র্যাটল সাপ/ঝুমঝুমি সাপ | |
---|---|
Crotalus cerastes | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Serpentes |
পরিবার: | Viperidae |
উপপরিবার: | Crotalinae |
গণ | |
র্যাটল সাপ (ইংরেজি: Rattlesnake — উচ্চারণ: র্যাট্ল্স্নেইক) একপ্রকার বিষধর সাপ। এরা Crotalus এবং Sistrurus গণের অধিভু্ক্ত। এরা সেসমস্ত বিষাক্ত সাপের উপপরিবারের অন্তর্গত, যারা সাধারণত পিট ভাইপার নামে পরিচিত। এটি মূলত মরু এবং পাথুরে অঞ্চলের সাপ।
পৃথিবীতে র্যাটল সাপের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩২ আর উপপ্রজাতির(Sub Species) সংখ্যা ৬৫-৭০।[১] এর র্যাটল নামকরণের কারণ তাঁদের লেজের শেষাংশে ঝুমঝুমির মতো শব্দ উৎপন্নকারী একটি অংশ। ইংরেজি rattle (র্যাটল) শব্দের বাংলা অর্থ ঝুমঝুমি। কোনো রকম হুমকি বা বিপদের সম্মুখীন হলে তারা এই র্যাটল ব্যবহার করে। র্যাটল সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Crotalus এসেছে গ্রিক শব্দ κρόταλον থেকে, যার ইংরেজি ক্যাসটানেট (castanet)। এটি এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র। Sistrurus নামক ল্যাটিন শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Σείστρουρος বা Seistrouros থেকে, যার ইংরেজি অর্থ ‘tail rattler’ (বাংলা: ঝুমঝুমি লেজ)। এছাড়া ঝুমঝুমির ন্যায় একপ্রকার প্রাচীন মিশরীয় বাদ্যযন্ত্র সিসট্রাম (sistrum) থেকেও শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে বলে ধরা হয়। বেশিরভাগ র্যাটল সাপ বসন্তকালে প্রজননে অংশ নেয়। কিছু প্রজাতি ডিম পাড়ে, এছাড়া সব প্রজাতিই সরাসরি বাচ্চা জন্ম দেয়। বাচ্চা সাপ জন্ম থেকেই আত্মনির্ভরশীল। জন্মের পর তাদের মায়ের সংস্পর্শের প্রয়োজন হয় না, এবং জন্মের পর মা সাপও বাচ্চার সাথে থাকে না।
র্যাটল সাপের প্রধান খাদ্য ইঁদুর, নেংটি ইঁদুর, ছোট পাখি, এবং অন্যান্য ছোট ছোট প্রাণী। প্রথমে এরা শিকারকে একটা দ্রুত বিষাক্ত দংশনের দ্বারা কাবু করে ফেলে। বিষাক্রিয়ার ফলে শিকার সাধারণত খুব তাড়াতাড়িই তার চেতনা হারায় বা মৃত্যুর শিকার হয়। র্যাটল সাপ বিষ ২০ সেকেন্ডের মধ্যে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু বিষক্রিয়ায় সহজে মারা যাবে এমন শিকার থেকে, পালিয়ে যাবার চেষ্টা করবে এমন শিকারই এ সাপের বেশি পছন্দ। র্যাটল সাপ তার দেহের দৈর্ঘ্যের দুই-তৃতীয়াংশ দূরত্বে দংশন করতে পারে।তাই এটি বিষধর সাপ বলা হয়।
যদিও অধিকাংশ সাপ ওভিপ্যারোয়াস (oviparous), অর্থাৎ ডিম পাড়ে, কিন্তু র্যাটল সাপ ওভোভিভিপ্যারোয়াস (ovoviviparous), অর্থাৎ যখন ডিম পাড়ে বা পাড়ার সময় আসে, স্ত্রী সাপ ডিমগুলো নিজের শরীরের ভেতর সংরক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে ডিম পাড়ার পর ডিমে তা দেয়। এছাড়া কিছু র্যাটল সাপ আছে যেগুলো ভিভিপ্যারোয়াস (viviparous)—এগুলো সরাসরি বাচ্চা সাপের জন্ম দেয়। সদ্যজন্ম নেওয়া সাপের কোনোপ্রকার লালনপালনের প্রয়োজন হয় না। ডিম ভেঙে বেরিয়ে আসার পর বা জন্মের পরপরই বাচ্চা সাপ চলাফেরা করতে পারে।
কতোগুলো ফাঁপা গুটি পরপর খাপে খাপে মিলে একটি র্যাটল বা ঝুমঝুমি গঠন করে। প্রকৃতপক্ষে এই ফাঁপা গুটিগুলো একধরনের পরিবর্তিত আঁশ এবং লেজের আগা থেকে এগুলোর উৎপত্তি। প্রতিবার খোলস পাল্টানোর সময় র্যাটলে একটি করে পর্ব সংযুক্ত হয়। খাদ্যের পর্যাপ্ততা এবং শরীরের বৃদ্ধির হারের উপর ভিত্তি করে র্যাটল সাপ বছরে কয়েকবার খোলস পাল্টাতে পারে। সদ্যজন্ম নেওয়া সাপের পরিপূর্ণ বা কার্যকরী র্যাটল থাকে না। প্রথম যে গুটিটা থাকে সেটাকে বাটন (button) বলে এবং ঝুমঝুম শব্দ (rattling sound) করার জন্য প্রথমবার খোলস পাল্টানোর পর তাদের বাটনের শেষে অতিরিক্ত একটি গুটির সৃষ্টি হয়। এভাবে প্রতিবার খোলস পাল্টানোর সাথে সাথে গুটির পরিমাণ বাড়তে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক সাপ বিভিন্ন সময়ে তাদের র্যাটল হারাতে পারে, কিন্তু সচারচর প্রতিবার খোলস পাল্টানোর সময়ই র্যাটল পাল্টাতে দেখা যায়। আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে যদি র্যাটল যথেষ্ট পরিমাণ পানি শোষণ করে তবে তবে এটি কোনো শব্দ উৎপন্ন করতে পারে না।
বিভিন্ন প্রকার র্যাটল সাপের প্রজাতির আকার, বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন, বসবাসের স্থান, এবং মেজাজে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়। কোণঠাসা হয়ে না পড়লে বা কোনোরকম হুমকির সম্মুখীন না হলে, র্যাটল সাধারণত মানুষের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় না, কিন্তু সবসময় আবার এরকমটি হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দংশন ঘটে যখন মানুষ র্যাটল সাপকে চমকে বা রাগিয়ে দেয়। কুণ্ডুলী পাকিয়ে থাকা সাপের ক্ষেত্রে দংশনের সীমারেখা ও গতি আন্দাজ করা কষ্টকর। সাধারণত দংশনের সীমা হয় সাপের দেহের দৈর্ঘ্যের দুই-তৃতীয়াংশ এবং এরা চোখের পলকে আক্রমণ করতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু সময় এই সাপ আশ্চর্যজনকভাবে তার শরীর পেছনের দিকে বাঁকানো ছাড়াই আক্রমণ করতে পারে। সাপের অন্য কোনো প্রজাতিতে এধরনের আক্রমণ পদ্ধতি আছে বলে জানা যায় না। র্যাটল সাপের বসবাস আছে, এমন স্থানে দংশন থেকে আত্মরক্ষার জন্য হাইকারদের ভারী বুট জুতার সাথে, চামড়া বা মোটা কাপড়ের তৈরি লম্বা প্যান্ট পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
যেসব দেশে বা স্থানে র্যাটল সাপের বসবাস সেসব জায়গার গ্রন্থাগার, বই-পুস্তক বিক্রয়কেন্দ্র, ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার কার্যালয়গুলোতে র্যাটল সাপ শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ পুস্তিকা পাওয়া যায়। র্যাটল সাপের সংস্পর্শ এড়ানোর জন্য সতর্ক পর্যবেক্ষণের সাথে চলাচল করা এবং কোনো বন্যপ্রাণীর নিকটবর্তী না হওয়া উচিত। হাইকারদের চলার পথে (ট্রেইল) কোনো কোটোরাকৃতি গাছের গুড়ি বা শিলাখণ্ড পড়ে থাকতে দেখলে, এবং কোনো পাথুরে উঁচু জায়গা বা খাড়া দেয়ালের মতো জায়গায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ এসব স্থানে র্যাটল সাপ লুকিয়ে থাকতে পারে বা রোদ পোহাতে পারে। এছাড়া কখনো কখনো র্যাটল সাপকে কোনো ট্রেইলের মাঝেও রোদ পোহাতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে ট্রেইলের কোনো স্থানে র্যাটলের মুখোমুখী হয়ে গেলে সাপকে কোনো রকমভাবে চমকে না দিয়ে বরং যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখা উচিত যেনো সাপটি কোনো রকম আক্রমণ করা ছাড়াই সে স্থান ছেড়ে চলে যেতে পারে।
জন্মের সময়ই র্যাটল সাপ সম্পূর্ণ বিষপ্রয়োগে সক্ষম, সুগঠিত বিষদাঁতসহ জন্ম নেয় এবং দংশনের সময় প্রয়োগকৃত বিষের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সাধারণত দংশনের সময় তারা শিকারকে পূর্ণমাত্রায় বিষ প্রয়োগ করে, কিন্তু দংশন যখন আত্মরক্ষার্থে হয় তখন তারা বিষ প্রয়োগ ছাড়াই বা দংশনে অল্প পরিমাণ বিষ প্রয়োগ করতে পারে। উল্লেখ্য সাপ যদি ভীত বা আঘাতগ্রস্থ হয় তবে তা দংশনের সময় এসব চিন্তা নাও করতে পারে। বাচ্চা সাপ পূর্ণবয়স্ক সাপের তুলনায় আরো বেশি ভয়ঙ্কর, কারণ দংশনের সময় বিষের পরিমাণ তারা সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।[২] এবং দেখা যায়, সাধারণত একটা বাচ্চা বা কমবয়স্ক সাপ একবার কামড়ে তার সম্পূর্ণ বিষ-ই প্রয়োগ করে। আর এই বিষ কতোটুকু মরণঘাতী তা নির্ভর করে যে প্রাণীকে দংশন করা হয়েছে তার ওপর।
বেশিরভাগ প্রজাতির র্যাটল সাপের বিষ হেমোটক্সিক। এধরনের বিষক্রিয়ায় শরীরের টিশ্যু ধ্বংস হয়, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং কোয়াগুলোপ্যাথি (রক্ত জমাট ব্যাহত হওয়া) দেখা দেয়। বিষাক্ত দংশনের ক্ষেত্রে ক্ষত যদি খুব মারাত্মক হয় ও এনভেনোমেশন (envenomation), অর্থাৎ দংশন পরবর্তী শরীরে বিষের উপস্থিতি যদি খুব বেশি হয় তবে অতিসত্বর, কার্যকর চিকিৎসা দেয়া সত্ত্বেও দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে বা মৃত্যু ঘটতে পারে। এছাড়া এমনটি ঘটতে পারে যদি চিকিৎসা দেরি করে দেওয়া হয় বা সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা না হয়। এজন্য র্যাটল সাপের দংশনে সবসময়ই মারত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া না হলে র্যাটল সাপের দংশন (বিশেষ করে বড় প্রজাতিগুলোর) সবসময়ই প্রাণঘাতী। সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম (antivenom) প্রয়োগ করা হলে তা মৃত্যুর হার ৪% কমিয়ে আনে। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ মানুষ বিষধর সাপের কামড়ের শিকার হয়। এর মধ্যে গড়ে ৫ জন দংশনের ফলে মৃত্যুর শিকার হন।[৩] এবং এই ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ দংশনের ৭২% সংঘটিত হয় পুরুষ র্যাটল সাপের দ্বারা[৪]
কিছু র্যাটল সাপে, বিশেষ করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সাপগুলোতে নিউরোটক্সিক বিষের উপস্থিতি দেখা যায়। এধরনের সাপের একটি কামড়েই স্নায়ুতন্ত্রের কোনো অংশের মৃত্যু বা মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এবং এর ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্থতার ঝুকি দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার, এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু অংশে মোজাভে র্যাটল সাপ (Crotalus scutulatus)-এর উপস্থিতি দেখা যায়, যার নিউরোটক্সিক বিষের উপদান “মোজাভে টাইপ এ” বিষ নামে পরিচিত। ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে এফডিএ (যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগস কর্তৃপক্ষ) অনুমোদিত বর্তমান অ্যান্টিভেনমে (নাম: ক্রো-ফ্যাব) মোজাভে টাইপ এ ও বি বিষসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ পিট ভাইপারের বিষের অ্যান্টিবডি আছে। মাঝে মাঝে র্যাটল সাপের অন্যান্য প্রজাতির মধ্যেও মোজাভে টাইপ এ বিষের উপস্থিতি দেখা যায়। নিউরোটক্সিনের (স্নায়ুবিষক্রিয়া, অর্থাৎ যে বিষের দ্বারা মূলত স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়) ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্থতার মতো স্নায়ুবিক উপসর্গ দেখা দেয়। এমন কী এর দংশন মৃত্যুর কারণ হতে পারে যদি পক্ষাঘাতগ্রস্থতার স্বীকার হয়ে ফুসফুসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় নিউরোটক্সিক বিষ বিশিষ্ট আরো এক ধরনের সাপের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় যেগুলো কোরাল সাপ নামে পরিচিত। এগুলো র্যাটল সাপের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় বরং এগুলো আফ্রিকান ও এশিয়ান কোবরা (গোখরা) পরিবারের অন্তর্গত। সঠিক সময়ে, কার্যকর চিকিৎসা না দিলে এধরনের সাপের দংশনেও ফুসফুস পক্ষাঘাতগ্রস্থতার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে।
কমন কিংস্নেক (ইংরেজি: The Common Kingsnake; বৈজ্ঞানিক নাম: Lampropeltis getula) নামক এক প্রকার কনস্ট্রিকটর (Constrictor) (যে সাপ শিকারকে মাংসপেশির সংকোচনের মাধ্যমে পিষে মারে) র্যাটল সাপ ও অন্যান্য বিষধর সাপের[৫] বিষ দ্বারা আক্রান্ত হয় না। তাদের এ অনাক্রম্যতার কারণে র্যাটল সাপ এধরনের সাপের একটি সাধারণ খাবার।
দংশনের ফলে কতোটুকু বিষ শরীরে প্রবেশ করেছে তা সহজে পরিমাপযোগ্য নয়। আক্রান্ত স্থান ফুলে যাওয়া এবং অন্যান্য উপসর্গ তাড়াতাড়ি দেখা যেতে পারে, এবং মৃত্যুও সহজেই ঘটতে পারে; তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা প্রকাশ পেতে কয়েক ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যেতে পারে।
অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মীরা এনভেনোমেশনকে, অর্থাৎ দংশন পরবর্তী শরীরে বিষের উপস্থিতির পরিমাণকে ০-৫ পর্যন্ত একটি মাত্রার মাধ্যমে প্রকাশ করেন। যখন শরীরে বিষের উপস্থিতি থাকে না, তখন সেটাকে ধরা হয় ০ (শূন্য) মাত্রা হিসেবে। এবং যখন মাত্রা ৫, তখন অর্থ ধরা হয় যে, শরীরে জীবনের হুমকি থাকার মতো বিষের উপস্থিতি আছে। এনভেনোমেশনের পর্বগুলো বোঝা যায় দংশনের স্থান ফুলে যাবার পরিমাণ ও সে স্থানে কালশিরে পড়ার মাধ্যমে। এনভেনোমেশন যখন অনেক বেশি (পর্ব ৪ বা ৫), তখন আরো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন: ঠোঁট টানটান হয়ে পড়ে, মাথা ঘোরা, রক্তপাত হওয়া, বমি করা, বা প্রচণ্ড মানসিক বিপর্যস্ততা। এছাড়া নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, পক্ষাঘাতগ্রস্থতা—এগুলোও সাধারণ উপসর্গ।
জরুরি চিকিৎসা সেবা পাওয়াটা একটু কঠিন এবং চিকিৎসায় সাধারণত অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের প্রয়োজন হয়, যেনো শরীরের টিশ্যু ধ্বংস হওয়া, স্নায়ুর ক্ষতিগ্রস্থতা, এবং রক্ত জমাট না বাঁধার মতো সাধারণ ও মারাত্মক ঝুকিগুলো এড়ানো যায়। বেশিরভাগ চিকিৎসা বিষেশজ্ঞ বলেন দংশনের স্থান হৃৎপিণ্ড থেকে নিচে রাখতে। এছাড়া দংশন আক্রান্ত ব্যক্তিকে শান্ত রাখাটা খুবই জরুরি, কারণ তা না হলে শরীরে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং বিষ পুরো শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
র্যাটল সাপের দংশন সবসময়ই মরণঘাতী হিসেবে বিবেচিত এবং এজন্য দংশনের পর অবিলম্বে হাসাপাতালে গিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে জরুরী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
দক্ষিণপূর্ব ও দক্ষিণপশ্চিম আমেরিকান কুইজিনসমূহে (এক প্রকার রন্ধনপ্রণালী) খাবার হিসেবে র্যাটল সাপের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাঝে মাঝে কিছু বিশেষ মাংসের দোকানগুলোতে র্যাটল সাপের মাংস পাওয়া যায়।[৬] এর স্বাদ সম্পর্কে একজন ব্যবসায়ীর মন্তব্য “সুস্বাদু” এবং “মুরগীর মতো”।[৭] সাংবাদিক অ্যালিয়েস্টার কুকের মতে, “ঠিক মুরগীর মাংসের মতো, শুধু একটু শক্ত”।[৮] এছাড়া অনেকে অনেক ধরনের মাংসের সাথে র্যাটল সাপের মাংসের স্বাদের তুলনা করেছেন, যেমন: বাছুরের মাংস, ব্যাঙ, কচ্ছপ, কোয়েল, মাছ, খরগোশ, এমনকি ক্যানজাত টুনা মাছের সাথেও।[৯]
জীবিত র্যাটল সাপ সংগ্রহে রাখা সচারচর অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ এর একটি দংশনই কারো মৃত্যু বা চিরস্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। এমন কী খুব মারাত্মক নয়, এমন দংশনের জন্যেও জরুরিভাবে ভালোমতো চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।[১০] কিছু আইনে জীবিত বিষাক্ত সাপ সংগ্রহে রাখা আইনবিরুদ্ধ। আর যেসব স্থানে এটি আইনত বৈধ, সেখানেও কিছু ক্ষেত্রে লাইসেন্স বা বীমা করার বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে।[১১]
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=
(সাহায্য)
|কর্ম=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
To the goggling unbeliever Texans say—as people always say about their mangier dishes—'but it's just like chicken, only tenderer.' Rattlesnake is, in fact, just like chicken, only tougher.
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)