লক্ষ্মেশ্বর সিং বাহাদুর | |
---|---|
দারভাঙ্গার মহারাজা | |
রাজত্ব | ১৯৬০ - ১৯৯৮ |
পূর্বসূরি | মহারাজা মহেশ্বর সিং বাহাদুর |
উত্তরসূরি | মহারাজা রামেশ্বর সিং বাহাদুর |
জন্ম | দারভাঙ্গা |
মৃত্যু | ১৯৯৮ |
প্রাসাদ | খণ্ডওয়ালা রাজবংশ |
পিতা | মহারাজা মহেশ্বর সিং বাহাদুর |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
মহারাজা শ্রী লক্ষ্মেশ্বর সিং বাহাদুর, দারভাঙ্গার মহারাজা তথা বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যের মিথিলা অঞ্চলের জমিদার ও সর্বোচ্চ জমির মালিক ছিলেন। তার জনহিতকর কর্ম, প্রশাসনিক দক্ষতা ও তার রাজ্যের (দারভাঙ্গা রাজ) সুব্যবস্থাপণা সকলের কাছে বেশ সমাদৃত হয় যা রাজ্যের উন্নয়নে সহায়কের ভূমিকা পালন করে।
লক্ষ্মেশ্বর সিং দারভাঙ্গার মহারাজা মহেশ্বর সিং-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন, লক্ষ্মেশ্বর সিং-এর যখন দুই বছর তখন তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিটিশ রাজ দারভাঙ্গা জমিদারির দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়ক আদালতকে সোঁপে দেয় করাণ জমিদারির উত্তরাধিকারী তখনও প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। চেস্টার ম্যাকনাঘটেনকে তার শিক্ষক নিয়গ করা হয়; যিনি পরবর্তীকালে (১৮৭০ থেকে ১৮৯৬) ভারতের প্রথম পাবলিক স্কুল রাজকুমার কলেজ, রাজকোট-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তী ১৯ বছর পর্যন্ত, যতদিন তিনি প্রাপ্তবয়স্ক না হচ্ছেন, তার মা রাজনৈতিকভাবে উচ্চপদস্থ হিসেবে পরিগণিত হতে থাকেন ও তার প্রতি পারিবারিক যাজক তথা ব্রিটিশ সরকার নিযুক্ত শিক্ষকগণের সমর্থন ছিল; তারা লক্ষ্মেশ্বরকে জেনানার প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা জরেন। তিনি ও তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা রামেশ্বর সিং (যিনি লক্ষ্মেশ্বরের মৃত্যুর পর দারভাঙ্গার মহারাজা অধিষ্ঠিত হন) সরকারি শিক্ষকগণ কর্তৃক পশ্চিমা শিক্ষা সহ সমানভাবে ভারতীয় চিরাচরিত শিক্ষা সংস্কৃত পণ্ডিত, তার এক কাকা ও একজন বাঙালি ভদ্রলোকে কাছ থেকে গ্রহণ করে। সেই সময়কালে লক্ষ্মেশ্বর সিং তত্ত্বাবধায়ক আদালতের অভিভাবকত্বের অধীনে ছিল, তিনি মাসিক ৫ টাকা ভাতা পেতেন, যদিও তার জমিদারির বার্ষিক আয় পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ছয় অঙ্কের সমতুল্য ছিল।[১]
তিনি প্রাপ্তবয়স্ক হলে, লক্ষ্মেশ্বর সিং তার অবস্থানের সার্বজনীন দায়িত্বের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিয়োজিত করেছিলেন। ভাইসরয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এই সংস্থার বিতর্কসভায় তিনি একটি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ বেঙ্গল টেন্যান্সি বিলের দীর্ঘসূত্রিত আলোচনার সময়, তিনি প্রথমে শোকিত দেশপ্রেমিক, কিশোরদাস পাল এবং পরবর্তীকালে রাজা প্যারী মোহন মুখার্জী (সিএসআই) এর সাথে বাংলার এবাং বিহারের ভূস্বামীদের প্রতিনিধিত্ব করেন।