লখনউ–মোরাদাবাদ প্রধান রেলপথ চান্দৌসি লুপ সহ | |||
---|---|---|---|
![]() বরেনী জংশন লখনউ–মোরাদাবাদ লাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন | |||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
স্থিতি | পরিচালনাগত | ||
মালিক | ভারতীয় রেল | ||
অঞ্চল | উত্তরপ্রদেশ, গাঙ্গেয় সমভূমি | ||
বিরতিস্থল | |||
পরিষেবা | |||
পরিচালক | উত্তর রেল (প্রধান রেলপথের জন্য) | ||
ডিপো | লখনউ আলমবাগ | ||
ইতিহাস | |||
চালু | ১৮৭৩ | ||
কারিগরি তথ্য | |||
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য | প্রধান রেলপথ: ৩২৬ কিমি (২০৩ মা) চান্দৌসি লুপ: ১১৩ কিমি (৭০ মা) | ||
ট্র্যাকসংখ্যা | ২ | ||
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ মিমি (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রডগেজ | ||
বিদ্যুতায়ন | হ্যাঁ | ||
সর্বোচ্চ উচ্চতা | লখনউ ১২৩ মিটার (৪০৪ ফুট) মোরাদাবাদ ২০১ মিটার (৬৫৯ ফুট) | ||
|
লখনউ–মোরাদাবাদ রেলপথ (এটি লখনউ–মোরাদাবাদ প্রধান রেলপথ নামেও পরিচিত) ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের লখনউ ও মোরাদাবাদ রেল স্টেশন দুটিকে সংযুক্ত করে। রেলপথটি উত্তর রেলের প্রশাসনিক আওতাধীন।
লখনউয়ের সাথে বারাণসীর সংযোগ স্থাপনের পরে, লখনউয়ের পশ্চিমে অওধ-রোহিলখণ্ড রেলপথের কাজ শুরু হয়। লখনউ থেকে সান্দিলা ও তারপরে হারদোই পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ ১৮৭২ সালে শেষ হয়। বরেলি পর্যন্ত রেলপথটি ১৮৭৩ সালে সম্প্রসারিত হয়। মোরাদাবাদকে চান্দৌসীর সাথে সংযুক্তকারী একটি রেলপথ ১৯৭২ সালে নির্মিত হয় এবং এটি ১৮৭৩ সালে বরেলি পর্যন্ত প্রসারিত হয়। বরেলি-মোরাদাবাদ কর্ড রেলপথের নির্মাণ কাজ ১৮৯৪ সালে সম্পন্ন হয়। একটি শাখা রেলপথ ১৮৯৪ সালে চাঁদৌসিকে আলীগড়ের সাথে যুক্ত করে।[১][২]
একটি সংক্ষিপ্ত ২৪ কিলোমিটার (১৫ মাইল) রেলপথ রাজা কা সাহসপুরকে সম্ভল হাতিম সরাইয়ের সাথে যুক্ত করে।[১]
৩২৬ কিলোমিটার (২০৩ মাইল) দীর্ঘ মোরাদাবাদ–শাহজাহানপুর–লখনউ রেলপথ হল একটি বিদ্যুতায়িত দ্বৈত রেলপথ।[৩]
৬৩৬ কিলোমিটার (৩৯৫ মাইল) দীর্ঘ মুঘলসরাই-মোরাদাবাদ রেলপথের বিদ্যুতায়ন ২০১৩ সালে শেষ হয়।[৪][৫] চাঁদৌসি-বরেলি বিভাগ সহ মোরাদাবাদ-আলীগড় রেলপথের বৈদ্যুতিকরণের জন্য জরিপের অনুমোদিত ২০১২–১৩ সালের বাজেটে প্রদান করা হয়।[৬]
লখনউয়ের ডিজেল লোকো শেড বা আলমবাগ ডিজেল শেডে ডব্লিউডিএম-২, ডব্লিউডিডিএম-৩এ, ডব্লিউডিডিএম-৩ডি, ডব্লিউডিডিজি-৩এ ও ডব্লিউডিডিজি-৪ সহ ১৬০+ লোকোমোটিভ রয়েছে। চরবাগ লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপ পর্যায়ক্রমিক ভাবে সংস্কারের কাজসমূহ পরিচালনা করে।[৭]
মোরাদাবাদ–লখনউ রেলপথকে "ডি-শ্রেণি"ভুক্ত রেলপথ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় এবং এই রেলপথে ট্রেনগুলি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে চলাচল করতে পারে।[৮]
এই রেলপথে লখনউ চরবাগ, বরেলি ও মোরাদাবাদ স্টেশন ভারতীয় রেলের শীর্ষ শতাধিক বুকিং স্টেশনের তালিকাভুক্ত।[৯]
১৮৭২ সালের দিকে, ভারতীয় শাখা রেলওয়ে সংস্থাটি অওধ ও রোহিলখণ্ড রেলপথে রূপান্তরিত হয়।[১০][১১][১২] অওধি ও রোহিলখণ্ড রেলপথ ১৯২৫ সালে পূর্ব ভারতীয় রেল সংস্থার সাথে একত্রিত হয়।[১৩]
ভারত সরকার বাংলা ও উত্তর-পশ্চিম রেলপথ অধিগ্রহণ করে এবং রোহিলখণ্ড ও কুমাওন রেলপথের সাথে একীভূত করে ১৯৪৩ সালে অওধ ও তিরহুত রেলপথ গঠন করে।[১৪]
পূর্ব রেল, উত্তর রেল ও উত্তর পূর্ব রেল ১৯৫২ সালে গঠিত হয়। পূর্ব রেল ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানির মুঘলসরাইয়ের পূর্ব দিকের একটি অংশ ও বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের সহযোগে গঠিত হয়।