ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ললিত বসন্ত সিলভা কালুপেরুমা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ২৫ জুন ১৯৪৯||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | সনথ কালুপেরুমা (ভ্রাতা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬) | ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ মার্চ ১৯৮২ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪) | ৭ জুন ১৯৭৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ |
ললিত বসন্ত সিলভা কালুপেরুমা (সিংহলি: ලලිත් කලුපෙරුම; জন্ম: ২৫ জুন, ১৯৪৯) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১][২][৩] শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে সিলন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ললিত কালুপেরুমা।
১৯৭০-৭১ মৌসুম থেকে ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত ললিত কালুপেরুমা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পরিচ্ছন্ন অফ-স্পিনার হিসেবে সুনাম ছিল তার। এছাড়াও তিনি নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিং করতেন। তবে, আন্তর্জাতিকে ক্রিকেটে তিনি এর প্রভাব ফেলতে পারেননি। কালুতারা বিদ্যালয়ে অধ্যয়নে করেন। এরপর কলম্বোর নালন্দা কলেজে ভর্তি হন।[৪][৫] টেস্টে মর্যাদা লাভের পূর্বে ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা অফ স্পিনারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন ললিত কালুপেরুমা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ষষ্ঠ টেস্ট ক্যাপধারী তিনি। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৬] এরপর, ১৪ মার্চ, ১৯৮২ তারিখে ফয়সালাবাদে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে অংশ নেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল গ্রুপ পর্বে সর্বনিম্ন স্থান দখল করে ও কোন খেলায় জয় পায়নি।
১৯৮১-৮২ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল শ্রীলঙ্কা গমন করে। এ সফরে শ্রীলঙ্কা দল তাদের ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেয়। কলম্বোর পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্ট খেলার সুযোগ ঘটে তার। তবে, ২১ ওভার বোলিং করেও কোন উইকেট পাননি। তিনজন স্পিনার রাখা হয়। ডিএস ও অজিতের সাথে বোলিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরপর পাকিস্তান সফরে যান। ফয়সালাবাদে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। এবারো ডি সিলভার বোলিংয়ের কাছে তার বোলিং ম্লান হয়ে পড়ে। ছয় ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠে ছাড়তে হয়েছিল তাকে।
শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিলীপ মেন্ডিসের পছন্দের পাত্র না থাকার বিষয়টি ঐ সময়ে প্রচলিত ছিল। ফলশ্রুতিতে তাকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খেলতে দেখা যায়নি।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে তৎকালীন নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করলে তাকে আর জাতীয় দলে রাখা হয়নি। এরফলে তাকে ২৫ বছরের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কা দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরূপে যোগদান করেন।[৪] এর দুই বছর পর বোর্ডের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। অশান্ত ডিমেলের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন তিনি।
তার ভ্রাতা সনথ কালুপেরুমা শ্রীলঙ্কা দল এবং প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবে অংশ নিয়েছেন।