ললিতা পবার | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | আম্বা লক্ষ্মণ রাও সাগুন ১৮ এপ্রিল ১৯১৬ |
মৃত্যু | ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত | (বয়স ৮১)
কর্মজীবন | ১৯২৮–১৯৮৭ |
সন্তান | ১ |
পুরস্কার | ১৯৫৯: আনাড়ি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ১৯৬১: সংগীত নাটক একাদেমি পুরস্কার - অভিনয় |
ললিতা পবার (১৮ এপ্রিল ১৯১৬ - ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮)[১] ছিলেন একজন অতিপ্রজ ভারতীয় অভিনেত্রী। হিন্দি, মারাঠি এবং গুজরাটি চলচ্চিত্রের ৭০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে তিনি চরিত্রাভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, সেখানে তিনি ভালজি পেন্ধারকরের তৈরি নেতাজি পালকর (১৯৩৮), নিউ হানা পিকচার্সের সেন্ট দমজী, ভি. এস খন্দকার রচিত নবযুগ চিত্রাপতের অমৃত এবং ছায়া ফিল্মসের গোরা কুম্ভর এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত অন্যান্য স্মরণীয় ছবির মধ্যে আছে আনাড়ি (১৯৫৯), শ্রী ৪২০ এবং মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ৫৫, এবং রামনন্দ সাগরের টেলিভিশন মহাকাব্য ধারাবাহিক রামায়ণের মন্থরার চরিত্রে অভিনয়।[২]
১৯১৬ সালের ১৮ এপ্রিল ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাশিক জেলার য়েবলাতে একটি রক্ষণশীল পরিবারে পবার জন্ম গ্রহণ করেন।[৩] জন্মের সময় তার নাম ছিল আম্বা লক্ষ্মণ রাও সাগুন। তার বাবা লক্ষ্মণ রাও শাগুন ছিলেন এক ধনী সিল্ক এবং সুতা পণ্যের ব্যবসায়ী।[৪] তিনি রাজা হরিশচন্দ্র (১৯২৮) ছবিতে নয় বছর বয়সে তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন এবং এবং পরবর্তীকালে নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগ এবং ১৯৪০ এর দশকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন, তাঁর জীবনের শেষ অবধি সাত দশক ব্যাপী তার কর্মজীবন বিস্তৃত ছিল।
তিনি একটি নির্বাক চলচ্চিত্র কৈলাশ (১৯৩২) এ সহ-প্রযোজনা এবং অভিনয় করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে একটি সবাক্ চলচ্চিত্র দুনিয়া কেয়া হ্যায় প্রযোজনা করেন।
১৯৪২ সালে জঙ্গ-ই-আজাদী সিনেমার একটি দৃশ্যের অংশ হিসাবে অভিনেতা মাস্টার ভগবান তাকে সবলে চড় মারেন। নতুন অভিনেতা হওয়ার কারণে তিনি দুর্ঘটনাক্রমে তাকে খুব জোরে চড় মারেন, যার ফলে মুখে পক্ষাঘাত এবং বাম চোখের শিরা ফেটে যায়। তিন বছর চিকিৎসার পরে, তাকে ত্রুটিযুক্ত বাম চোখ ফেলে দিতে হয়েছিল; এইভাবে তাকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় ত্যাগ করতে হয়, এবং চরিত্রের ভূমিকায় পরিবর্তিত করতে হয়েছিল, যাতে পরবর্তী জীবনে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।[৫]
তিনি বিশেষ করে মায়ের ভূমিকায়, বিশেষত খারাপ মায়ের বা শ্বাশুড়ীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। তার বিখ্যাত অভিনয় হলো রাজ কাপুরের সাথে আনাড়ি (১৯৫৯) ছবিতে কঠোর অথচ দয়ালু মিসেস এল. ডি’সা এর চরিত্রে। হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তিনি আজীবন অভিনয় করেছেন,[৬] যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেছেন। এবং প্রফেসর (১৯৬২) চলচ্চিত্রে কঠোর মায়ের ভূমিকায় যে প্রেমে পড়েন এবং রামানন্দ সাগরের টেলিভিশন ধারাবাহিক রামায়ণে কুটিল কুব্জা দাসী মন্থরার ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ভারত সরকারের ভারতীয় চলচ্চিত্রের ফার্স্ট লেডি হিসাবে সম্মানিত হন।[৫]
তাঁর প্রথম বিয়ে গণপাত্র পবারের সাথে হয়েছিল, যা তাঁর ছোট বোনের সাথে সম্পর্কের পরে নষ্ট হয়ে যায়। পরে তিনি বোম্বের অম্বিকা স্টুডিওর চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজপ্রকাশ গুপ্তকে বিয়ে করেন।[৭] তিনি ১৯৯৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুনের আউন্ডেতে মারা যান, সেখানে তিনি কিছুকাল থেকে বাস করছিলেন।
বছর | চলচ্চিত্র | চরিত্র |
---|---|---|
১৯৪৪ | রাম শাস্ত্রী | আনন্দী বাই (পেশোয়া রাঘোবা দাদার স্ত্রী) |
১৯৫০ | দাহেজ | মিসেস বিহারিলাল (সুরাজের মা) |
১৯৫১ | অমর গান | বিতাবাই |
১৯৫২ | দাগ (১৯৫২ সালের চলচ্চিত্র) | শঙ্কর (দিলীপ কুমার) এর মা |
১৯৫২ | পারচাইন | বদি রানী |
১৯৫৫ | শ্রী ৪২০ | গঙ্গা মাই |
১৯৫৫ | মি. এন্ড মিসেস ৫৫ | সীতা দেবী, অনিতার খালা |
১৯৫৭ | নাও দো গায়ারাহ | |
১৯৫৯ | আনাড়ি | মিসেস এল. ডি’সা |
১৯৫৯ | সুজাতা | গিরিবালা, বুয়াজি/খালা |
১৯৬১ | জঙ্গি (১৯৬১ সালের সুবোধ মুখোপাধ্যায় রচিত চলচ্চিত্র) | শঙ্কর এর মা |
১৯৬১ | হাম দুনো[৮] | মেজরের মা |
১৯৬১ | সম্পূর্ণ রামায়ণ | মন্থরা |
১৯৬২ | প্রফেসর | সীতা দেবী বর্মা |
১৯৬৩ | সেহরা | অঙ্গারার মা |
১৯৬৩ | গ্রহস্তি | হরিশ খান্নার বোন |
১৯৬৩ | ঘর বাসাকে দেখো | মিসেস শান্তা মেহরা |
১৯৬৬ | ফুল অর পাথর | মিসেস জীবন রাম |
১৯৬৬ | খান্দান | ফুফি |
১৯৬৭ | বুন্দ জো বান গাইয়ে মতি | শেফালির মা |
১৯৬৭ | নূর জাহান | |
১৯৬৮ | আব্রু | মিসেস বর্মা |
১৯৬৯ | মেরি ভাবি | গঙ্গাজালি |
১৯৭০ | আনন্দ | ম্যাট্রন |
১৯৭০ | পুষ্পাঞ্জলী | রানী সাহিবা |
১৯৭০ | গোপি | লীলাবতী দেবী |
১৯৭১ | জ্বালা | |
১৯৭৪ | দুশ্রি সিতা | |
১৯৭৬ | আজ কা ইয়া ঘর | মিসেস শান্তি দিনানাথ |
১৯৭৬ | তপস্যা | মিসেস বর্মা |
১৯৭৭ | আয়না | জাঙ্কি |
১৯৭৯ | মঞ্জিল | মিসেস চন্দ্র (অজয়ের মা) |
১৯৮০ | ইয়ারানা | মা |
১৯৮০ | কালী ঘাট | আম্বু, গৃহ পরিচারিকা |
১৯৮০ | ফির ওহি রাত | হোস্টেল ওয়ার্ডেন |
১৯৮০ | সাও দিন সাস কে | ভবানী দেবী (প্রকাশের মা) |
১৯৮১ | নসীব[৯] | মিসেস গোমেজ |
১৯৮৬ | ঘর সংসার | সত্যনারায়ণের মা |
১৯৮৭ | ওয়াতান কে রাখওয়ালে | রাধার নানি |
১৯৯৭ | ভাই[১০] | |
১৯৮৯ | বাহুরানী | |
১৯৮৮ | পিয়াসি আত্মা | |
১৯৮৮ | জালজালা | শাইলার মা |
১৯৮৭ | উত্তর দক্ষিণ |