ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রোশন শ্রীবর্ধনে মহানামা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ৩১ মে ১৯৬৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | মহা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, ম্যাচ রেফারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫২) | ১৪ মার্চ ১৯৮৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ মার্চ ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩৬) | ২ মার্চ ১৯৮৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩০ মে ১৯৯৯ বনাম কেনিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
– | ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
– | কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১৫ মার্চ ২০১৪ |
রোশন শ্রীবর্ধনে মহানামা (সিংহলি: රොෂාන් මහානාම; জন্ম: ৩১ মে, ১৯৬৬) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এরপর তিনি আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করেছেন।[১]
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন ‘মহা’ ডাকনামে পরিচিত রোশন মহানামা। ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৮৫/৮৬ মৌসুমে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৬তম শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পড়েন তিনি।[২] মহানামা তার সমগ্র টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ৩০-এরও কম ব্যাটিং গড়ের অধিকারী ছিলেন। তা স্বত্ত্বেও তিনি চারটি সেঞ্চুরি করেছেন। কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ভারত ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিনি সর্বোচ্চ ২২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এ রান সংগ্রহের সময় তিনি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শ্রীলঙ্কার অন্যতম ব্যাটিং প্রতিভা সনাথ জয়াসুরিয়া’র সাথে তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড গড়েন।[৩] কিন্তু এ রেকর্ডটি পরবর্তীতে জুলাই, ২০০৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যে-কোন উইকেটে সবচেয়ে দীর্ঘতম জুটি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে ৬২৪ রান করে ভঙ্গ করেন।[৪]
১৯৮০-এর দশকের শেষ থেকে শুরু করে ও ১৯৯০-এর দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত তিনি নিজেকে একজন আদর্শ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অতুলা সামারাসেকারা ও হাথুরুসিংহা’র সাথে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নেমেছিলেন। ৯০-এর দশকের প্রথমার্ধে অরবিন্দ ডি সিলভা’র অধিনায়কত্বকালেও তিনি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৯৫/৯৬ মৌসুমে রোশন মহানামা’র আউটের সাথে সাথেই অরবিন্দ ডি সিলভাও খুব সহজেই আউট হয়ে যেতেন।
১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের খারাপ ফলাফলের পর থেকেই তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ও টেস্টে উপেক্ষিত হচ্ছিলেন। তরুণদেরকে দলে সুযোগ দিতেই তিনি ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। কিন্তু রমেশ কালুবিতরাণা ও সনাথ জয়াসুরিয়া’র ব্যাটিং উদ্বোধনে বৈপ্লবিক সাফল্য লাভ করায় পরবর্তীকালে তাঁকে মাঝারি সারিতে ব্যাটিং করতে হয়েছে। অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত তিনি চারটি টেস্ট ও চারটি ওডিআই সেঞ্চুরি হাঁকান।
রোশন মহানামার টেস্ট সেঞ্চুরির সংক্ষিপ্ত তালিকা ছক আকারে নিম্নে তুলে ধরা হলো।
রোশন মহানামা’র টেস্ট সেঞ্চুরি | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
রান | খেলা | প্রতিপক্ষ | নগর, দেশ | স্থান | বছর | |
[১] | ১৫৩ | ১৫ | নিউজিল্যান্ড | মোরাতুয়া, শ্রীলঙ্কা | তাইরোন ফার্নান্দো স্টেডিয়াম | ১৯৯২ |
[২] | ১০৯ | ১৬ | নিউজিল্যান্ড | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ড | ১৯৯২ |
[৩] | ১৫১ | ২০ | ভারত | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | পি. সারাভানামুত্তু স্টেডিয়াম | ১৯৯৩ |
[৪] | ২২৫ | ৪৪ | ভারত | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম | ১৯৯৭ |
রোশন মহানামার ওডিআই সেঞ্চুরির সংক্ষিপ্ত তালিকা ছক আকারে নিম্নে তুলে ধরা হলো।
রোশন মহানামা’র ওডিআই সেঞ্চুরি | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
রান | খেলা | প্রতিপক্ষ | নগর, দেশ | স্থান | বছর | |
[১] | ১০৭ | ৭২ | নিউজিল্যান্ড | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম | ১৯৯২ |
[২] | ১১৯* | ১০৮ | জিম্বাবুয়ে | হারারে, জিম্বাবুয়ে | হারারে স্পোর্টস ক্লাব | ১৯৯৪ |
[৩] | ১০৮ | ১০৯ | জিম্বাবুয়ে | হারারে, জিম্বাবুয়ে | হারারে স্পোর্টস ক্লাব | ১৯৯৪ |
[৪] | ১০১ | ১২৪ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত | শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ১৯৯৫ |
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ম্যাচ রেফারি হিসেবে মনোনীত হন। ২০০৪ সালে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার ওডিআই খেলার মাধ্যমে তার ম্যাচ রেফারি হিসেবে অভিষেক ঘটে। একই সিরিজে তিনি টেস্ট খেলা পরিচালনা করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত তিনি ৫৮ টেস্ট, ২২২টি ওডিআই ও ৩৫টি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলা রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২১ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার সিরিজে ৪র্থ ম্যাচ রেফারি হিসেবে ২০০তম ওডিআই খেলা পরিচালনা করেছেন।[৫] এ সময়কালে তিনি তিনবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পরিচালনা করেন।
সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে মহানামা ঘোষণা করেন যে, এ বছর শেষে আইসিসি ম্যাচ রেফারি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেবেন। এরফলে তিনি পরিবারকে আরও সময় দেয়াসহ নিজের ব্যবসার দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন বলে আশা করছেন।[৬] পরবর্তীতে ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে আইসিসি কর্তৃক ম্যাচ রেফারি হিসেবে খেলা পরিচালনার তার পরিবর্তে রিচি রিচার্ডসনকে মনোনয়ন দেয়া হয়।[৭]
|publisher=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)