লরেন্স ক্যাসডান | |
---|---|
জন্ম | Lawrence Edward Kasdan ১৪ জানুয়ারি ১৯৪৯ মায়ামি, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার |
কর্মজীবন | ১৯৮০-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | Meg Goldman Kasdan (১৯৭১-বর্তমান) |
লরেন্স ক্যাসডান (ইংরেজি: Lawrence Kasdan) (জন্ম: ১৪ই জানুয়ারি, ১৯৪৯) একজন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তার লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এম্পায়ার স্ট্রাইক্স ব্যাক (১৯৮০) ও রেইডার্স অফ দ্য লস্ট আর্ক (১৯৮১)। তবে পরিচালক হিসেবে সফলতা আরও বেশি, তার পরিচালিত সিনেমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ইরটিক থ্রিলার বডি হিট (১৯৮১), কমেডি ড্রামা দ্য বিগ চিল (১৯৮৩) এবং ওয়েস্টার্ন থ্রিলার সিলভারাডো (১৯৮৫)। এছাড়া তার দি অ্যাক্সিডেন্টাল ট্যুরিস্ট (১৯৮৮) এ অভিনয়ের জন্য জিনা ডেভিস সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছিলেন।[১]
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর ক্যাসডান প্রথমে ইংরেজির শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার পরিবর্তে শিকাগোভিত্তিক কিছু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের জন্য লেখা শুরু করেন। তার কয়েকটি বিজ্ঞাপন পুরস্কারও পায়। এরই ধারাবাহিকতায় একসময় সিনেমার জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন এবং একের পর এক ব্যর্থতার পর অবশেষে দি এম্পায়ার স্ট্রাইকস ব্যাক (১৯৮০) রচনায় অংশগ্রহণের জন্য দ্বিতীয় লেখক হিসেবে ক্রেডিট অর্জন করেন। এই সফলতাই তাকে জর্জ লুকাসের গল্প অবলম্বনে রেইডার্স অফ দ্য লস্ট আর্ক (১৯৮১, ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের একটি সিনেমা) এর চিত্রনাট্য রচনার সুযোগ করে দেয়।
এরই মাঝে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনাতেও মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা বডি হিট (১৯৮১) একটি নব্য-নোয়া ঘরাণার ইরটিক থ্রিলার। এই সিনেমা হলিউড জগতে একইসাথে পরিচালক হিসেবে ক্যাসডান এবং অভিনেত্রী হিসেবে ক্যাথলিন টার্নারের অবস্থান পাকাপোক্ত করে। একই বছর কন্টিনেন্টাল ডিভাইড-এর জন্য তার লেখা চিত্রনাট্য খুব একটা সফলতা পায়নি কিন্তু দুই বছর পর দ্য বিগ চিল (১৯৮৩, কমেডি ড্রামা) নির্মাণের কারণে পরিচালক ও লেখক হিসেবে খুব প্রশংসিত হন। এতে বন্ধু কেভিন কস্নারকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েও পারেননি। তাই পরবর্তীকালে ১৯৮৫ সালে সিলভারাডো নামক ওয়েস্টার্ন সিনেমাটিতে কস্নারের সাথে কাজ করেন।
১৯৮৮ সালের দি অ্যাক্সিডেন্টাল ট্যুরিস্ট-এর কাহিনী দ্য বিগ চিল-এর মতোই একটি আকস্মিক মৃত্যুর পরের ঘটনা নিয়ে। একইসাথে কমেডি এবং ট্র্যাজেডির চমৎকার বহিঃপ্রকাশের কারণে সিনেমাটি প্রশংসিত হয় এবং এর জন্য জিনা ডেভিস সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। পরবর্তী আরও কয়েকটি সিনেমায় তিনি দ্য বিগ চিল ও গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এর মতোই দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মানুষ কেবলমাত্র সামাজিক মর্যাদা ও বস্তুগত নিরাপত্তার মাঝে শান্তি খুঁজে পেতে পারে না। ১৯৯২-এর দ্য বডিগার্ড সিনেমা তাকে বেশ ধনী করে দেয়, কিন্তু ১৯৯৪-এ কেভিন কস্নারকে সাথে নিয়ে করা এপিক ওয়েস্টার্ন ওয়াইয়েট আর্প নব্বইয়ের দশকের সবচেয়ে ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ সিনেমার একটিতে পর্যবসিত হয়। এরপর চলচ্চিত্র জীবনে আর খুব একটা সফলতা পাননি, মেগ রায়ান ও কেভিন ক্লাইনকে নিয়ে করা ফ্রেঞ্চ কিস, এবং ২০০৩-এর ড্রিমক্যাচার কোনটিই বিশেষ প্রশংসিত হয়নি, যদিও মাঝে ১৯৯৯ সালের মামফোর্ড বেশ সফল হয়েছিল।[১]
নং [২] |
সিনেমার নাম | মুক্তি | জনরা | দৈর্ঘ্য (মিনিট) |
আইএমডিবি রেটিং (১০)[৩] |
আইএমডিবি ভোটসংখ্যা[৩] |
---|---|---|---|---|---|---|
১ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুলাই ২০১৩ তারিখে | Jerusalem, I Love You | ২০১৪ | রোমান্স | |||
২ | Darling Companion | ২০১২ | ড্রামা | ১০৩ | ৪.৯ | ১,৪৮০ |
৩ | Dreamcatcher | ২০০৩ | ড্রামা, হরর, কল্পবিজ্ঞান | ১৩৬ | ৫.৪ | ৫৫,৯৮৮ |
৪ | Mumford | ১৯৯৯ | কমেডি, ড্রামা | ১১২ | ৬.৭ | ৭,০৭১ |
৫ | French Kiss | ১৯৯৫ | কমেডি, ড্রামা, রোমান্স | ১১১ | ৬.৩ | ২৮,০১২ |
৬ | Wyatt Earp | ১৯৯৪ | অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, জীবনী | ১৯১ | ৬.৫ | ২৩,৬৬৩ |
৭ | Grand Canyon | ১৯৯১ | ক্রাইম, ড্রামা | ১৩৪ | ৬.৮ | ১০,১৭৪ |
৮ | I Love You to Death | ১৯৯০ | কমেডি, ক্রাইম | ৯৭ | ৬.২ | ৮,৫২৪ |
৯ | The Accidental Tourist | ১৯৮৮ | ড্রামা, রোমান্স | ১২১ | ৬.৭ | ৯,৬১৫ |
১০ | Silverado | ১৯৮৫ | অ্যাকশন, ক্রাইম, ড্রামা | ১৩৩ | ৭.১ | ২০,২২১ |
১১ | The Big Chill | ১৯৮৩ | কমেডি, ড্রামা | ১০৫ | ৭.১ | ১৮,৫৯৩ |
১২ | Body Heat | ১৯৮১ | ক্রাইম, ড্রামা, থ্রিলার | ১১৩ | ৭.৩ | ১৬,৮৫২ |