র্যাপিডএক্স RAPIDX | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
পরিষেবা ধরন | |
অবস্থা | আংশিক পরিচালিত |
প্রথম পরিষেবা | ২১ অক্টোবর ২০২৩ |
ওয়েবসাইট | ncrtc |
যাত্রাপথ | |
ব্যবহৃত লাইন | ১ (পরিচালিত) ৭ (প্রস্তাবিত) |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | ইকোনমি ক্লাস বিজনেস ক্লাস মহিলার শ্রেণী |
আসন বিন্যাস |
|
পর্যবেক্ষণ সুবিধা | পরিদৃশ্যের জন্য বড় জানালা |
বিনোদন সুবিধা |
|
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড র্যাক |
অন্যান্য সুবিধা |
|
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | নমো ভারত |
ট্র্যাক গেজ | ১,৪৩৫ মিলিমিটার (৪ ফুট ৮ ১⁄২ ইঞ্চি) আদর্শ গেজ |
পরিচালন গতি | ১৬০–১৮০ কিমি/ঘ (৯৯–১১২ মাইল প্রতি ঘণ্টা) ১০০ কিমি/ঘ (৬২ মাইল প্রতি ঘণ্টা) (গড়) |
রক্ষণাবেক্ষণ | দুহাই ডিপো |
র্যাপিডএক্স (ইংরেজি: RAPIDX) ভারতের জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (এনসিআর) জুড়ে বিস্তৃত একধরনের উত্তোলিত সেমি-হাই-স্পিড আঞ্চলিক রেল পরিষেবা। এটি জাতীয় রাজধানী এলাকা পরিবহন নিগম (এনসিআরটিসি) দ্বারা পরিচালিত। প্রচলিত দিল্লি শহরতলি রেল ব্যবস্থাকে এক উত্তোলিত সেমি-হাই-স্পিড রেল ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিস্থাপন করা এর উদ্দেশ্য।[১][২]
১৯৯০-এর দশকে ভারতীয় রেল দিল্লি ও আশাপাশের শহরের মধ্যে এক আঞ্চলিক দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছিলেন। ২০০৬ সালে, যখন দিল্লি মেট্রো প্রসারিত হচ্ছিল, তখন এই প্রস্তাবকে দিল্লি মেট্রোর প্রসারণের অংশ হিসেবে ধরা হয়েছিল।[৭] ২০১৩ সালে ভারত সরকার দিল্লি এনসিআরের ১০০–২০০ কিলোমিটার (৬২–১২৪ মা) ব্যাসার্ধের এলাকাকে যানজট থেকে মুক্ত করার জন্য প্রস্তাবিত আটটি রেলপথকে বাস্তবায়িত করার জন্য জাতীয় রাজধানী এলাকা পরিবহন নিগম (এনসিআরটিসি) তৈরি করেছিল।[১][৮][৯]
যাত্রীদের উপযুক্ত বিরামহীন অভিজ্ঞতার জন্য আঞ্চলিক দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থার তিনটি ফেজ-১ করিডোর (দিল্লি–মিরাট, দিল্লি–আলোয়ার ও দিল্লি–পানিপথ) দিল্লির সরাই কালে খানে মিলিত হবে এবং ট্রেনগুলি এক করিডোর থেকে অন্য করিডোর যেতে পারবে। এর ফলে ট্রেন পরিবর্তন না করেই এক করিডোর থেকে অন্য করিডোর যাওয়া যায়।[১০][১১]
র্যাপিডএক্স ব্যবস্থাকে আরও উপযোগী করার জন্য ব্যস্ত সময় বাদে অন্য সময়ে রেলপথগুলিতে মাল স্থানান্তরেও ব্যবহৃত হবে। মাল, বিশেষত যেগুলি পচনশীল, সেগুলি এই পরিষেবায় সুবিধা পেতে পারে। এভাবে দুটি শহরের মধ্যেকার সড়কে ট্রাকের ব্যবহার কম করে দূষণের পরিমাণ কমানো যেতে পারে। র্যাপিডএক্স ব্যবস্থার ট্রেনসেট ডিপোগুলিতে মালগুদাম ও অন্যান্য মাল সামলানোর ব্যবস্থা থাকবে।[১২]
এ স্ল্যাব অস্ট্রিয়া ব্যবস্থা ১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মত উচ্চ গতিতেও আরামদায়ক ভ্রমণ প্রদানের জন্য পরিচিত। র্যাপিডএক্স পরিষেবায় এধরনের ট্র্যাক ব্যবহৃত হয়েছে, যা ভারতে প্রথম। এছাড়া দীর্ঘায়ু, কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিস্থাপনের সহজসাধ্যতার জন্য এটি গ্রহণ করা হয়েছে।[১৭]
উচ্চ-গতির রেল পরিবহনের জন্য ইটিসিএস লেভেল ২ সংকেত ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত। এই ব্যবস্থায় আধুনিক সংকেত ব্যবস্থা এবং এলটিই ব্যাকবোনের উপর ভার্চুয়াল ব্লক ও এটিও ফাংশনালিটি বর্তমান। র্যাপিডএক্স পরিষেবায় এধরনের সংকেত ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়েছে, যা ভারতে প্রথম। এর ফলে সমস্ত করিডোরের মধ্যে ইন্টারঅপারেবিলিটি সম্ভব। এই ব্যবস্থাটি ট্রেনের গতিবেগ ও অভিমুখ পর্যবেক্ষণ করে এবং রেডিও ব্লক সেন্টারের মাধ্যমে পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করা হয়। ইটিসিএস লেভেল ২ সংকেত ব্যবস্থার ভার্চুয়াল ব্লক ব্যবহারের ফলে ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের কোনো সম্ভাবনা থাকে না।[১৮]
পরিচালিত নির্মাণাধীন অনুমোদিত প্রস্তাবিত
নাম | রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | স্টেশন | দৈর্ঘ্য | প্রকল্প অনুমোদিত | উদ্বোধন | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|---|---|
দিল্লি–মিরাট | দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ | ২২ | ৮২ কিলোমিটার (৫১ মাইল) | ফেব্রুয়ারি ২০১৯[১৯] [২০] | ২০ অক্টোবর ২০২৩[৫] | ২০২৫-এর মধ্যে সম্পূর্ণ করিডোর চালু হবে।[২১] |
দিল্লি–আলোয়ার | দিল্লি, হরিয়ানা ও রাজস্থান | ২২ | ১৬৪ কিলোমিটার (১০২ মাইল) | ২০২৫ | প্রাক-নির্মাণের কাজ চলছে।[২২] | |
দিল্লি–পানিপথ | দিল্লি ও হরিয়ানা | ১৫ | ১০৩ কিলোমিটার (৬৪ মাইল) | ২০২৫ | ডিপিআর অনুমোদনের অপেক্ষায়।[২৩] | |
দিল্লি–রোহতক[২৪] | ৭০ কিমি (৪৩ মা) | |||||
দিল্লি–পালোয়াল[২৪] | ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) | |||||
দিল্লি–বারৌত[২৪] | ৫৪ কিলোমিটার (৩৪ মাইল) | |||||
গাজিয়াবাদ–খুরজা[২৪] | ৮৩ কিলোমিটার (৫২ মাইল) | |||||
গাজিয়াবাদ–হাপুড়[২৪] | ৫৭ কিলোমিটার (৩৫ মাইল) | |||||
দিল্লি–জেওয়ার[২৪] | ৬৭ কিলোমিটার (৪২ মাইল) | নির্মাণাধীন নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন। |
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; নমো ভারত FE_1
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি