রেবেকা | |
---|---|
![]() | |
মূল শিরোনাম | Rebecca |
পরিচালক | অ্যালফ্রেড হিচকক |
প্রযোজক | ডেভিড ও. সেলৎসনিক |
চিত্রনাট্যকার | |
কাহিনিকার | |
উৎস | ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই কর্তৃক রেবেকা |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
বর্ণনাকারী | জোন ফন্টেইন |
সুরকার | ফ্রাঞ্জ ওয়াক্সম্যান |
চিত্রগ্রাহক | জর্জ বার্নেস |
সম্পাদক | ডব্লিও. ডন হায়েস |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ইউনাইটেড আর্টিস্ট |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩০ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | মার্কিন$১২,৮৮,০০০[১] |
আয় | মার্কিন$৬ মিলিয়ন[১] |
রেবেকা (ইংরেজি: Rebecca) ১৯৪০ সালের আমেরিকান মনস্তাত্ত্বিক নাট্য-থ্রিলার চলচ্চিত্র। অ্যালফ্রেড হিচকক পরিচালিত প্রথম আমেরিকান প্রকল্প এবং ডেভিড ও. সেল্জনিকের সাথে চুক্তির অধীনে উৎপাদিত প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই-এর ১৯৩৮ সালের উপন্যাস অবলম্বনে ফিলিপ ম্যাকডোনাল্ড এবং মাইকেল হোগানের অভিযোজনের উপর ভিত্তি করে জোয়ান হ্যারিসন ও রবার্ট ই. শেরউডের একটি সংস্করণ ছিলো। ডেভিড ও. সেলৎসনিক প্রযোজিত[২] চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ছিলেন, লরন্স অলিভিয়ে, জোন ফন্টেইন, জর্জ স্যান্ডার্স এবং জুডিথ অ্যান্ডারসন।
সাদা-কালো এই চলচ্চিত্রে একটি গোথিক কাহিনীর বয়ান দেয়া হয়েছে। চলচ্চিত্রে ম্যাক্সিম ডি উইন্টারের প্রথম স্ত্রী, রেবেকাকে কখনই দেখানো হয় না, যিনি গল্প শুরু করার আগেই মারা যান।
ম্যাক্সিম দ্যু উইন্টার একজন অভিজাত বিপত্নীক। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এক তরুণীকে। অনাথ এই তরুণীর (যার নাম চলচ্চিত্রে কখনোই উল্লেখ করা হয় নি) সাথে পরিচয়ের পরই ম্যাক্সিমের প্রেম হয় এবং তারা দ্রুত বিয়ে করে। বিয়ের পর ম্যাক্সিম তার স্ত্রীকে গ্রামের প্রসাদবাড়িতে ইংল্যান্ডের ম্যান্ডারলিতে নিয়ে আসেন। সেখানে সব গৃহকর্তী এই তরুণীকে সাদরে আমণ্ত্রণ জানায় তবে ম্যাক্সিমের আগের স্ত্রী রেবেকা'র গৃহকর্তী মিসেস ডেনভারস্ তাকে অপছন্দ করেন। ডেনভারস্ এখনো মৃত রেবেকার স্মৃতি মনে ধরে রেখেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাক্সিমের নতুন স্ত্রীর সাথে রেবেকা'র তুলনা করতে শুরু করেন। মিসেস দ্যু উইন্টার ক্রমশ উপলব্ধি করেন তিনি এ-বাড়ির গৃহকর্তী হলেও এই বাড়িকে ঘিরে রয়েছে মৃত রেবেকার আত্মা! শুরু হয় মৃত এক সত্তার বিরুদ্ধে জীবীত প্রাণের টিকে থাকার প্রচেষ্টা।
যথাবিহিত চলচ্চিত্রে হিচকক'র ক্যামিও উপস্থিতি রয়েছে, চলচ্চিত্রের শেষের দিকে জ্যাক ফ্যাভেল যখন ফোন করতে যায় তখন ফোন বুথের পাশ দিয়ে তাকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
রেবেকা দুটি একাডেমি পুরস্কার জিতেছে এবং আরো নয়টি বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছিল:[৩] ১৯৩৬ সাল থেকে এটি একমাত্র চলচ্চিত্র (যখন প্রথম শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার চালু হয়) যেটি, বেস্ট পিকচার জিতে সত্ত্বেও, অভিনয়, নির্দেশনা বা লেখার জন্য কোন একাডেমি পুরস্কার পায়নি।
পুরস্কার | ||||
---|---|---|---|---|
পুরস্কার | বিভাগ | বিষয় | ফলাফল | |
একাডেমি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | সেলৎসনিক ইন্টারন্যশনাল পিকচার্স এবং ডেভিড ও. সেলৎসনিক | বিজয়ী | |
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, সালাকালো | জর্জ বার্নেস[৪] | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | অ্যালফ্রেড হিচকক | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ অভিযোজিত চিত্রনাট্য | রবার্ট ই. শেরউড এবং জোয়ান হ্যারিসন | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | লরন্স অলিভিয়ে | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | জোন ফন্টেইন | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | জুডিথ অ্যান্ডারসন | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সম্পাদনা | হাল সি. কার্ন | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত, মূল স্কোর | ফ্রাঞ্জ ওয়াক্সম্যান | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা, সাদাকালো | লিলে আর. হুইলার | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ স্পেশাল এফেক্ট | জ্যাক কসগ্রোভ এবং আর্থার জনস | মনোনীত |
রেবেকা এএফআই কর্তৃক দু'বার তাদের এএফআই ১০০ বছরের... ধারাবাহিক-এ সম্মানিত হয়েছে।
স্ট্রিমিং অডিও