ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ রুবেল হোসেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ | ১ জানুয়ারি ১৯৯০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৬) | ৯ জুলাই ২০০৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৪) | ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২২ এপ্রিল ২০১৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭/০৮-বর্তমান | চট্টগ্রাম বিভাগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-বর্তমান | চিটাগং কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৯ মার্চ ২০১৫ |
মোহাম্মদ রুবেল হোসেন (জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৯০) খুলনা বিভাগের বাগেরহাটে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ক্রিকেটার। খেলায় তিনি মূলতঃ ডান-হাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে ডানহাতে ব্যাটিং করলেও তেমন সফল নন তিনি। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো পার্রফরমেসের জন্য খুব প্রশংসিত হয়েছেন ৷
দ্রুতগতির বোলার হিসেবে শ্রীলঙ্কা দলের লাসিথ মালিঙ্গা’র সাথে তার খানিকটা মিল রয়েছে।[১] ধারাবাহিকভাবে তিনি পেস ও বাউন্সার নিক্ষেপ করতে পারেন। ২০০৭ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষে অভিষিক্ত হন। খুলনা বিভাগের বিরুদ্ধে অভিষেকের ঐ খেলায় তিনি ১ উইকেট নেন ১৩৭ রানের বিনিময়ে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে ভালো ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলে মনোনীত হন। অল্পকিছুদিন বাদেই তিনি বাংলাদেশ এ দলে স্থানান্তরিত হন।
১৪ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটে রুবেলের। ওই খেলায় তিনি ৫ ওভার ৩ বল করে ৩৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট দখল করে বাংলাদেশের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। একই বছরের ৯ জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটে তার। ওই খেলায় তিনি ৩ উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে।
নভেম্বর, ২০১১ সালে পাকিস্তান দল বাংলাদেশে ৩টি ওডিআই এবং ২টি টেস্ট খেলে। প্রথম টেস্টে পাকিস্তান ইনিংসের ব্যবধানে জয়ী হয়। খেলায় বাংলাদেশ দল মাত্র ৫ উইকেট দখল করতে সক্ষম হয়েছিল। এ সময় রুবেলের গতিবেগ ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৯০ মাইল প্রতি ঘণ্টা) হলেও তিনি কোন উইকেট লাভ করতে পারেননি।[২][৩] তৃতীয় দিনে ফিল্ডিং করার সময় তিনি ডান কাঁধে ব্যথা পান।[৪]
২৯ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় তৃতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক করেন।[৫] তিনি একে-একে নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ সারির ব্যাটসম্যান কোরে অ্যান্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এবং জিমি নিশামকে আউট করে এ বিরল কীর্তিগাঁথা রচনা করেন।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[৬] এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।[৭]
৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৫ম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বাংলাদেশ দলগতভাবে সর্বোচ্চ রান তোলে।[৮] পরবর্তীতে তার প্রশংসনীয় বোলিংয়ে (৪/৫৩) বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হওয়াসহ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। ইংল্যান্ডের ২ উইকেট তুলে সেদিনকার জয়ে বাংলাদেশ চলে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানীয় ছয়টি দল নিয়ে টি টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।[৯] সেজন্যে দলের সদস্য নির্ধারণের লক্ষ্যে খেলোয়াড়দেরকে নিলামে তোলা হয়।[১০] সিলেট রয়্যালস রুবেলকে $৭০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দলে অন্তর্ভুক্ত করে।[১১]