ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রোল্যান্ড অর্ল্যান্ডো বুচার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট ফিলিপ, বার্বাডোস | ১৪ অক্টোবর ১৯৫৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বুচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ব্যাসিল বুচার (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৮৯) | ১৩ মার্চ ১৯৮১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ এপ্রিল ১৯৮১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৮) | ২২ আগস্ট ১৯৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৪ - ১৯৯০ | মিডলসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৪/৭৫ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২/৮৩ | তাসমানিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১ | সাফোক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ |
রোল্যান্ড অর্ল্যান্ডো বুচার (ইংরেজি: Roland Butcher; জন্ম: ১৪ অক্টোবর, ১৯৫৩) বার্বাডোসের সেন্ট ফিলিপ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘বুচ’ ডাকনামে পরিচিত রোল্যান্ড বুচার।
ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন।[২] কেন ব্যারিংটনের মৃত্যু ও জ্যাকম্যানের ঘটনার কারণে তার সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন কিছুটা ম্লান হয়ে পড়ে।[১]
১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রোল্যান্ড বুচারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৪ সালে মিডলসেক্সে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে ওয়াল্টার লরেন্স ট্রফি লাভ করেন।
বিখ্যাত ক্রিকেটার ব্যাসিল বুচার সম্পর্কে তার কাকাতো ভাই ছিলেন। নিজ দেশ বার্বাডোস থেকে তেরো বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন।[১] মাঝারিসারির আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯০ সময়কালে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলেন। তার ব্যাটিংয়ের ধরন অনেকাংশেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পরিবেশের সাথে যুঁৎসই ছিল।[১]
১৯৮৩ সালে জর্জ ফেরিসের বলে চোখে আঘাত পেলে তার খেলোয়াড়ী জীবন হুমকির মুখোমুখি হয়। তবে, আরোগ্য লাভ করে পুনরায় খেলার জগতে ফিরে আসতে সক্ষম হন।[৩]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রোল্যান্ড বুচার। সবগুলো টেস্টই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১৩ মার্চ, ১৯৮১ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ এপ্রিল, ১৯৮১ তারিখে কিংস্টনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
কাউন্টি ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। দ্বিতীয় খেলায় প্রতি বলে রান তুলে অর্ধ-শতক উপহার দেন। অপরাজিত অর্ধ-শতকের কল্যাণে সেপ্টেম্বরে জিলেট কাপের চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান ও ক্যারিবীয়ায় দলের সাথে তাকে রাখা হয়। কিন্তু, তার ব্যাটিং কৌশল ফাস্ট বোলারদের কাছে হার মানে ও তাকে আর দলে রাখা হয়নি।
১৯৮০-৮১ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। ব্রিজটাউন টেস্টের মাধ্যমে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার গৌরব অর্জন করেন।[৩] স্থানীয় সংবাদপত্রে তার টেস্ট অভিষেকের বিষয়ে ‘আওয়ার বয়, দিয়ার ব্যাট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সর্বাপেক্ষা রোমাঞ্চকর, আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলতে সচেষ্ট থাকলেও দূর্ভাগ্যজনকভাবে হতাশার কবলে পড়ে অনিয়ন্ত্রিত পন্থায় প্রত্যেক বলে মোকাবেলা করার কারণে বিদেয় নিতেন। কমপক্ষে বারোবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে, মিডলসেক্সের পক্ষে খেলাকালে একবারই শতরানের সন্ধান পেয়েছিলেন।
ফিল্ডার হিসেবে তিনি বেশ নিখুঁতমানের ছিলেন। শুরুতে সীমানা বরাবর ও শেষের বছরগুলোয় স্লিপ অঞ্চলে অবস্থান করতেন।
১৯৮৯ সালে নিজ কাউন্টি অধিনায়ক মাইক গ্যাটিংয়ের নেতৃত্বে তৎকালীন নিষিদ্ধ ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় গমনে সম্মতি দেন। তবে, গণমাধ্যমে ঐ মৌসুমে তার আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলা থেকে বঞ্চিত হবার বিষয় প্রকাশিত হলে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।[৩]
ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন রোল্যান্ড বুচার। স্টিভেন্যাজ ও বিগলসওয়াডের পক্ষে অর্ধ-পেশাদারী পর্যায়ে ফুটবল খেলেন। ১৯৯০ সালে পেশাদারী পর্যায়ের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এরপর, অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায় জগতে ঝুঁকে পড়ার পাশাপাশি কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন।
২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের প্রার্থী হন ও স্বাক্ষাৎকারে তাকে বাদ দেয়া হয়। তার পরিবর্তে রজার হার্পারকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।[৪] ঐ বছরের শেষদিকে বারমুদা দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। তিনি আপদকালীন কোচ অ্যালান ডগলাসের স্থলাভিষিক্ত হন। এছাড়াও, তাসমানিয়া দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০০-০১ মৌসুমের রেড স্ট্রাইপ বোল প্রতিযোগিতায় কোচ হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
২০০১ সালের আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতার এক মাস পূর্বে এ দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হন ও মার্ক হার্পারকে তার পরিবর্তে নিয়োগ দেয়া হয়।[৬] নভেম্বর, ২০০৪ সালে বার্বাডোসের কেভ হিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্রীড়া পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[৭]