লক্ষ্মীকান্ত বের্ডে (২৬ অক্টোবর ১৯৫৪ – ১৬ ডিসেম্বর ২০০৪) ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা, যিনি মারাঠি এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেতেন। উদ্যমী কৌতুক অভিনয়ের জন্য পরিচিত বের্ডে প্রযোজনা সংস্থা মুম্বই মারাঠি সাহিত্য সংঘের একজন কর্মচারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং তারপর কয়েকটি মারাঠি মঞ্চ নাটকে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৩-৮৪ সালে তিনি প্রথম মারাঠি নাটক তুর তুর দিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন।[১]
মারাঠি চলচ্চিত্র ছাড়াও শন্তেচা কর্তা চালু আহে এবং বিঘাদলে স্বর্গছে দ্বার এর মতো তার কমেডি মঞ্চ নাটকগুলিও সফল হয়েছিল। বের্ডে প্রায় ১৮৫টি বলিউড এবং মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য চারটি মনোনয়ন পেয়েছেন।[২]
বের্ডে ১৯৫৪ সালের ২৬ অক্টোবর বোম্বেতে (মুম্বই) জন্মগ্রহণ করেন। তার ৫ জন বড় ভাইবোন ছিল। তিনি পরিবারের আয় যোগ করার জন্য ছোটবেলায় লটারির টিকিট বিক্রি করতেন।[৩] গিরগাঁওয়ে গণেশ উৎসব উদযাপনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সময় মঞ্চ নাটকে তার অংশগ্রহণ তাকে অভিনয়ে আগ্রহী করে তোলে। তিনি আন্তঃস্কুল ও আন্তঃকলেজ নাটক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য পুরস্কার লাভ করেন। এর পরে বের্ডে মুম্বই মারাঠি সাহিত্য সংঘে কাজ শুরু করেন।
মারাঠি সাহিত্য সংঘে কর্মচারী হিসেবে কাজ করার সময় বের্দে মারাঠি মঞ্চ নাটকে ছোট ছোট ভূমিকায় অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮৩-৮৪ সালে তিনি পুরুষোত্তম বের্ডের মারাঠি মঞ্চ নাটক তুর তুর-এ তার প্রথম প্রধান ভূমিকা অর্জন করেন, যা হিট হয়ে ওঠে এবং তার কমেডি শৈলী প্রশংসিত হয়।[৪]
বের্ডে ১৯৮৪ সালের মারাঠি চলচ্চিত্র লেক চালালি সাসারলা দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে, তিনি এবং অভিনেতা মহেশ কোঠারে একসঙ্গে ধুম ধাড়াকা (১৯৮৪) এবং দে দানাদন (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই দুটি চলচ্চিত্রই বিখ্যাত হয়ে ওঠে এবং বের্ডেকে তার ট্রেডমার্ক কমেডি শৈলী প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।[৫]
কিডনি রোগের কারণে ১৬ ডিসেম্বর ২০০৪-এ মুম্বইতে বের্ডে মারা যান।[৬] মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব যেমন মহেশ কোঠারে, অশোক সরাফ এবং শচীন পিলগাঁওকর তার শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন।
তার জীবনের শেষ বছরগুলিতে বের্ডে তার নিজের প্রযোজনা হাউস অভিনয় আর্টস চালান, যার নামকরণ করা হয়েছিল তার ছেলে অভিনয় বের্ডের নাম থেকে। বের্ডে একজন দক্ষ ভেন্ট্রিলোকুইস্ট এবং গিটারিস্ট ছিলেন।[৭]