লাকপা শেরপা (এছাড়াও লাকপা (জন্ম ১৯৭৩) একজন নেপালি শেরপা পর্বাতারোহিণী। তিনি মাউন্ট এভারেস্ট নয় বার আরোহণ করে বিশ্বের মহিলাদের মধ্যে অধিকতমবার এভেরেস্ট শীর্ষ জয়ের মর্যাদা অর্জন করেছেন[১] ২০০০ সালে তিনি হলেন এভারেস্ট আরোহণ করে, সফলভাবে নেমে আসা প্রথম নেপালি মহিলা।
লাকপা ১১ জন ভাই বোনেদের মধ্যে নেপালের মাকালুতে বড় হয়েছেন।[২]
২০০০ সালে এশিয়ান ট্রেকিংএর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত একটি অভিযানে তিনি দলনেত্রী ছিলেন[৩] ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০০ সালে, তিনি প্রথম নেপালি নারী যিনি মাউন্ট এভারেস্ট শিখর আরোহণ করে জীবিত ভাবে বেঁচে অবরোহণ করেন (এছাড়াও দেখুন পাসাং লামু শেরপা)। নেপালী নারী মিলেনিয়াম অভিযানের অন্তর্ভুক্ত ছিল তার এই আরোহণ।[৪]
২০০৩ সালে মার্কিন পিবিএস খেয়াল করেন যে, তিনি ৩ বার এভারেস্ট বিজয় করে, বিশ্বের মহিলাদের মধ্যে অধিকতমবার আরোহণকারীনি ছিলেন।[৫] ২০০৩ সালের মে মাসে তিনি তার বোন এবং ভাই একত্রে এভারেস্ট বিজয় করেন; তারা হলেন মিং কিপা এবং মিংমা গেলু।[৬]
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল অবধি লাকপা ৬ বার এভারেস্ট জয় করেন এবং তার স্বামী নয়বার।[৭] ওই বছর তারা তাদের ২০০৭ এভারেস্ট ট্রিপ সম্বন্ধীয় একটি উপস্থাপনার আয়োজন করেন সঙ্গে অনুদান গ্রহণ করেন কোয়েকার লেন সমবায় নার্সারি স্কুলএর জন্য। জর্জ এবং লাকপা, মাউন্ট এভারেস্ট ৫ বার একত্রে বিজয় করেন ।[৮]
২০১৬ সালে, তিনি তিব্বত (চীন) থেকে মাউন্ট এভারেস্ট বিজয় করেন, যেটি এভেরেস্টে তার সপ্তম আরোহণ।[৯] রাষ্ট্রপতি মাউন্ট এভারেস্ট সাম্মিটারস এসোসিয়েশন,এর সভাপতি আর একজন নেপালি মহিলাও সেই সঙ্গে শিখরে পৌঁছান কিন্তু নেপালের দিক থেকে। মায়া শেরপা, যিনি আর একজন রেকর্ড অধিকারিণী এবং কে২ আরোহণকারিণী
অতিরিক্ত অভিযান:
লাকপা তিনি (বুধবার) জন্মগ্রহণ করেন সেই দিনের জন্য নামকরণ করা হয়। যদিও নেপালে জন্মগ্রহণ করেন, বর্তমানে তিনি একজন মার্কিন নাগরিক এবং তার তিন সন্তানপালন এবং বিভিন্ন চাকরিতে ব্যাস্ত থাকেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাত এগারোতে কাজ করেছেন। যাইহোক, ইউ.কে. মিডিয়া আউটলেট দৈনিক টেলিগ্রাফ সাক্ষাত্কারে তিনি পর্বতারোহণের জন্য তার অদম্য বাসনা উলেখ করেন,দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফএর অনুযায়ী যেমনটি পূর্বে জর্জ ম্যালরি এবং ইউচিরো মিউরার মত পর্বাতোরোহীদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। [১৮]
তার দুই কন্যা ও এক পুত্র, এবং ১২ বছর ধরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন জর্জ দিজমার্সাকুর সঙ্গে, যিনি একজন রোমানিয়ান-আমেরিকান। তারা ২০০০সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে প্রথমবার পরিচিত হন, ২০০২ সালে বিবাহ করেন। ২০০৮ সালে জর্জএর কর্কট রোগে আক্রান্ত, হবার পর চিকিৎসার মাত্রাধিক্য বিল ছিল তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের টানাপড়েনের অন্যতম কারণ।
২০১৬ সালে লাকপা সপ্তমবার এভারেস্ট বিজয় করেন ও বিশ্বের নারীদের মধ্যে সর্বাধিকবার এভারেস্ট বিজয়ের পুনরায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে স্বীকৃতিপ্রাপ্তি শুরু করেন।
২২ মে, ২০০৩ সালে তার ছোট বোন মিংমা ১৫ বছর বয়সে মাউন্ট এভারেস্ট শিখরে (লাকপা এবং গেলুর সঙ্গে) আরোহণ করেন। সুতরাং, মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়িনী সর্বকনিষ্ঠ নারী ও ব্যক্তি। (এছাড়াও দেখুন টেমবা শেরি এবং জর্ডান রোমেরো)।[১৯][২০] তার ভাই মিংমা গেলু শেরপা ২০১৬ সাল অব্ধি আটবার মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণের জন্য সুপরিচিত। বিবিসির সংবাদ অনুযায়ী ২০০৩ সালে যখন তারা তিন ভাই বোন একত্রে মাউন্ট এভারেস্ট বিজয় করেন সেটি প্রথমবার তিন সহোদরের একত্রে এভারেস্ট বিজয়ের নজির ছিল, সাথে এটি বিশ্ব গীনিস বুক অফ রেকর্ডস দ্বারা স্বীকৃত ছিল।
২০০৪ সালে কানেকটিকাট এভারেস্ট অভিযানে তৎকালীন স্বামী দিজমার্সাকু লাফকাকে মারধর করেছিলেন।[২১] অভিযানে উপস্থিত এক সাংবাদিক মাইকেল কোদাসের মতে, ডিজমারসু, " তার ডান হাত দিয়ে তার স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করেন।"[২২] এই বিবাদটি "পর্বতারোহণ জগতের প্রচার মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল"।