র্মা-রিন-ছেন-ম্ছোগ

র্মা-রিন-ছেন-ম্ছোগ

র্মা-রিন-ছেন-ম্ছোগ (তিব্বতি: རྨ་རིན་ཆེན་མཆོགওয়াইলি: rma rin chen mchog) অষ্টম শতাব্দীর একজন তিব্বতী বৌদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন।

পরিচয়

[সম্পাদনা]

র্মা-রিন-ছেন-ম্ছোগ বৌদ্ধ পণ্ডিত বিমলমিত্রের শিষ্য ও বৌদ্ধ ধর্ম গুরু পদ্মসম্ভবের পঁচিশজন মুখ্য শিষ্যের মধ্যে একজন ছিলেন। এছাড়াও তিনি সংস্কৃত বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিকে তিব্বতী ভাষায় অনুবাদকারী একজন লো-ত্সা-বা ছিলেন। শান্তরক্ষিত দ্বারা আদিষ্ট প্রথম সাত জন বৌদ্ধের মধ্যে তিনি অন্যতম। []:৫১৫

অনুবাদ ও অন্যান্য কৃতিত্ব

[সম্পাদনা]

র্মা-রিন-ছেন-ম্ছোগ বিমলমিত্রের সঙ্গে গুহ্যসমাজ তন্ত্র, মহাযোগ সম্বন্ধীয় র্ত্সা-বার-গ্যুর-স্গ্যু-ফ্রুল-স্দে-ব্র্গ্যাদ এবং আঠারো মহান তন্ত্রপিটকের মূল তন্ত্র গুহ্যগর্ভ তন্ত্র গ্রন্থগুলি রচনা ও অনুবাদ করেন। []:২৪৮ এছাড়া তিনি লাসা পরিষদে কমলশীলকে বিজয়ী হতে সহায়তা করেন।[]

পরবর্তী জীবন

[সম্পাদনা]

তিব্বতের শেষ সম্রাট গ্লাং-দার-মার হত্যার পর র্মা-রিন-ছেন-ম্ছোগের জীবন সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় না। গ্লাং-দার-মার হত্যার ফলস্বরূপ তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্ম বিরোধী গোষ্ঠীর হাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে কোন কোন ঐতিহাসিকদের মতবাদ থাকলেও অনেকে মনে করেন তিনি বাকি জীবন খাম অঞ্চলে পালিয়ে গিয়ে মহাযোগ শিক্ষা দান করে কাটিয়ে দেন। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Dudjom Rinpoche and Jikdrel Yeshe Dorje (1991). The Nyingma School of Tibetan Buddhism: its Fundamentals and History. Two Volumes. Translated and edited by Gyurme Dorje with Matthew Kapstein. Wisdom Publications, Boston. আইএসবিএন ০-৮৬১৭১-০৮৭-৮
  2. Mandelbaum, Arthur (2007-08)। "Ma Rinchen Chok"The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ 2013-08-19  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

আরো পড়ুন

[সম্পাদনা]
  • Bradburn, Leslie, ed. 1995. Masters of the Nyingma Lineage. Cazadero: Dharma Publications, 1995, pp. 55–56.
  • Roerich, George, trans. 1996. The Blue Annals. 2nd ed. Delhi: Motilal Banarsidas, p. 167; 191.
  • Tarthang Tulku. 1975. Bringing the Teachings Alive. Cazadero, CA: Dharma Publishing, pp. 79–80.
  • 'Jam mgon kong sprul blo gros mtha' yas. 2007. Gter ston brgya rtsa. In Rin chen gter mdzod chen mo. New Delhi: Shechen, v.1 pp. 393–394.