র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন | |
---|---|
![]() র্যাবের লোগো | |
সংক্ষেপ | র্যাব |
নীতিবাক্য | বাংলাদেশ আমার অহংকার |
সংস্থা পরিদর্শন | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৪ এপ্রিল, ২০০৭ |
কর্মচারী | ১২,০০০ (প্রায়) কর্মী[১] |
অঞ্চল কাঠামো | |
পরিচালনার অঞ্চল | ![]() |
সাধারণ প্রকৃতি | |
বিশেষজ্ঞ অধিকারভুক্ত অঞ্চল |
|
পরিচালনামূলক কাঠামো | |
প্রধান কার্যালয় | কুর্মিটোলা, ঢাকা |
সংস্থার কার্যনির্বাহকগণ |
|
মাতৃ-সংস্থা | বাংলাদেশ পুলিশ |
ওয়েবসাইট | |
www |
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ইউনিট। বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে পরিচালিত এই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় এবং একই বছরের ১৪ এপ্রিল তাদের কার্যক্রম শুরু করে। দি আর্মড পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯ (সংশোধনী ২০০৪) অনুসারে বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যদের নিয়ে র্যাব গঠিত হয়। র্যাবের সদর দপ্তর ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত।
১। জাতীয় ফুল (শাপলা)— র্যাবের মনোগ্রামের শীর্ষভাগে অবস্থিত জাতীয় ফুল শাপলা। শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল এবং বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক।
২। মনোগ্রামের সবুজ রংয়ের জমিনে লাল সূর্য— অনন্ত সবুজের দেশ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রেখে র্যাবের মনোগ্রামের সবুজ ও লাল রংয়ের জমিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এলিট ফোর্স র্যাব এর প্রতিটি সদস্যের হৃদয়ে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকার গৌরব সমুন্নত রাখার বজ্র কঠিন প্রতিজ্ঞা।
৩। জাতীয় স্মৃতিসৌধ— মনোগ্রামের কেন্দ্রে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য শহীদের আত্মত্যাগের প্রতীক। জাতীয় স্মৃতিসৌধ শহীদের লালিত স্বপ্নের সুখী বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার র্যাব সদস্যদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
৪। ধানের শীষ— র্যাবের মনোগ্রামের স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতির দুইপার্শ্বের ধানের শীষ কৃষি প্রধান বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি এবং সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতীক।
৫। অগ্রগতির চাকা— র্যাবের মনোগ্রামের স্মৃতি উৎকীর্ণ স্মৃতিসৌধ এর নিচে অবস্থিত ধাতব চাকা সময়ের সাথে দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রতীক। যে কোন মূল্যে সন্ত্রাস নির্মূল করে হৃদয়ের দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতির চাকা অব্যাহত রাখতে র্যাব প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
৬। র্যাবের মূলমন্ত্র— মনোগ্রামের সর্বনিম্নে উৎকীর্ণ বাংলাদেশ আমার অহংকার র্যাবের মূলমন্ত্র। এ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত র্যাবের প্রতিটি সদস্য সন্ত্রাসমুক্ত সুখী এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য সর্বদা বজ্র কঠিন সংকল্পবদ্ধ।
ব্যাটালিয়ন নং | ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর | ব্যাটালিয়ন প্রধান | দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা(দপ্তর) | দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা(সিপিসি) | জেলা |
---|---|---|---|---|---|
র্যাব-০১ (সদর দপ্তর)[২] | হযরত শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং,উত্তরা, পূর্বাচল, নারায়ণগঞ্জ | টংগী, গাজীপুর জেলা ও কালিয়াকৈর থানা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ। | সিপিসি-১: মহাখালী, বনানী, গুলশান, বারিধারা থানা সিপিসি-২:উত্তরা, আশুলিয়া, বিমান বন্দর ও তুরাগ থানা সিপিসি-৩:বাড্ডা, খিলক্ষেত, উত্তরখান ও দক্ষিণখান থানা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা।
সিপিএসসি:পোড়াবাড়ি, |
ঢাকা গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ | |
র্যাব-০২[৩] | সিপিএসসি:তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শের-ই-বাংলা নগর ও আগারগাওঁ | সিপিসি-১:ধানমন্ডি, নিউমার্কেট থানা, কলাবাগান সিপিসি-২:আদাবর, হাজারীবাগ থানা
সিপিসি-৩:মোহাম্মদপুর |
ঢাকা | ||
র্যাব-০৩[৪] | সিপিএসসি:মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানা | সিপিসি-১:খিলগাঁও, রামপুরা থানা সিপিসি-২:রমনা, শাহবাগ সিপিসি-৩: সবুজবাগ ও মুগদা থানা | ঢাকা | ||
র্যাব-০৪[৫] | সিপিএসসি: পল্লবী ও রুপনগর থানা | সিপিসি-১:মিরপুর, দারুস সালাম ও শাহ-আলী থানা সিপিসি-২:সাভার, আশুলিয়া (সাভার স্মৃতিসৌধ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার সেনানিবাস, সাভার মিলিটারি ফার্ম এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বের এলাকা), ধামরাই থানা এবং মানিকগঞ্জ জেলা সিপিসি-৩:কাফরুল, ক্যান্টনমেন্ট (বারিধারা ডিওএইচএস এবং র্যাডিসন হোটেল সংলগ্ন বিমানবন্দর রাস্তার পূর্ব পার্শ্বের অংশ ব্যতীত) এবং ভাষানটেক থানা | ঢাকা, | ||
র্যাব-০৫[৬] | |||||
র্যাব-০৬[৭] | লবনচরা, খূলনা | কুষ্টিয়া জেলা ব্যাতীত খুলনা বিভাগ |
সিপিসি-১: সাতক্ষীরা জেলার তালা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা, আশাশুনি কালিগঞ্জ থানা এলাকা। সিপিসি-২: শ্যামনগর থানা |
খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা | |
র্যাব-০৭[৮] | সিপিএসসি:পতেঙ্গা, চটগ্রাম | সিপিসি-১:ফেনী জেলা সিপিসি-২:কক্সবাজার জেলা সিপিসি-৩:চাঁদগাও | চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী | ||
র্যাব-০৮[৯] | পটুয়াখালী ক্যাম্প, সিপিএসসি:বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও ভোলা জেলা | সিপিসি-১:পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা
সিপিসি-২: সিপিসি-৩:মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা |
বরিশাল পিরোজপুর ঝালকাঠি ভোলা পটুয়াখালী বরগুনা | ||
র্যাব-০৯[১০] | সিপিএসসি:সিলেট মেট্রো | সিপিসি-১:সিলেট জেলা সিপিসি-২:হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা সিপিসি-৩:সুনামগঞ্জ জেলা | সিলেট হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার সুনামগঞ্জ | ||
র্যাব-১০[১১] | ব্যাটালিয়ন সদর, সিপিএসসি:ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা | সিপিসি-১:শ্যামপুর, সু্ত্রাপুর, কদমতলী ও গেন্ডারিয়া থানা সিপিসি-২:কেরাণীগঞ্জ উত্তর ও দক্ষিণ থানা
সিপিসি-৩:লালবাগ, কোতয়ালী, কামরাঙ্গীরচর, বংশাল ও চকবাজার থানা |
ঢাকা ফরিদপুর রাজবাড়ী | ||
র্যাব-১১[১২] | সিপিএসসি, আদমজীনগর:ঢাকা জেলার-নবাবগঞ্জ ও দোহার থানা, মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর ও সিরাজদিখান | সিপিসি-১: মুন্সীগঞ্জ (লোহাজং, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ সদর, সিরাজদিখান, টঙ্গিবাড়ি), ঢাকা (দোহার, নবাবগঞ্জ)
সিপিসি-২: চাঁদপুর (চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, হাজীগঞ্জ, কচুয়া, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, শাহরাস্তি) ও কুমিল্লা (ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দাউদকান্দি, দেবীদ্বার, হোমনা, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, মেঘনা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, তিতাস) সিপিসি-৩:নোয়াখালী (লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কমল নগর), নোয়াখালী (নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, হাতিয়া, কবিরহাট, সোনাইমুড়ি, সুবর্ণচর) |
ঢাকা মুন্সীগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ কুমিল্লা চাঁদপুর নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর নরসিংদী | ||
র্যাব-১২[১৩] | সিপিএসসি: সিরাজগঞ্জ (সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালি, কামারখান্দা, কাজীপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তারাশ, উল্লাপাড়া) ও বগুড়া (আদমদিঘী, বগুড়া সদর, শেরপুর, ধুনট, দুপচাচিয়া, গাবতলি, কাহালু, নন্দিগ্রাম, শাহজাহানপুর, সারিয়াকান্দি, শিবগঞ্জ, সোনাতলা) | সিপিসি-১: কুষ্টিয়া (কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, দৌলতপুর, মিরপুর, ভেরামারা, খোকসা)
সিপিসি-২: পাবনা (আটঘরিয়া, বেড়া, ভাঙ্গুরা, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, পাবনা সদর, সাথিয়া, সুজানগর) সিপিসি-৩: টাঙ্গাইল (টাঙ্গাইল সদর, সখিপুর, বসাইল, মধুপুর, ঘাটাইল, কালিহাতি, নগরপুর, মির্জাপুর, গোপালপুর, দেলদুয়ার, ভুয়াপুর, ধনবাড়ী) |
বগুড়া সিরাজগঞ্জ পাবনা টাঙ্গাইল কুষ্টিয়া মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা | ||
র্যাব-১৩[১৪] | সিপিএসসি: কুড়িগ্রাম (কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারি, ফুলবাড়ি, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারি, রউমারি, রাজিবপুর), রংপুর (বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, গঙ্গাচরা, কাউনিয়া, রংপুর সদর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ) | সিপিসি-১: দিনাজপুর (বিরামপুর, বীরগঞ্জ, বিড়াল, বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ি, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, কাহারোল, খানসামা, দিনাজপুর সদর, নবাবগঞ্জ, পার্বতীপুর), ঠাকুরগাঁও (ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গি, হরিপুর, রাণীসংকইল)
সিপিসি-২: লালমনিরহাট (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারি, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম), নীলফামারী (নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ডোমার, ডিমলা), পঞ্চগড় (পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারি, তেতুলিয়া) সিপিসি-৩:গাইবান্ধা (ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ) |
রংপুর লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও নীলফামারী পঞ্চগড় গাইবান্ধা | ||
র্যাব-১৪[১৫] | সিপিএসসি: ময়মনসিংহ (ময়মনসিংহ সদর) | সিপিসি-১: জামালপুর (দেওয়ানগঞ্জ, বকসিগঞ্জ, ইসলামপুর, জামালপুর সদর, মাদারগঞ্জ, মেলানদাহা, সরিষাবাড়ি, নারুন্দি), শেরপুর (ঝিনাইগাতি, নাকলা, নালিতাবাড়ি, শেরপুর সদর, শ্রীবরদি), কুড়িগ্রাম (রৌমারি, রাজিবপুর)
সিপিসি-২: কিশোরগঞ্জ (অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কতিয়াদি, কিশোরগঞ্জ সদর, কুলিয়ারচর, মিঠামাইন, নিকলি, পাকুন্ডা, তাড়াইল), নেত্রকোণা (কেন্দুয়া, আটপাড়া, বরহাট্টা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, মদন, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা সদর, পূর্বধলা, খালিয়াজুরি) সিপিসি-৩: ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ, নাসির নগর, নবীনগর, সরাইল, শাহবাজপুর টাউন, কসবা, আখাউরা, বাঞ্ছারামপুর, বিজয় নগর), কিশোরগঞ্জ (অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কতিয়াদি, কিশোরগঞ্জ সদর, কুলিয়ারচর, মিঠামাইন, নিকলি, পাকুন্ডা, তাড়াইল) |
ময়মনসিংহ নেত্রকোণা, জামালপুর শেরপুর কিশোরগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কুড়িগ্রাম (রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলা) | ||
র্যাব-১৫ | সিপিএসসি: কক্সবাজার (চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, রামু, টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, হোয়াইক্যং) | সিপিসি-১: কক্সবাজার (টেকনাফ)
সিপিসি-২: কক্স বাজার (হোয়াইক্যং) সিপিসি-৩: বান্দরবান (বান্দরবান সদর) |
বান্দরবান, কক্সবাজার |
মহাপরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (গ্রেড-১)
অতিরিক্ত মহাপরিচালক
পরিচালক
উপ পরিচালক
সহকারি পরিচালক
এখানে র্যাবের উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রেপ্তারের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হল:[১৬]
আসামীর নাম | অভিযোগ | গ্রেফতার | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|
মুফতি হান্নান | তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী (২০০৯ - ২০২৪) শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী এবং নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদের প্রথম সারির নেতা। | ১ অক্টেবর ২০০৫ | [১] |
পিচ্চি হান্নান | সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী | ২৬ জুন ২০০৪, পালিয়ে যাবার সময় হত্যা করা হয় | [২] |
দেবাশীষ | পিচ্চি হান্নানের সহযোগী | ক্রসফায়ারে মৃত, ২৪ জুন ২০০৪ | [৩] |
মোল্লা শামীম | তিনটি হত্যাসহ ১০টি মামলার আসামী | ক্রসফায়ারে মৃত, ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৪ | [৪] |
সাহেব আলী | ১৭ আগস্ট ২০০৫ সালের দেশব্যপী বোমা হামলার জঙ্গীবাদী লিফলেট প্রকাশকারী এবং বিতরণকারী | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৫ | [৫] |
সাহাবুদ্দীন | চাঁদাবাজী | হত্যা করা হয়, ২৬ অক্টোবর ২০০৪ | [৬] |
সৈয়দ মনির হোসেন | ২টি হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড | ক্রসফায়ারে মৃত, ১১ মার্চ ২০০৫ | [৭] |
শাহজাহান | হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ৫টি মামলার আসামী | ক্রসফায়ারে মৃত, ১২ জানুয়ারি ২০০৫ | [৮] |
রফিকুল ইসলাম | আত্মঘাতি বোমা হামলা দলের সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেএমবি কমান্ডার | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ | [৯] |
সুমন আহমেদ মজুমদার | চাঁদাবাজী | ক্রসফায়ারে মৃত | [১০] |
একরামুল হক | জঙ্গী | ডিসেম্বর ২০০৫ | [১১] |
হাসিবুল | ১২টি হত্যাসহ ১৬ মামলার আসামী | ২৬ জানুয়ারি ২০০৫, পালিয়ে যাবার সময় হত্যা করা হয় | [১২] |
র্যাব সদস্যগণ নিচের অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন।
নাম | টাইপ | ক্যালিবার | উৎপাদনকৃত দেশ |
---|---|---|---|
ব্রাওনিং এম ১৯১১ | সেমি-অটোমেটিক পিস্তল | .৪৫এসিপি | ![]() |
SIG Sauer P226/228/229 | সেমি-অটোমেটিক পিস্তল | ৯মিমি | ![]() |
বিডি-০৮ | এসাল্ট রাইফেল | ৭.৬২মিমি | ![]() |
টাইপ ৫৬ | এসাল্ট রাইফেল | ৭.৬২মিমি | ![]() |
হেকলার & কোচ এমপি-৫ | সাব মেশিনগান | ৯মিমি | ![]() |
উজি | সাব মেশিনগান | ৯মিমি | ![]() |
টাইপ ৮৫ | স্নাইপার রাইফেল | ৭.৬২মিমি | ![]() |
রেমিংটন ৮৭০ | সেমি-অটোমেটিক শটগান | ১২গজ | ![]() |
টাইপ ৯৭-১ | সেমি-অটোমেটিক শটগান | ১২গজ | ![]() |
টাইপ ৬৯-১ | রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড | ৪০ মিমি | ![]() |
র্যাব কুখ্যাত বাংলা ভাই সহ বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে সফল হলেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ র্যাবকে অসংখ্য মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করেছে, যার কারণ হিসেবে ক্রসফায়ারকে দায়ী করা হয়েছে।[১৭][১৮] মার্চ ২০১০ সালে, ব্যাটালিয়ন নেতা দাবি করেছিলেন যে 'ক্রসফায়ার' এর কারণে ৬২২ জন মারা গেছে। অপরদিকে কিছু মানবাধিকার সংস্থা দাবি করে যে র্যাব ১,০০০ টিরও বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।[১৯] এছাড়াও, র্যাবের কর্মকাণ্ডে নির্যাতনের অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে।[২০][২১]
নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাঈদ, মেজর (বরখাস্ত) আরিফ হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (বরখাস্ত) মাসুদ রানাসহ র্যাব-১১-এর ১৬ জন কর্মকর্তাকে (পরে বরখাস্ত করা হয়েছে) অপহরণ, হত্যা, লাশ গুম করা, ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসযজ্ঞের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।[২২][২৩] একই মামলায় র্যাব-১১-এর আরও নয়জন কর্মকর্তাকে ৭ থেকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।[২৪]
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা জনগণের বিক্ষোভের সময় নারী ও শিশুদের গুলি করে হত্যা করেছে।[২৫] অধিকার গোষ্ঠী একে “ডেথ স্কোয়াড” হিসাবে বর্ণনা করে।[১৯]
২০১৭ সালে, সুইডিশ রেডিওর একজন প্রতিবেদক একজন উচ্চপদস্থ র্যাব অফিসারের বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে র্যাব মানুষকে হত্যা করার জন্য নির্বাচন করে এবং কীভাবে মানুষ হত্যা করে। "তারা এমন লোকদের হত্যা করে যাদের তারা গুরুতর অপরাধের জন্য সন্দেহ করে কিন্তু বিচারে দোষী সাব্যস্ত করা খুব কঠিন বা পুনর্বাসন করা অসম্ভব বলে মনে করে"। তিনি বলেছিলেন, “যদি তাকে খুঁজে পান- সে যেখানেই থাকুক, তাকে গুলি করে হত্যা করুন এবং তারপরে তার পাশে একটি অস্ত্র রাখুন।" এই অফিসার বলেছেন যে "মানুষ প্রতিদিন এভাবে নিখোঁজ হয়, এবং নিরীহ মানুষ গুম হতে পারে"।[২৬]
২৭ অক্টোবর ২০২০-এ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং ইউনাইটেড স্টেটস সেক্রেটারি অফ ট্রেজারিকে একটি চিঠি লিখেছিল।[২৭][২৮][২৯][৩০]
ঝালকাটির রাজাপুর উপজেলার জমাদ্দারহাটে কলেজ ছাত্র লিমন হোসেন, ২৩ মার্চ ২০১১ তারিখে র্যাবের সদস্যদের দ্বারা তার বাড়ির কাছে গুলিবিদ্ধ হন, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ফলে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। ওইদিন লিমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজাপুর থানায় র্যাব দুটি মামলা করে।[৩১] সরকার অবশেষে ৯ জুলাই ২০১৩ তারিখে লিমনের "সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে" ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়।[৩২]
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে শামীম সিকদার নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীকে মাদক ও জাল মুদ্রার মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো এবং হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।[৩৩][৩৪]
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিশ কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের পরিবার র্যাবকে ৮৩ জন, গোয়েন্দা শাখাকে ৩৮ জন, 'আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে' ৫৫ জন এবং সাদা পোশাকের ব্যক্তিদের ২০ জন লোককে জানুয়ারি থেকে আগস্ট ২০১৪-এর মধ্যে তুলে নেওয়ার জন্য দায়ী করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ৭০ জন নেতা-কর্মী বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন এবং বাকি ৩৭ জন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী।[৩৫]
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ আনুমানিক রাত ১.০০ আল ফিকাহ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র আল মুকাদ্দাস (২২) এবং ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ (২৩) কে নিজেদের র্যাব-৪ ও ডিবি পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয় এমন কিছু ব্যক্তি কর্তৃক সাভার থেকে গ্রেফতার ও গুম করার অভিযোগ রয়েছে। তাদের দুজনই ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ছিল। এরপর থেকে তাদের কোনো কথা শোনা যায়নি এবং তাদের অবস্থানও জানা যায়নি। র্যাব বাংলাদেশের একটি পত্রিকাকে দেওয়া বিবৃতিতে ওই দুই ব্যক্তিকে আটকের কথা অস্বীকার করেছিল।[৩৬]
১০ ডিসেম্বর ২০২১-এ, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ র্যাবকে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট- এর অধীনে তার বিশেষভাবে মনোনীত নাগরিকদের (এসডিএন) তালিকায় যুক্ত করেছে।[৩৭] র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এডিজি কর্নেল কে এম আজাদসহ র্যাবের সঙ্গে যুক্ত ছয় ব্যক্তিকের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং সাধারণত মার্কিন ব্যক্তিদের তাদের সাথে লেনদেন করা নিষিদ্ধ।[৩৮] বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মার্কিন সেক্রেটারিয়েট অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে র্যাবের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার বিষয়ে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।[৩৯] অন্যদিকে মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং ইউএস হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস মার্কিন সরকারের ওই নিষেধাজ্ঞাকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন এবং বলেছেন যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রয়োজন ছিল না, তবে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিষেধাজ্ঞা সর্বাধিক কার্যকর।[৪০]
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীর সংস্কার ও তাদের পোশাক পরিবর্তনের দাবি উঠেছিল।[৪১][৪২] এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক বৈঠকে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান।[৪৩] এতে জানানো হয় র্যাবের পোশাক হবে জলপাই (অলিভ) রঙের এবং পর্যায়ক্রমে তা পরিবর্তন করা হবে।[৪৪]