Rainbow trout | |
---|---|
বয়স্ক স্ত্রী রেইনবো ট্রাউট | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Salmoniformes |
পরিবার: | Salmonidae |
গণ: | Oncorhynchus |
প্রজাতি: | O. mykiss |
দ্বিপদী নাম | |
Oncorhynchus mykiss (Walbaum, 1792) | |
প্রতিশব্দ[১] | |
previous scientific names
|
রেইনবো ট্রাউট (অনকোরহিনকাস মাইকিস) হচ্ছে এক ধরনের ট্রাউট মাছ এবং স্যালমনিড এর প্রজাতি, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের শীতল জলের স্রোতে বাস করে। স্টিলহেড (অনেকসময় স্টিলহেড ট্রাউট বলা হয়) হচ্ছে উপকূলীয় রেইনবো ট্রাউট। কলাম্বিয়া নদীর রেডব্যান্ড ট্রাউট দুই থেকে তিন বছর সাগরে বাস করার পরে আবার ফিরে আসে। গ্রেট লেকস সহ অন্যান্য স্বাদু পানির রেইনবো ট্রাউট সাধারণত স্টিলহেড নামেই পরিচিত।
স্বাদুপানির স্রোতে বাসকারী পূর্ণবয়স্ক রেইনবো ট্রাউটের গড় ওজন ১ থেকে ৫ পাউন্ড অন্যদিকে লেকে এবং নদীতে সমুদ্র থেকে ফিরে আসা মাছের ওজন ২০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়। প্রজাতি, আকৃতি এবং বাসস্থানের উপর ভিত্তি করে রঙের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। পূর্ণবয়স্ক মাছের গায়ে কানকো থেকে লেজ পর্যন্ত চওড়া লালচে ডোরা থাকে।
স্টিলহেড হচ্ছে আমেরিকার ওয়াশিংটন রাজ্যের অফিশিয়াল স্টেট ফিশ[২]
রেইনবো ট্রাউটের বৈজ্ঞানিক নাম Oncorhynchus mykiss.[৩] জার্মান প্রকৃতিবিদ এবং ট্যাক্সনমিস্ট জোহান জুলিয়াস ওয়ালবায়ুম ১৭৯২ সালে সর্বপ্রথম এই প্রজাতির নামকরণ করেন। মাছটির মাইকিস নামটি সাইবেরিয়ার কামচাটকার স্থানীয় কামচাটকান ভাষা থেকে নিয়েছিলেন ওয়ালবায়ুম। কামচাটকান ভাষায় মাইকিঝা অর্থ মাছ। গণ নামটি এসেছে গ্রীক অনকোস এবং রিনকোস থেকে।[৪]
স্কটিশ প্রকৃতিবিদ স্যার জন রিচার্ডসন এই প্রজাতির একটি নমুনার নামকরণ করেন Salmo gairdneri ১৮৩৬ সালে মেরেডিথ গেইরডনারের সম্মানে। মেরেডিথ কলাম্বিয়া নদী তীরের ফোর্ট ভ্যানকুয়েভার এর হাডসন বে কোম্পানীর সার্জন ছিলেন। তিনি রিচার্ডসনকে মাছের নমুনাটি সরবরাহ করেন।[৫] ১৮৫৫ সালে, উইলিয়াম পি. গিবসন, ক্যালিফোর্নিয়া একাডেএওভ সাইন্সের ভূতত্ত্ব ও খনিতত্বের কিউরেটর,[৬] একটি মাছের ঝাঁকের সন্ধান পান এবং এর নাম রাখেন Salmo iridia (Latin: rainbow), পরে নামটি সংশোধন করে রাখা হয়। Salmo irideus। পরে ওয়ালবায়ুমের বর্ণিত নমুনার সাথে মিলে এই নামটি হারিয়ে যায়।[৭]
১৯৮৯ সালে মর্ফোলজিক্যাল এবং জেনেটিক স্টাডিস থেকে জানা যায় প্রশান্ত বেসিনের ট্রাউট জেনেটিক্যালি প্যাসিফিক স্যালমনের নিকটাত্মীয়।[৮] সেজন্য ১৯৮৯ সালে শ্রেণিবিন্যাস কর্তৃপক্ষ রং্ধনু ট্রাউট সহ অন্যান্য প্যাসিফিক বেসিন ট্রাউটকে অনকোরহিনকাস গণে অন্তর্ভুক্ত করেন।[৪]
তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তে নামলে রংধনু ট্রাউট অভিবাসন শুরু করে।[৯] রংধনু ট্রাউটের সর্বোচ্চ জীবনকাল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ বছর।[১০]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Behnke2002-68
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি