ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রোহন ভোলালাল কানহাই | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পোর্ট মোর্যান্ট, ব্রিটিশ গায়ানা | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৩৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান ও মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৪) | ৩০ মে ১৯৫৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ এপ্রিল ১৯৭৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮) | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২১ জুন ১৯৭৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৪ - ১৯৭৪ | ব্রিটিশ গায়ানা/গায়ানা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৯ - ১৯৬০ | বারবাইস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬১ - ১৯৬২ | ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৪ - ১৯৬৫ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৮ - ১৯৭৭ | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৯ - ১৯৭০ | তাসমানিয়ান টাইগার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৪ - ১৯৭৫ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ এপ্রিল ২০১৪ |
রোহন ভোলালাল কানহাই (তামিল: ரோஹன் கன்ஹாய்; জন্ম: ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৩৫) ব্রিটিশ গায়ানার পোর্ট মোর্যান্টে জন্মগ্রহণকারী কোচ এবং বিখ্যাত ও সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৬০-এর দশকে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংসহ মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকেরও দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। স্যার গারফিল্ড সোবার্স, রয় ফ্রেডেরিক্স, ল্যান্স গিবস, আলভিন কালীচরণের ন্যায় সেরা ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সাফল্যগাঁথায় রোহন কানহাই ছিলেন নিত্য অনুষঙ্গ।
নিউ ওয়ার্ল্ড সাময়িকীতে সি. এল. আর. জেমস কানহাই সম্পর্কে বলেছেন যে, ‘তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের উন্নয়নের চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন।’[১] ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৫৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে রোহন কানহাইয়ের টেস্ট অভিষেক ঘটে। সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে উইকেট রক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে মাঠে নামেন। তিনি হুক শটের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন ও ভারসাম্য রক্ষার্থে শেষদিকে ঘাড় নিচু করতেন। শেষ দুই টেস্টে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন জেরি আলেকজান্ডার।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ৭৯ টেস্টে অংশগ্রহণ করে ৪৭.৫৩ রান গড়ে ৬,২২৭ রান সংগ্রহ করেছেন। কলকাতায় অনুষ্ঠিত টেস্টে ভারত ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিনি তার সর্বোচ্চ ২৫৬ রান করেন। অবসর গ্রহণের সময় তার ব্যাটিং গড় ছিল কমপক্ষে ২০ টেস্টে অংশগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্য পঞ্চম সর্বোচ্চ। ১৯৬৩ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে ওভাল টেস্টে ৭৭ রানের ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল জয়ী হয়েছিল।
৪০ বছর বয়সে ধূসর চুলের অধিকারী কানহাই ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় চমৎকার ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করেছিলেন। তার স্থিরতাপূর্ণ অর্ধ-শতকের কল্যাণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ভিত্তি এনে দেন। দলীয় অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের সেঞ্চুরিতে তার দল অস্ট্রেলিয়াকে ১৭ রানে পরাভূত করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছিল। ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট পতনের পর[২] রোহন কানহাই এবং ক্লাইভ লয়েড ক্রিজে নামেন। ৪র্থ উইকেটে এ জুটি ১৪৯ রান করে দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনে।[৩]
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ডেরেক মারের সাথে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[৪]
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর কানহাই জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম কোচ মনোনীত হন। এরপূর্বে তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। মে, ১৯৯২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় তার এ মনোনয়নের কথা ঘোষণা করা হয়। ১৯৯২-এর শরতে দলের অপ্রত্যাশিত সময়ে দায়িত্বভার নেয়ার পর ১৯৯৫ সালে অ্যান্ডি রবার্টসের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি।
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
পূর্বসূরী গারফিল্ড সোবার্স |
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৭২/৭৩-১৯৭৩/৭৪ |
উত্তরসূরী ক্লাইভ লয়েড |