লক্ষ্মী পুরী | |
---|---|
![]() রাষ্ট্রসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইউএন ওমেনের ডেপুটি এগজিকিউটিভ ডাইরেক্টর | |
শিক্ষা | কলাবিদ্যায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক |
লক্ষ্মী পুরী (১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন) হলেন ইউনাইটেড নেশন্স ইক্যুইটি ফর জেন্ডার অ্যান্ড দ্য এম্পাওয়ারমেন্ট অফ ওমেন (ইউএন ওমেন) সংস্থায় আন্তঃসরকারি সহায়তা এবং কৌশলগত অংশীদারত্বের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি-জেনারেল। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ তিনি তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন কর্তৃক এই পদে নিযুক্ত হন।[১] লক্ষ্মী পুরী ইউএন ওমেন সংস্থার ডেপুটি একজিকিউটিভ ডাইরেক্টর।[২] ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ইউএন ওমেন প্রবর্তনের সময়ে নেতৃত্বকারী দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে তিনি এই নতুন এবং গতিশীল সংস্থা গঠনের ক্ষেত্রে কৌশলগত এবং প্রাণবন্ত অবদান রেখেছিলেন। তিনি আন্তঃসরকারি সহায়তা, জাতিসংঘের সিস্টেম কোঅর্ডিনেশন এবং কৌশলগত অংশীদারত্বের ব্যুরোর নেতৃত্ব ও পরিচালনার জন্য সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত, এবং ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিনি ইউএন ওমেনের কার্যকরী প্রধান ছিলেন। [৩]
লক্ষ্মী পুরী ইতিহাস, জননীতি ও জনপ্রশাসন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং আইন, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এইসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবিদ্যায় প্রথম বিভাগের স্নাতক এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং পাশাপাশি পেশাদার ডিপ্লোমাসমূহ অর্জন করেছিলেন।
অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক, শান্তি এবং নিরাপত্তা, মানবিক ও মানবাধিকার সম্পর্কিত কূটনীতিতে লক্ষ্মী পুরীর প্রায় ৩৭ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের কর্মপদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিনি তার সারা কর্মজীবন জুড়ে লিঙ্গ সমতা এবং নারী ক্ষমতায়ন বিষয়গুলোর উন্নয়নে কাজ করেছেন। ইউএন ওমেনের সকল বিষয়গত ও কার্যকরী চৌহদ্দিতে তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা এবং পেশাদার পশ্চাৎপট রয়েছে। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও লিঙ্গ সমতার মধ্যে ইতিবাচক সংযোগ বিশ্লেষণ এবং সমর্থন করার জন্য অগ্রগামী প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সামিল হয়েছেন। তিনি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগ, দেশান্তরণ এবং শ্রমের গতিশীলতা, আর্থিক প্রবাহ, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন, শক্তি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবায় প্রবেশের ক্ষেত্রে লিঙ্গ দৃষ্টিকোণ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে কাজ করেছেন। লক্ষ্মী পুরী বিশেষজ্ঞ দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন ব্যাংকের প্রসঙ্গে নীতি সংক্রান্ত গবেষণাতে অবদান রেখেছেন।
ভারতীয় বিদেশ পরিষেবায় তার দীর্ঘ ২৮ বছরের বিশিষ্ট কর্মজীবনের সময়কালে তিনি রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়সহ রাজনৈতিক দিক থেকে সংবেদনশীল সব পদে কাজ করেছেন। ১৯৭৮-১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-পাকিস্তান সম্পর্কের সময়ে তিনি পাকিস্তান বিষয়ে আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন। শ্রীলঙ্কায় নেতৃত্বদানকারী তার মানবধিকার, রাজনৈতিক সমর্থন এবং মাধ্যম-সম্পর্কিত কাজ এবং ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা শান্তি চুক্তির পর এগুলো ছিল উচ্চ পেশাদার জলছাপ, যখন তিনি হাঙ্গেরিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন বসনিয়ায় ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ টাস্ক ফোর্স (আইপিটিএফ) সংস্থায় ভারতীয় দলের বিস্তৃতির বিষয়ে তার জড়িত থাকায় বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক এবং রাষ্ট্রসংঘের শান্তি স্থাপন এবং শান্তি গঠনে তাকে সক্ষম করে তুলেছিল। জেনেভায় ভারতের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধিসহ তার কূটনৈতিক অবস্থানের সময়ে তিনি মানবাধিকার এবং মানবিক বিষয়সমূহে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন এবং কমিশন অন হিউম্যান রাইটস এবং সহযোগী সংস্থাগুলোতে একটা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন।