবের আবাসে পৌঁছে গিয়েছিল, শিব নায়নারের ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে মোক্ষ প্রদান করেন।[৩][৪][৫]
তামিল পুরাত্তসি মাসে – অশ্বিনী নক্ষত্র সময়ে রুদ্র পশুপতি নায়নারের গুরু পূজা দিবস ব্যাপকভাবে পালিত হয়।