ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লরেন্স চার্লস মেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪২ পশ্চিম পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩৩) | ৩ মার্চ ১৯৬৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ মার্চ ১৯৭০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ জুন ২০২০ |
লরেন্স চার্লস মেন (ইংরেজি: Laurie Mayne; জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪২) পশ্চিম পার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৯৭০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন লরি মেন।
১৯৬১-৬২ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত লরি মেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মজবুত গড়নের ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন লরি মেন।
১৯৬১-৬২ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে নিজস্ব প্রথম খেলায় অংশ নেন। পার্থে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় প্রতিপক্ষ নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/৭৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে রাজ্য দলে নিজ স্থান পাকাপোক্ত করেন। এ মৌসুমে ২২ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন লরি মেন। ৩ মার্চ, ১৯৬৫ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৫ মার্চ, ১৯৭০ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুম শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়। কিংস্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় লরি মেনের। উভয় ইনিংসেই চারটি করে উইকেট দখল করেন। তবে, পরবর্তী দুই টেস্টে তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, দলের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাকে।[১]
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলেন। এ মৌসুমে ৪১ উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে, আবারও তাকে জাতীয় দলে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে সিলন, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন।
ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ব্যাটিংয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে সচরাচর ১০ কিংবা ১১ নম্বরে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন। তবে, ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে ভারত সফরে গুয়াহাটিতে পূর্ব অঞ্চলের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয় একাদশের সদস্যরূপে নয় নম্বরে নেমেছিলেন ও ৭২ রান তুলেন। এ পর্যায়ে জন গ্লিসনের সাথে নবম উইকেটে ১১৩ রান যুক্ত করে দলকে ৯৬ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করতে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেন। খেলায় পরবর্তী সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল মাত্র ৩৭। এ সংগ্রহটিই পরবর্তীকালে লরি মেনের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ হিসেবে চিত্রিত হয়ে যায়।[২]
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে তাকে খেলানো হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষ খেলায় অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/২৬ পান। তন্মধ্যে, খেলার শেষ বলে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া একাদশকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। এ খেলাটিই তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলা ছিল ও তার বয়েস তখন ২৮ ছিল।[৩]
ইংল্যান্ডের পেশাদার ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে দুই মৌসুম খেলেন। বার্নলি দলের সদস্যরূপে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে অংশ নিয়ে ১৮৪ উইকেট দখল করেন তিনি।[৪]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ফাস্ট বোলারদের প্রশিক্ষণ দিতেন। স্বল্প দৌঁড়ে এবং নো-বল ও আঘাত থেকে দূরে থাকার বিষয়ে নজরদারী করতেন।[৫]