রুহুল আমিন | |
---|---|
বায়তুল মোকাররমের খতিব | |
কাজের মেয়াদ ৩১ মার্চ ২০২২ – ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪[১] | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন |
উত্তরসূরী | মুহাম্মাদ আবদুল মালেক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গওহরডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ | ১২ মার্চ ১৯৬২
জাতীয়তা |
|
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
রুহুল আমিন (জন্ম: ১২ মার্চ ১৯৬২) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।[১][২][৩] তিনি ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর।
রুহুল আমিন ১৯৬২ সালের ১২ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শামসুল হক ফরিদপুরী। পিতার প্রতিষ্ঠিত গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা থেকে হেফজ, দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ও ইফতা সমাপ্ত করেন।
রুহুল আমিন ২০০৩ সালে তিনি গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিমের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের সভাপতি ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী সদস্য। তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক সমাজ গঠনমূলক সংগঠন খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বোর্ড অব গভমেন্টের গভর্নরসের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০২২ সালের ৩১ মার্চ তাকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মনোনীত করা হয়। এছাড়াও তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব, জামিয়াতুস সুন্নাহ শিবচর মাদারীপুর, ঢালকা নগর মাদরাসা গেন্ডারিয়া ঢাকার সাবেক মুহতামিম, গেন্ডারিয়া জামে মসজিদ ঢাকা ও আরমানিটোলা ঢাকার তাঁরা মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি শরিয়া সুপারভাইজারী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মাসিক আল আশরাফ পত্রিকার সম্পাদক। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদের মুতাওয়াল্লি, সভাপতি, প্রধান মুরব্বি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি ফতোয়া বৈধতার রায়ে দেশের শীর্ষ আলেম হিসেবে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতকে সহযোগিতা করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।[৪][৩]
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ শুরুর আগে অনুসারীদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা করেন ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে তাকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।[৫]
রুহুল আমিন ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ উপাধিতে ভূষিত করে সমালোচিত হয়েছিলেন।[৬][৭][৮]