রেগিস্তান

রেগিস্তান ও এর তিন মাদ্রাসা। বাম থেকে ডানে: উলুগ বেগ মাদ্রাসা, তিলইয়া-কুরি মাদ্রাসা ও শের-দুর মাদ্রাসা।

রেগিস্তান (ریگستان) তিমুরি রাজবংশের সময় বর্তমান উজবেকিস্তানের অন্তর্গত প্রাচীন সমরকন্দের মূল কেন্দ্র ছিল। ফারসিতে রেগিস্তান অর্থ বালুময় স্থান বা মরুভূমি।

রেগিস্তান ছিল একটি জনসমাগম চত্বর। এখানে রাজকীয় ফরমান শোনার জন্য মানুষ জড়ো হত। এছাড়া এখানে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ডও দেয়া হত। রেগিস্তানের কাঠামো ইসলামি স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত তিনটি মাদ্রাসাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে।

মাদ্রাসা

[সম্পাদনা]
উলুগ বেগ মাদ্রাসা
শের-দুর মাদ্রাসা
তিলইয়া-কুরি মাদ্রাসা

রেগিস্তান চত্বরের তিনটি মাদ্রাসা হল উলুগ বেগ মাদ্রাসা (১৪১৭-১৪২০), তিলইয়া-কুরি মাদ্রাসা (১৬৪৬-১৬৬০) ও শের-দুর মাদ্রাসা (১৬১৯-১৬৩৬)।

উলুগ বেগ মাদ্রাসা (১৪১৭-১৪২০)

[সম্পাদনা]

উলুগ বেগ মাদ্রাসা (ফার্সি: مدرسه الغ بیگ) তিমুরি রাজবংশের সময় তৈরী হয়। ১৫শ শতাব্দীতে এই মাদ্রাসা মুসলিম প্রাচ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ছিল। পারস্যের কবি, পণ্ডিত, সুফি জামি এখানে পড়াশোনা করেছেন।[] উলুগ বেগ স্বয়ং এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। উলুগ বেগের সরকারের সময় এই মাদ্রাসায় ধর্মীয় বিষয় ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষাদান করা হত।

শের-দুর মাদ্রাসা (১৬১৯-১৬৩৬)

[সম্পাদনা]

১৭শ শতাব্দীতে সমরকন্দের শাসক ইয়ালানগুশ বাখুদুর শের-দুর মাদ্রাসা (ফার্সি: شیردار) ও তিলইয়া-কুরি মাদ্রাসা (ফার্সি: طلاکاری) নির্মাণের আদেশ দেন।

তিলইয়া-কুরি মাদ্রাসা (১৬৪৬-১৬৬০)

[সম্পাদনা]

শের-দুর মাদ্রাসার দশ বছর পর তিলইয়া-কুরি মাদ্রাসা (ফার্সি: طلاکاری) নির্মাণ করা হয়। এটি ছিল শিক্ষার্থীদের আবাসস্থল কিন্তু মসজিদ হিসেবেও ভূমিকা পালন করত।

অন্যান্য স্থাপনা

[সম্পাদনা]

শায়বানিদের মাজার

[সম্পাদনা]

তিলইয়া-কুরি মাদ্রাসার পূর্ব দিকে শায়বানিদের মাজার রয়েছে। শায়বানি শক্তির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শায়বানি। ১৫০০ সালে তিনি চাগতাই খানাতের সাহায্য নিয়ে সমরকন্দ ও বুখারা জয় করেছিলেন।

চসরু বাণিজ্য গম্বুজ

[সম্পাদনা]

শের-দুর মাদ্রাসার পেছনে প্রাচীন বণিজ্য গম্বুজ চসরু অবস্থিত।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Mukminova, RG (২০০৭)। "The role of Islam in education in Central Asia in the 15th -- 17th centuries"STUDIES ON CENTRAL ASIA Nuova serie। 1। 87: 155–161।