নক্ষত্রাদি |
---|
রোহিণী আকাশের ১৪তম উজ্জ্বল প্রভার নক্ষত্র। এটি সূর্য থেকে ৬৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত বৃষরাশির উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে ২৮ নক্ষত্রের ৪র্থ এ সদস্যার প্রাচীন তথা ঋগ্বেদের ঋষিদের দেয়া নাম বিধাতা , প্রজাপতি , ব্রহ্মা , স্বপস্যমান বা স্বয়ম্ভূ , সূনুর্দ্দাধার(সূনু=সৃষ্টি+দায়+আধার) ইত্যাদি , সৈন্ধান্তিকরা যাকে রোহিণী নামে চিহ্নিত করছে । আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে এই নক্ষত্রের নাম Aldebaran (আলফা টাউরি)।
রোহিণী একটি লোহিত দানব, যা সূর্যের থেকেও ঠান্ডা। রোহিণীপৃষ্ঠের উষ্ণতা ৩৯০০K। এটির আয়তন সূর্র্যের প্রায় ৪৪ গুন্। নিজের অক্ষের চারদিকে একবার পাক খেতে রোহিণী ৫২০ দিন সময় নেয়।
স্পেস প্রোব পায়োনীয়ার ১০ রোহিণীর দিকে ধাবমান, যা আনুমানিক কুড়ি লক্ষ বছর পর রোহিণীর কাছাকাছি আসতে পারে।
বৃষ রাশি নক্ষত্রমন্ডলভুক্ত রোহিণী পৃথিবী থেকে উজ্জ্বল দেখালেও দূরত্ব ১৩০ আলোকবর্ষ আর দীপ্তি সূর্যের ৯০ গুণ । আকাশমন্ডলের ৩৬০ অংশের ৪০ থেকে ৫৩ অংশ ২০ কলা(কোণ পরিমাপ একক) পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ।
গৌতম পুত্র নোধা রোহিণী বন্দনা করেছে এভাবে : ' হে(ষু) চরাচর(র) বিধাতা(উশত) রোহিণী ! (তুমি) সনাতন (সনেমি) সখা (সখ্যং) স্বয়ম্ভূ (স্বপস্যমানঃ) , সৃষ্টির আধার [ সৃষ্ট(সূনু) জীব(দায়)-এর আধার ] , মৃতদেহত্যাগী (শবসা) বিদেহ(আমা) প্রাণ(অসু)কে নবকলেরবস্থ (ও) পূরণান্ত(পক্কমন্ত) জীবন(পয়ঃ) কর্ষিত(কৃষ্ণ) প্রাণে চেতনা(চিৎ) অধিসংস্থিত(অধিষে) কর '। [১] ।