ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রোহিত গুরুনাথ শর্মা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | নাগপুর, মহারাষ্ট্র, ভারত | ৩০ এপ্রিল ১৯৮৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রোহিত শর্মা, হিটম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | টপ অর্ডার ব্যাটার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৮০) | ৬ নভেম্বর ২০১৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭ জুন ২০২৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬৮) | ২৩ জুন ২০০৭ বনাম আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১৭) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ১০ নভেম্বর ২০২২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬/০৭ - বর্তমান | মুম্বই | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ – ২০১০ | ডেকান চার্জার্স (জার্সি নং ৪৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ – বর্তমান | মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (জার্সি নং ৪৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |
রোহিত গুরুনাথ শর্মা (জন্ম: ৩০ এপ্রিল ১৯৮৭) একজন ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, যিনি বর্তমানে সমস্ত ফরম্যাটে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলেন এবং অধিনায়কত্ব করেন। তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের একজন হিসেবে বিবেচিত।[১] তিনি তার সময়, কমনীয়তা, ছয় মারার ক্ষমতা এবং নেতৃত্বের দক্ষতার জন্য পরিচিত। শর্মার একাধিক ব্যাটিং রেকর্ড রয়েছে যার মধ্যে বিখ্যাতভাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক ডাবল সেঞ্চুরি (৩) এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপে সর্বাধিক সেঞ্চুরি (৭) রয়েছে। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনি আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বাইয়ের হয়ে খেলেন। শর্মা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে দলটি ৫টি শিরোপা জিতেছিল।
নাগপুরের তেলুগু ভাষাভাষী পরিবারের সন্তান রোহিত শর্মার পিতা গুরুনাথ শর্মা ও মাতা পুর্ণিমা শর্মা। মুম্বাইয়ে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ শেষে বৃত্তি নিয়ে বরিবালী স্বামী বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[২] সেখানেই বিদ্যালয়ের ক্রিকেট কোচ দীনেশ ল্যাডের দৃষ্টিতে পড়েন তিনি।[৩] পরবর্তীতে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেন। চেতেশ্বর পূজারা তার সতীর্থ ছিলেন। সেসময় ইয়ন মর্গ্যান, ডিন এলগার, টম কুপার, মুশফিকুর রহিম, অ্যারন ফিঞ্চ, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, মইসেস হেনরিকুইস, সাকিব আল হাসান, উসমান খাওয়াজা, গ্যারি ব্যালেন্স, ক্রেগ কাইজওয়েটার, টিম সাউদি ও মঈন আলী তার প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড় ছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ভারত দলে তিনি সহ-অধিনায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতে উদ্বোধনী ম্যাচে তিনি ১৪৪ বলে ১২২ রান করে ম্যাচ সেরা হন এবং ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২,০০০ রান পূর্ণ করেন। ৯ই জুন তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অর্ধশতক করেন এবং কোন নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে সবচেয়ে কম ইনিংস (৩৭ ইনিংস) খেলে ২০০০ রান করেন।[৪] ৬ই জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্কে তিনি প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে পাঁচটি শতক করেন। এছাড়া তিনি দুই বিশ্বকাপে ৬টি শতক করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ শতকের দিক থেকে শচীন তেন্ডুলকরকে স্পর্শ করেন।[৫]
যুব বিশ্বকাপের সাফল্যের কারণে ২০০৬ সালের দেওধর ট্রফিতে পার্থিব প্যাটেল এর নেতৃত্বে পশ্চিমাঞ্চলের দলে সুযোগ পান।
যুব বিশ্বকাপের সাফল্যের কারণে ২০০৬ সালের জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টপ এন্ড সিরিজে পার্থিব প্যাটেল/ভেনুগোপাল রাও এর নেতৃত্বে ভারত 'এ' দলে সুযোগ পান।
২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃ রাজ্য টি২০ প্রতিযোগিতায় অমল মজুমদারের নেতৃত্বে মুম্বই দলে সুযোগ পান।
২০০৭ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে ফিউচার কাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেন। বেলফাস্টে অনুষ্ঠিত খেলায় তার অভিষেক ঘটলেও তিনি ব্যাটিং করেননি।[৬]
২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ তারিখে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করেন। ঐদিন আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪০ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে দলকে বিজয়ের মুখ দেখান।[৭] অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে ৫ম উইকেট জুটিতে ৮৫ রান করে দলকে ১৫৩/৫-এ নিয়ে যান। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৭] এছাড়াও, চূড়ান্ত খেলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ বলে ৩০ রান করেন।[৮]
বিশ্বের ৯৮তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ৭ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি তার প্রথম টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনটি দ্বী শতক রানের ইনিংস গড়েন রোহিত। সর্বোপরি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২৬৪ রান করে নতুন রেকর্ডের অধিকারী হন তিনি। এছাড়াও, লিস্ট-এ ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৩ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত সফরকারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে মাত্র ১৭৩ বল থেকে ২৬৪ রান করে দলকে পঞ্চমবারের মতো চার শতাধিক রান সংগ্রহে সহায়তা করেন। মাত্র চার রানের জন্য লিস্ট-এ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন ও শেষ বলে তিনি আউট হন। ৩৩ চার ও ৯ ছক্কার সাহায্যে তিনি এ রান সংগ্রহ করেন।[৯] ৫৯ রানে ২ উইকেটের পতনের পর কোহলিকে সাথে নিয়ে ২০২ রানের জুটি গড়েন।