নামসমূহ | |
---|---|
ইউপ্যাক নাম
বিস্(η৫-সাইক্লোপেন্টাডাইইনাইল)রোডিয়াম(II)
| |
অন্যান্য নাম
রোডোসিন
ডাইসাইক্লোপেন্টাডাইইনাইলরোডিয়াম | |
শনাক্তকারী | |
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|
কেমস্পাইডার | |
ইসি-নম্বর | |
পাবকেম CID
|
|
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|
| |
| |
বৈশিষ্ট্য | |
C10H10Rh | |
আণবিক ভর | ২৩৩.১০ g·mol−১ |
বর্ণ | হলুদ কঠিন (ডাইমার) |
গলনাঙ্ক | ১৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট; ৪৪৭ kelvin) ক্ষয়কারী (ডাইমার) এর সাথে |
ডাইক্লোরোমিথেন এ প্রায় দ্রবনীয় (dimer) এসিটোনাইট্রাইল এ সম্পূর্ণ দ্রবনীয় | |
সম্পর্কিত যৌগ | |
সম্পর্কিত যৌগ
|
ফেরোসিন, কোবাল্টোসিন, ইরিডোসিন, বিস্(বেনজিন)ক্রোমিয়াম |
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |
যাচাই করুন (এটি কি ?) | |
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |
বিস্(η৫-সাইক্লোপেন্টাডাইইনাইল)রোডিয়াম(II) নামে পরিচিত, রোডোসিন হল এমন একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত [Rh (C5H5) 2]। এর প্রতিটি অণুতে রোডিয়াম এর একটি পরমাণু থাকে যা সাইক্লোপেন্টাডাইইনাইল বলয় নামে পরিচিত পাঁচটি কার্বন পরমাণুর, দুইটি সমতলীয় অ্যারোমেটিক সিস্টেমের মধ্যে স্যান্ডউইচ বিন্যাসে আবদ্ধ থাকে। ইহাতে (হ্যাপটিক) সমযোজী রোডিয়াম-কার্বন বন্ধন বিদ্যমান থাকায় একে জৈব-ধাতব যৌগ বলা হয়। [Rh(C5H5)2] রেডিকেলটি ১৫০ ° সেলসিয়াস তাপমাত্রার উর্ধে বা শীতল হতে তরল নাইট্রোজেন তাপমাত্রার (-১৯৬ ° সেলসিয়াস) মধ্যবর্তী অবস্থায় পাওয়া যায়। কক্ষ তাপমাত্রায়, এই রেডিকেলের একজোড়া তাদের সাইক্লোপেন্টোডাইইনাইল বলয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি হলুদ কঠিন, ডাইমার গঠন করে।
১৯ শতকের জাইসের লবণ এবং নিকেল টেট্রাকার্বোনাইল এর আবিষ্কার জৈব-ধাতব রসায়নের ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত । এসকল যৌগ তৎকালিন সময়ে অধিষ্ঠিত রাসায়নিক বন্ধন মডেলের সাথে মানানসই না হওয়ায় রসায়নবিদরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিলেন। রোডোসিনের আয়রন এনালগ এবং বর্তমানে পরিচিত মেটালোসিন শ্রেণীর অন্তর্গত প্রথম যৌগ ফেরোসিন এর আবিষ্কার আরও নতুন চালেঞ্জের সৃষ্টি করে। ফেরোসিন এবং সেই সঙ্গে এর অনুরূপ রাসায়নিক কাঠামো বিশিষ্ট রোডোসেনিয়াম (রোডোসিনের ইউনিপজিটিভ ক্যাটায়ন) ও এর কোবাল্ট ও ইরিডিয়াম এর কাউন্টার পার্ট সমূহকে অস্বাভাবিক ভাবে রাসায়নিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় পাওয়া যায়। জৈব- ধাতব প্রজাতি ও উক্ত যৌগ সমূহের বিষদ গবেষণা শেষ পর্যন্ত নতুন বন্ধন মডেল গঠনে সহায়তা করে এবং এই মডেলটি দ্বারা সহজে এদের সংগঠন ও সুস্থিতি ব্যাখ্যা করা যায়। রোডোসেনিয়াম- রোডোসিন সিস্টেমসহ বিভিন্ন স্যান্ডউইচ যৌগের ওপর গবেষণার জন্য জেফরি উইলকিন্সন এবং আরনেস্ট অটো ফিসার ১৯৭৩ সালে রসায়ন বিভাগে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
স্থিতিশীলতা এবং প্রস্তুতির আপেক্ষিক স্বাচ্ছন্দতার কারণে, রোডোসিনিয়াম লবণসমূহ সাধারণত, অস্থিতিশীল যৌগ যেমন রোডোসিন এবং রোডোসিনের প্রতিস্থাপিত যৌগসমূহ তৈরির জন্য সূচনাকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মূল সংশ্লেষণে সাইক্লোপেন্টাডাইইনাইল অ্যানায়ন এবং ট্রিস্(এসিটাইলএসিটোনাটো)রোডিয়াম(III) ও গ্যাস-ফেজ জারণ বিজারণ ট্রান্সমেটালেসন এবং অর্ধ- স্যান্ডউইচ প্রিকারসার সহ অন্যান্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহৃত হতো বলে জানা যায়। অক্টাফিনাইলরোডোসিন হল (আটটি ফিনাইল গ্রুপ বিশিষ্ট একটি জাতক) সর্বপ্রথম কক্ষ তাপমাত্রায় পৃথককৃত রোডোসিনের প্রতিস্থাপিত যৌগ, যদিও ইহা বায়ুতে দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এক্স- রে ক্রিস্টালোগ্রাফি প্রমাণ করেছে যে অক্টাফিনাইলরোডোসিনে একটি স্ট্যাগার্ড কনফরমেশন বিশিষ্ট স্যান্ডউইচ কাঠামো বিদ্যমান রয়েছে। কোবাল্টোসিন, যা গবেষণায় একটি এক ইলেকট্রন দানকারী বিজারক হিসেবে কার্যকর হলেও, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত কোন রোডোসিন জাতক অনুরূপ ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত স্থিতিশীল নয়।