ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রেজিনাল্ড হার্বার্ট স্পুনার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২১ অক্টোবর, ১৮৮০ বিলিঞ্জ, সেন্ট হেলেন্স, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২ অক্টোবর, ১৯৬১ লিঙ্কন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, দল নির্বাচক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ জুলাই ২০১৮ |
রেজিনাল্ড হার্বার্ট স্পুনার (ইংরেজি: Reggie Spooner; জন্ম: ২১ অক্টোবর, ১৮৮০ - মৃত্যু: ২ অক্টোবর, ১৯৬১) ল্যাঙ্কাশায়ারের সেন্ট হেলেন্স এলাকার বিলিঞ্জে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন রেজি স্পুনার। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের পক্ষে রাগবি ইউনিয়নে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বেকার ইংরেজ ক্রিকেটের স্বর্ণযুগে রেজি স্পুনার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শৌখিন ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় ক্রিকেটার হিসেবে স্বীয় প্রতিভার দ্যুতির বিচ্ছুরণ ঘটান। এরপর পড়াশোনার জন্য মার্লবোরা কলেজে ভর্তি হন।
১৮৯৯ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে প্রথমবারের খেলতে নামেন। এরপর তিন বছরের জন্য খেলার জগৎ থেকে দূরে সরে থাকেন। ঐ সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় বোর যুদ্ধে অংশ নিতে সামরিকবাহিনীতে যোগদান করেন।
১৯০৩ সালে পুনরায় ক্রিকেট জগতে ফিরে আসেন। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ২৪৭ রানের মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন। ঐ সময়ে কাউন্টি দলটির পক্ষে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহরূপে পরিচিতি পেয়েছিল। এরপর লিভারপুলের আইগবার্থে অনুষ্ঠিত খেলায় গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতে আর্চি ম্যাকলারেনের সাথে ৩৬৮ রানের জুটি গড়েন যা অদ্যাবধি ল্যাঙ্কাশায়ারের রেকর্ড হিসেবে অক্ষত রয়েছে। পরবর্তী তিন বছরে ম্যাকলারেন ও জনি টিল্ডসলেকে সাথে নিয়ে কাউন্টি দলের অবিস্মরণীয় ব্যাটিংশৈলী গড়ে তুলেন। এ পর্যায়ে আগস্ট, ১৯০৩ থেকে জুলাই, ১৯০৫ সাল পর্যন্ত কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের পঁয়তাল্লিশটি খেলায় দলটি অপরাজিত ছিল।
স্পুনারের অফ-ড্রাইভ বেশ দৃষ্টিনন্দন ও বেশ জোরালো ছিল। পাশাপাশি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বলের দিকে নজর রাখতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের স্বর্ণালী শিখরে অবস্থানকালীন অগ্নিসমতুল্য পিচে তিনি সেরা ফাস্ট বোলারদের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯০০-এর দশকে ওল্ড ট্রাফোর্ডের চমৎকার আবহাওয়ায় এ ধরনের পিচ ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ১৯০৪ সালে এসেক্স ও ১৯০৬ সালে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে আর্থার ফিল্ডারের ন্যায় বিখ্যাত বোলারের মুখোমুখি হয়েছেন।
১৯০৭ সালে স্পুনার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ ঘটান ও এক সময় ধারণা করা হয়েছিল যে, তিনি হয়তো আর মাঠে ফিরে আসবেন না। এ সময়ে পাঁচটি খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেন। কিন্তু কাউন্টি দলের দূর্বলমানের ব্যাটিং স্বত্ত্বেও ক্যান্টারবারিতে ফিল্ডারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ১৩৪ রান তুলেন।
স্কারবোরা উৎসবে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে গুগলি বলের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ান। ১৯০৮ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডের পিচে আবারো নিজেকে মেলে ধরেন। আগস্ট ব্যাংক হলিডের খেলায় ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নেন।
১৯১১ সালে ব্যবসায়িক জগৎ থেকে কিছুটা সময় বের করে আনেন। এরফলে আগস্ট ব্যাংক হলিডে পর্যন্ত নিয়মিতভাবে খেলার অনুমতি পান। ইনিংস প্রতি ৫১-এর অধিক গড়ে ২,৩১২ রান তুলেন। তবে, ব্যবসায়িক কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে পারবেন না বলে ঘোষণা দেন।
২৪ জুলাই, ১৯০৫ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রেজি স্পুনারের। ১৯১২ সালে ছয় টেস্টের সবকটিতেই রেজি স্পুনারের অংশগ্রহণ ছিল। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহকে উপেক্ষা করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যক্তিগত একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকান। পরের বছর শিকারে দূর্ঘটনায় নিপতিত হলে খেলা থেকে দূরে থাকতে হয় তাকে। এছাড়াও, ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে ঐ বছর থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছেন।
তাস্বত্ত্বেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০-২১ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) অধিনায়কত্ব করার প্রস্তাবনা পান ও তা গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য প্রস্তুতি নেন। কিন্তু আঘাতের কারণে এ দায়িত্ব প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। ফলশ্রুতিতে, এমসিসি দল জনি ডগলাসের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া সফরে যায় ও ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে পরাজিত হয়েছিল।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০৫ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন তিনি।[১]
ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি খেলায়ও সমান দক্ষতার পরিচয় বহন করেছেন তিনি। লিভারপুল আর.এফ. সি’র পক্ষে সেন্টার থ্রি-কোয়ার্টার এলাকায় অবস্থান করতেন। ১৯০২-০৩ মৌসুমে সোয়ানসীতে ওয়েলসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে খেলেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ল্যাঙ্কাশায়ারের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন রেজি স্পুনার। ২ অক্টোবর, ১৯৬১ তারিখে ৮১ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ারের লিঙ্কনে রেজি স্পুনারের জীবনাবসান ঘটে।