ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রোহিত চন্দ ঠাকুরী | ||
জন্ম | ১ মার্চ ১৯৯২ | ||
জন্ম স্থান | সুর্খেত, নেপাল | ||
উচ্চতা | ১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি)[১] | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | পার্সিজা জাকার্তা | ||
জার্সি নম্বর | ৩২ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০৫–২০০৮ | অখিল নেপাল ফুটবল সংঘ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৯–২০১০ | মছিন্দ্র | ৩৬ | (৬) |
২০১০–২০১২ | হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস | ৩৮ | (৭) |
২০১২–২০১৩ | পিএসপিএস রিয়াউ | ১৫ | (০) |
২০১৩–২০১৫ | পার্সিজা জাকার্তা | ৩০ | (৩) |
২০১৫–২০১৬ | তেরেঙ্গানু ২ | ১২ | (২) |
২০১৬ | মনাং মরস্যাংদি | ৯ | (০) |
২০১৭– | পার্সিজা জাকার্তা | ৯৪ | (৮) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৪–২০১৮ | নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ | ৬ | (০) |
২০০৯– | নেপাল | ৭৩ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৩:৪৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৩:০৬, ২৩ অক্টোবর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
রোহিত চন্দ ঠাকুরী (নেপালি: रोहित चन्द, ইংরেজি: Rohit Chand; জন্ম: ১ মার্চ ১৯৯২; রোহিত চন্দ নামে সুপরিচিত) হলেন একজন নেপালি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে নেপালি ক্লাব পার্সিজা জাকার্তা এবং নেপাল জাতীয় দলের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
২০০৫–০৬ মৌসুমে, নেপালি ফুটবল ক্লাব অখিল নেপাল ফুটবল সংঘের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে রোহিত ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৯–১০ মৌসুমে, নেপালি ক্লাব মছিন্দ্রের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন; মছিন্দ্রের হয়ে মাত্র এক মৌসুমে ৩৬ ম্যাচে ৬টি গোল করার পর ২০১০–১১ মৌসুমে তিনি ভারতীয় ক্লাব হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকসে যোগদান করেছেন। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকসে দুই মৌসুম অতিবাহিত করার পর ইন্দোনেশীয় ক্লাব পিএসপিএস রিয়াউয়ের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি ১৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি পার্সিজা জাকার্তা, তেরেঙ্গানু ২ এবং মনাং মরস্যাংদির হয়ে খেলেছেন। ২০১৭–১৮ মৌসুমে, তিনি মনাং মরস্যাংদি হতে পুনরায় ইন্দোনেশীয় ক্লাব পার্সিজা জাকার্তায় যোগদান করেছেন।
২০১৪ সালে, রোহিত নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে নেপালের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি এরপূর্বে ২০০৯ সালে নেপালের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; নেপালের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৭৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
রোহিত চন্দ ঠাকুরী ১৯৯২ সালের ১লা মার্চ তারিখে নেপালের সুর্খেতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
রোহিত নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে নেপালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি ২০১৪ এশিয়ান গেমসে ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন।[২] রোহিত দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৪ এশিয়ান গেমসের জন্য ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলে স্থান পেয়েছিলেন; যেখানে তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। চার বছর পর ২০১৮ সালে পুনরায় তিনি ২০১৮ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছিলেন;[৩][৪] তবে পূর্ববর্তী আসরের মতো এই আসরেও তার দল গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। নেপালের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০০৯ সালের ২৬শে মার্চ তারিখে, মাত্র ১৭ বছর ও ২৫ দিন বয়সে, বাম পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী রোহিত ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ২০১০ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেপালের হয়ে অভিষেক করেছেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন;[৫] ম্যাচটি নেপাল ০–০ গোলে ড্র করেছিল।[৬][৭] নেপালের হয়ে অভিষেকের বছরে রোহিত সর্বমোট ৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
নেপাল | ২০০৯ | ৫ | ০ |
২০১১ | ১৩ | ০ | |
২০১২ | ৮ | ০ | |
২০১৩ | ৭ | ০ | |
২০১৪ | ৪ | ০ | |
২০১৫ | ৬ | ০ | |
২০১৭ | ৬ | ০ | |
২০১৮ | ৫ | ০ | |
২০১৯ | ৯ | ০ | |
২০২১ | ১০ | ০ | |
সর্বমোট | ৭৩ | ০ |