![]() প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ | |
লেখক | গীতাঞ্জলি শ্রী |
---|---|
অনুবাদক | ডেইসি রকওয়েল |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
প্রকাশক | রাজকমল প্রকাশন (হিন্দি); টাইটেলড অ্যাক্সিস প্রেস ও পেঙ্গুইন বুকস ইন্ডিয়া (ইংরেজি)[১] |
প্রকাশনার তারিখ | ২০১৮ (মূল); ২০২১ (অনুবাদ)[১] |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৬৯৬ |
রেত সমাধি (হিন্দি: रेत समाधि) হলো ভারতীয় কোনো ভাষায় রচিত প্রথম সেই সাহিত্যকর্ম, যার ইংরেজি অনুবাদ সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ অর্জন করেছে। এটি ২০১৮ সালে গীতাঞ্জলি শ্রীর লেখা একটি হিন্দি উপন্যাস,[২] যা মার্কিন চিত্রকর ও লেখক ডেইসি রকওয়েল Tomb of Sand শিরোনামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। উপন্যাসটি ২০২২ সালে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছে।[৩][৪][৫] রেত সমাধি শব্দগুচ্ছের বাংলা অর্থ হলো বালুর সমাধি
কল্পনাশ্রয়ী এই উপন্যাসটিতে স্বামীর মৃত্যুর পরবর্তীতে অবসাদাক্রান্ত হয়ে পড়া আশি বছর বয়সী এক বৃদ্ধার রূপান্তরধর্মী নবযাত্রার সন্ধান করা হয়েছে, যিনি তার মৃত্যুশয্যা থেকে উঠে নিজেকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। দেশভাগের স্মৃতিপীড়িত বৃদ্ধা যিনি সেসময় ছিলেন কিশোর বয়সী, একসময় তিনি পাড়ি জমান পাকিস্তানে তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর উদ্দেশ্যে।[৬]
উপন্যাসটি ভারতীয় ও অন্যান্য গ্রন্থ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুতে পর্যালোচক মিনি কাপুর একে "কখনোই শেষ হয় না এমন গল্পসমূহ নিয়ে অত্যাশ্চর্য শক্তিশালী এক গল্প" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[৭] আইরিশ অনুবাদক ও লেখক ফ্রাঙ্ক উইন, যিনি ২০২২ ইন্টারন্যাশনাল বুকারের প্রাইজের বিচারকমণ্ডলীর একজন, তিনি বলেছেন যে এটি "এটি ভারতবর্ষ এবং দেশভাগ নিয়ে দ্যুতিময় এক উপন্যাস। কিন্তু এটা তেমনই এক উপন্যাস, যার মন্ত্রমুগ্ধকর প্রাণবন্ত ভাব ও ভয়ঙ্কর সহানুভূতি যৌবন ও বয়সকে, নারী ও পুরুষকে, পরিবার ও জাতিকে বিচিত্ররূপপ্রদর্শনকারী এক বায়োস্কোপের সমগ্রতার মাঝে আন্দোলিত করে।"[৮] এখানে বিবিধ বিষয়ের ওপর কাজ করা হলেও সেটি অত্যন্ত আগ্রহোদ্দীপক, মনোমুগ্ধকর, মজার ও সহজবোধ্য হয়েছে বলে গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন তিনি। উপরন্তু তনি বলেছেন, “Rockwell's translation was stunningly realised, the more so because so much of the original depends on wordplay, on the sounds and cadences of Hindi.”[৯]
রেত সমাধির ইংরেজি অনুবাদটির আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জেতার পাশাপাশি, অ্যানী মোঁতুর ফরাসি অনুবাদ Ret Samadhi, au-delà de la frontière-টিকে ২০২১ সালের এশিয়া জন্য নির্ধারিত এমিল গিমেত সাহিত্য পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল।[১০]