রেখা | |
---|---|
জন্ম | ভানুরেখা গণেশন ১০ অক্টোবর ১৯৫৪ মাদ্রাজ, ভারত |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৬৬-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুকেশ আগারওয়াল (১৯৯০-১৯৯১) (আত্মহত্যা) |
পিতা-মাতা | জেমিনি গণেশন (পিতা) পুষ্পাভ্যাল্লী (মাতা) |
স্বাক্ষর | |
ভানুরেখা গণেশন (জন্মঃ ১০ অক্টোবর, ১৯৫৪) হিন্দী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেখা নামেই বেশি পরিচিত। রেখাকে বলিউডের চিরসবুজ যৌন আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে মনে করা হয়।[১][২] ১৯৬৬ সালে রাঙ্গুলা রত্নম নামে একটি তেলুগু ছবির মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ১৯৭০ সালে শাওন ভাদো নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে যাত্রা শুরু করেন।[৩] যদিও প্রথম দিকে তার কিছু ছবি সাফল্য পায় কিন্তু সত্তর এর দশকের মাঝের দিকে রেখা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন। তিনি প্রায়ই তার সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং যখন তিনি প্লাস্টিক সার্জারি সম্পন্ন করেন, তখন ভারতীয় মিডিয়া তাঁকে যৌন আবেদনের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে।[৪]
৪০ বছরের অভিনয় জীবনে রেখা ১৮০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। রেখা তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেন, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ও একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে। ১৯৮১ সালে উমরাহ জান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
রেখা তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা জেমিনি গণেশন ও তেলুগু অভিনেত্রী পুষ্পাভ্যাল্লীর ঘরে ভারতের চেন্নাইয়ে (পরে মাদ্রাজ) ১০ অক্টোবর, ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বড় হয়ে রেখা তার বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করেন।[৫] যদিও তিনি অর্ধেক তামিল এবং অর্ধেক তেলুগু কিন্তু তিনি তার বাড়িতে তেলুগু ভাষাতেই কথা বলেন।[৬] এছাড়াও রেখা ইংরেজি, হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন।[৭]
রেখার পিতামাতা বিবাহিত ছিলেন না এবং শৈশবে তার পিতা তাকে স্বীকার করেননি।[৫] শৈশবেই রেখা স্কুল ত্যাগ করেন এবং অভিনেত্রী হিসেবে তার ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন।[৮]
রেখা তেলুগু চলচ্চিত্র রাঙ্গুলা রত্নম (১৯৬৬)-এ বেবি ভানুরেখা নামে শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন। পরিণত অভিনেত্রী হিসেবে রেখার প্রথম কাজ হল রাজকুমারের বিপরীতে কন্নড় চলচ্চিত্র অপারেশন জ্যাকপট নাল্লি সি.আই.ডি ৯৯৯ (১৯৬৯)।[৫] একই বছর তিনি তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র আঞ্জানা সফর-এ অভিনয় করেন। তিনি পরে দাবী করেন যে বিদেশী বাজার দখল করার জন্য তাঁকে মুখ্য অভিনেতা বিশ্বজিতের সাথে একটি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছিল এবং চুম্বন দৃশ্যটি লাইফ ম্যাগাজিনের এশীয় সংস্করণে ছাপা হয়েছিল। চলচ্চিত্রটি সেন্সরজনিত সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং প্রায় এক দশক পর ১৯৭৯ সালে দো শিকারী শিরোনামে মুক্তি পায়।
১৯৭০ সালে তিনি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, প্রথমটি তেলুগু আম্মা কোসাম ও দ্বিতীয়টি সাওয়ান বাদোঁ। দ্বিতীয় ছবিটিকে বলিউডে তার অভিনয়ের অভিষেক হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁকে হিন্দি ভাষা রপ্ত করতে হয়, কারণ এটি তার মাতৃভাষা ছিল না। সাওয়ান বাদোঁ হিট তকমা লাভ করে এবং রেখা রাতারাতি তারকা খ্যাতি অর্জন করেন।[৫] এই সফলতার পরও তার মুখশ্রীর জন্য তিনি প্রায়ই অবজ্ঞার স্বীকার হন। তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব পান, তবে কোনটিই উল্লেখযোগ্য ছিল না এবং চরিত্রগুলো জাঁকজমকপূর্ণ তরুণী ভূমিকার ছিল। এই সময়ে তিনি রামপুর কা লক্ষণ (১৯৭২), কাহানী কিসমত কী (১৯৭৩) ও প্রাণ জায়ে পার বচন না জায়ে (১৯৭৪)-সহ কয়েকটি সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তদুপরি, তিনি তার অভিনয় দক্ষতার জন্য আলোচিত ছিলেন না।
তিনি তার চলচ্চিত্রের চরিত্র নির্বাচনে আরও সতর্ক হন এবং তার অভিনয় সমৃদ্ধ ভূমিকা ছিল ১৯৭৬ সালে অমিতাভ বচ্চনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও লোভী স্ত্রীর ভূমিকায় দো আনজানে চলচ্চিত্রে। এটি নীহাররঞ্জন গুপ্তের বাংলা উপন্যাস রাত্রির যাত্রী-র চলচ্চিত্রায়ন, যা পরিচালনা করেছিলেন দুলাল গুহ। ছবিটি সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে।[৫]
রেখা ১৯৯০ সালে দিল্লীর প্রখ্যাত শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেন। এক বছর পর যখন রেখা অমেরিকাতে তখন মুকেশ কয়েকবার চেষ্টার পর আত্মহত্যা করেন এবং চিরকুটে লিখে যান কারো কোন দোষ নেই।[৯] এর অগে ১৯৭৩ সালে মিডিয়াতে খবর রটে রেখা অভিনেতা বিনোদ মেহরাকে বিয়ে করেছেন, কিন্তু ২০০৪ সালের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সীমী গরেওয়াল এর সাথে কথোপকথনের সময় রেখা মেহরাকে বিয়ে করার কথা নাকচ করে দেন এবং তাকে একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে উল্লেখ করেন।[১০] বর্তমানে রেখা মুম্বাই এর বান্দ্রায় তার নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন।[১১]
বছর | চলচ্চিত্র | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
১৯৮২ | উমরাহ জান | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | বিজয়ী[১২] |
বছর | চলচ্চিত্র | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
১৯৭৯ | ঘর | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মনোনীত[১৩] |
১৯৭৯ | মুকাদ্দর কা সিকান্দর | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | মনোনীত[১৩] |
১৯৮১ | খুবসুরত | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | বিজয়ী[১৪] |
১৯৮১ | য়োধী | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মনোনীত[১৫] |
১৯৮২ | উমরাহ জান | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মনোনীত |
১৯৮৩ | জীবন ধারা | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মনোনীত[১৬] |
১৯৮৪ | মোঝে ইনসাফ চাহিয়ে | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | মনোনীত[১৭] |
১৯৮৯ | খুন বাড়ি মাঙ্গ | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | বিজয়ী[১৮] |
১৯৯২ | ফুল বেনী আঙ্গরায়ে | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মনোনীত[১৯] |
১৯৯৭ | খিলারীও কা খিলারী | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | বিজয়ী[২০] |
২০০২ | লজ্জা | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | মনোনীত[২১] |
২০০৩ | — | আজীবন সম্মাননা | বিজয়ী[২২] |
২০০৪ | কোই... মিল গয়া | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | মনোনীত |
২০০৭ | কৃষ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | মনোনীত[২৩] |
বছর | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|
২০০৩ | স্যামসাং দিভা পুরস্কার | বিজয়ী[২৪] |
২০১২ | ভারতীয় চলচ্চিত্রের মধ্যে বিশিষ্ট অ্যাচিভমেন্ট | বিজয়ী[২৫] |
বছর | চলচ্চিত্র | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
১৯৮৫ | উৎসব | শ্রেষ্ঠ হিন্দী অভিনেত্রী | বিজয়ী[২৬] |
বছর | চলচ্চিত্র | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
১৯৯৭ | খিলারীও কা খিলারী | শ্রেষ্ঠ খলনায়িকা | বিজয়ী |
১৯৯৮ | আস্থা- ইন দ্য প্রিজন অফ স্প্রিং | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মনোনীত[২৭] |
বছর | চলচ্চিত্র | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
২০০৬ | আজীবন সম্মাননা | বিজয়ী | |
২০০৭ | ফরেভার দিভা পুরস্কার | বিজয়ী[২৮] |
বছর | চলচ্চিত্র | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
২০০৬ | বছরের অনুকরনীয় মডেল | বিজয়ী[২৯] | |
২০১০ | স্টারডাস্ট সম্পাদক এর চয়েস আইকন | বিজয়ী[৩০] | |
২০১২ | ইন্ড্রাস্টিতে অনুকরনীয় মডেল | বিজয়ী |
বছর | চলচ্চিত্র | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
২০০৪ | কই মিল গেয়া | শ্রেষ্ঠ সহ অভিনেত্রী | বিজয়ী |
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)