রে ব্রাইট

রে ব্রাইট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
রেমন্ড জেমস ব্রাইট
জন্ম (1954-07-13) ১৩ জুলাই ১৯৫৪ (বয়স ৭০)
ফুটসক্রে, ভিক্টোরিয়া, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামক্যান্ডলস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৮০)
৭ জুলাই ১৯৭৭ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৯ অক্টোবর ১৯৮৬ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৯)
৩০ মার্চ ১৯৭৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই১১ এপ্রিল ১৯৮৬ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭২-১৯৮৮ভিক্টোরিয়ান বুশর‌্যাঞ্জার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৫ ১১ ১৮৪ ৪৭
রানের সংখ্যা ৪৪৫ ৬৬ ৪,১৩০ ৪৫৮
ব্যাটিং গড় ১৪.৩৫ ১৬.৫০ ২১.০৭ ১৯.০৮
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ২/১২ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৩৩ ১৯* ১০৮ ৭০
বল করেছে ৫,৫৪১ ৪৬২ ৩৭,৯১২ ২,৩৬৭
উইকেট ৫৩ ৪৭১ ৪০
বোলিং গড় ৪১.১৩ ১১৬.৬৬ ৩২.০৮ ৪১.১২
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৪
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৭/৮৭ ১/২৮ ৭/৮৭ ৩/৩০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৩/– ২/– ১০৭/– ১১/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২২ জুলাই ২০১৭

রে জেমস ব্রাইট (ইংরেজি: Ray Bright; জন্ম: ১৩ জুলাই, ১৯৫৪) মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়ার ফুটসক্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারঅস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্টএকদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি অর্থোডক্স স্পিন বোলিং করতেন। এছাড়াও নিচের সারির কার্যকরী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন রে ব্রাইট। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ান বুশ র‌্যাঞ্জার্সের প্রতিনিধিত্ব করতেন তিনি।[]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৭২-৭৩ মৌসুমে আঠারো বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ও ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন ব্রাইট। এর কয়েক সপ্তাহ পরই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত শতবার্ষিকী টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বাদশ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ঐ খেলায় তিনি চোয়ালে আঘাতপ্রাপ্ত রিক ম্যাককস্কারের পরিবর্তে মাঠে নামেন।

১৯৭৭-৭৮ ও ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলেন তিনি। তন্মধ্যে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৭৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে তার অভিষেক ঘটে। কিন্তু পরের একদশকে টেস্ট কিংবা একদিনের আন্তর্জাতিকে নিয়মিতভাবে অংশ নিতে পারেননি। বারো বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তিনি মাত্র ২৫ টেস্ট ও ১১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিতে পেরেছিলেন।

১৯৮৬ সালে মাদ্রাজের বিখ্যাত টাই টেস্টে স্মরণীয় সাফল্য পেয়েছিলেন। ঐ খেলায় ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়া দলকে একটি খেলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এপ্রিল, ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐ খেলায় তিনি সর্বশেষ অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তার দল পরাজিত হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলায় অংশ নেন তিনি। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তিনি দ্বাদশ ব্যক্তি ছিলেন।[]

গাইডিওন হেই একবার লিখেছিলেন যে, টেস্ট ক্রিকেট যতোনা খেলেছেন তারচেয়ে বেশি পরিচিত হয়ে আছেন বিভিন্ন সফরে অন্তর্ভুক্ত হয়ে।[] তন্মধ্যে, ১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৬-৭৭, ১৯৮১-৮২১৯৮৫-৮৬ নিউজিল্যান্ড সফরে; ১৯৭৭, ১৯৮০১৯৮১ মৌসুমে ইংল্যান্ড; ১৯৭৮-৭৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ১৯৭৯-৮০১৯৮২-৮৩; ১৯৮০-৮১ শ্রীলঙ্কা; ১৯৮৬-৮৭ ভারত ও ১৯৮৬ সালে শারজাহ গমন অন্যতম।

১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। এরপর তিনি ভিক্টোরিয়ার রাজ্য দলে নির্বাচক মনোনীত হন। এছাড়াও বেশ কয়েকবার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সন্তান অ্যাডাম ব্রাইট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বেসবল খেলছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]