একনজরে লন্ডনের মহাগ্নিকাণ্ড | |
---|---|
সংঘটনস্থান | লন্ডন,ইংল্যান্ড |
শুরু হয়েছিল | থমাস ফেরিনোর বেকারী থেকে[১] ২রা সেপ্টেম্বর,১৬৬৬ |
শেষ হয়েছিল | ৫ই সেপ্টেম্বর,১৬৬৬1 |
ব্যাপ্তিকাল | ৩দিন |
আহত | কয়েকশত |
নিহত | ৬জন2 |
পুড়িয়ে দেয় | ১৩,২০০টি ঘরবাড়ি(গৃহহারা করে ৭০,০০০ মানুষকে[২]) ৮৭টি প্যারিশ গীর্জা |
তাপমাত্রা পৌঁছায় | ১৭০০° সে.,১৯৭৩.১৫ °কে,৩০৯২° ফা.[৩] |
লন্ডনের মহাগ্নিকাণ্ড হলো ২রা সেপ্টেম্বর,১৬৬৬;রবিবার থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর;বুধবার পর্যন্ত ইংরেজ শহর লন্ডনে সংঘটিত মহাবিপর্যয়ের একটি।এটি রোমান সিটি ওয়ালের ভিতরস্থ লন্ডন শহরকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল।এটি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল কিন্তু পৌঁছতে পারে নি হোয়াইট হল প্যালেসে (দ্বিতীয় চার্লস)।
১৬৬৬ এর দিকে লন্ডন ছিল ব্রিটেনের দূরবর্তী সর্ববৃহত্ শহর,যেখানে বাস করত অর্ধমিলিয়নেরও বেশি অধিবাসী।লন্ডনের সঙ্গে বোরকের তুলনা করতে গিয়ে জন ইভেলিন বলেন,
“ | "কাঠের তৈরী, উত্তুরে এবং অকৃত্রিম ঘরবাড়িতে বোঝাই | ” |
শহর এবং মুকুটের সম্পর্ক ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।গৃহযুদ্ধ চলাকালীন, ১৬৪২–১৬৫১, লন্ডন শহর ছিল প্রজাতন্ত্রবাদের দুর্গ, এবং বিত্তবান এবং অর্থনৈতিকভাবে গতিময় পুঁজি দ্বিতীয় চার্লস এর জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি হতে চলেছিল, যখন লন্ডনে ১৬৬০ দশকের পূর্বে কিছু প্রজাতান্ত্রীকদের দ্বারা বিদ্রোহগুলো প্রতিপাদিত হয়েছিল।শহরের প্রশাসকগণ সে প্রজন্মের যারা গৃহযুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এবং মনে করতে পারতেন কীভাবে প্রথম চার্লসের যথার্থ ক্ষমতা দ্বারা জাতীয় স্নায়বিক চাপের মোকাবেলা করেছেন। [৪] ১৭শতকের পূর্বে, এই শহরটি—এই পুরো এলাকাটি শহরের দেয়াল এবং রোমান দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত হয়—শুধু লন্ডনের অংশ ছিল, আবৃত করেছিল ৭০০একর(), এবং ৮০,০০০ লোকের বাড়ি,অথবা লন্ডনের এক ষষ্ঠাংশ অধিবাসী. শহরটি একটি অভ্যন্তরীণ উপনগরের বলয় দ্বারা বেষ্টিত ছিল, যেখানে লন্ডনের বেশিরভাগ অধিবাসীরা বাস করত। শহরটি ছিল এখনকার মতো রাজধানীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র , এবং ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় মার্কেট এবং সবচেয়ে ব্যস্ত অংশ, বাণিজ্য এবং উত্পাদন দ্বারা শাসিত হত।
অগ্নিকাণ্ডের সময়ে লন্ডনবাসীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা লক্ষ করা যায় তাদের চিঠি ও স্মৃতিকথাতে। রেস্টোরেশনের যুগে দুজন বিখ্যাত দিনলিপিকার, স্যামুয়েল পেপিস(১৬৩৩–১৭০৩) এবং জন ইভেলিন(১৬২০–১৭০৬), ঘটনাবলী এবং তাদের নিজেদের প্রতিক্রিয়া প্রতিদিন লিপিবদ্ধ করেছেন, এবং শহরে ও শহরের বাইরে কী হচ্ছে তা জানার জন্য খুব চেষ্টা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, তারা উভয়ই বুধবারে শহরের উত্তরে মূরফিল্ডস্পার্ক এলাকাতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিল—চতুর্থ দিন—বিধ্বস্ত শরণার্থী শিবির দেখতে, যা তাদের আঘাত করেছিল। তাদের দিনলিপিগুলো ধ্বংসলীলাটির বিবরণের গুরুত্বপূর্ণ উত্স। অগ্নিকাণ্ডসম্পর্কিত সাম্প্রতিকতম বইগুলো, টিনিসউড (২০০৩) এবং হ্যানসন (২০০১) কর্তৃক, উইলিয়াম তাসওয়েলের (১৬৫১–৮২) বিস্তারিত স্মৃতিকথাতে দ্বৈত, যিনি ওয়েস্টমিনস্টার স্কুলিনে ১৬৬৬ সালে চৌদ্দ-বছর-বয়সী স্কুলপড়ুয়া ছিলেন।
১৬৬৪ এবং ১৬৬৫ সালে দুটি বর্ষার পর,নভেম্বর ১৬৬৫ পর্যন্ত লন্ডন এক ব্যতিক্রমী খরায় আক্রান্ত হয়েছিল, এবং ১৬৬৫এর দীর্ঘ গ্রীষ্মের পর কাঠের দালানগুলো শুষ্ক জ্বালানীতে পরিণত হয়েছিল। ২ সেপ্টেম্বর; রোববার মধ্যরাতে পুডিং লেনে অবস্থিত থমাস ফেরিনার বেকারী হতে একটু আগুনের উদ্ভব হয়েছিল।পরিবারটি উপরের সিঁড়িতে আটকা পড়েছিল, কিন্তু সিঁড়ির একটি জানালা হতে ঘরে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেছিল, একটি চাকরাণী ব্যতীত যে চেষ্টা করতে ভয় পেয়েছিল, এবং প্রথম দগ্ধ হলো।প্রতিবেশীরা আগুন নেভাতে সাহায্য করতে চেয়েছিল; একঘণ্টা পরে যাজকীয় বিভাগের কনস্টেবলরা পৌঁছেছিল এবং রায় দিল যে লাগোয়া ঘরবাড়ি এই আগুন ছড়ানোর কারণ হতে পারে। গৃহকর্তা দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করল, এবং মহামান্য ব্লাডওয়র্থ, একমাত্র যার অধিকার ছিল তাদের ইচ্ছা অগ্রাহ্য করার, তলবকৃত হলেন। যখন ব্লাডওয়র্থ পৌঁছলেন, আগুনের শিখাগুলো লাগোয়া ঘরগুলো,দাহ্য পদার্থ স্পর্শ করল।এভাবেই আগুন ছড়ালো।
যেসব ফাইল এই নিবন্ধে ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোসহ লন্ডনের অগ্নিকাণ্ডের আরো কিছু ফাইল দ্বারাই গ্যালারীটি গঠিতঃ