লাঙটাঙ রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জ | |
---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী II (জাতীয় উদ্যান) | |
অবস্থান | নেপাল |
নিকটবর্তী শহর | কাঠমান্ডু |
স্থানাঙ্ক | ২৮°১০′২৬″ উত্তর ৮৫°৩৩′১১″ পূর্ব / ২৮.১৭৩৮° উত্তর ৮৫.৫৫৩১° পূর্ব |
আয়তন | ১,৭১০ কিমি২ (৬৬০ মা২) |
স্থাপিত | ১৯৭৬ |
কর্তৃপক্ষ | জাতীয় উদ্যান ও বনপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ভূমি সংরক্ষণ ও বন মন্ত্রণালয় |
লাঙটাঙ রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জ বা লাংতাং জাতীয় উদ্যান (নেপালি ভাষায়: लाङटाङ राष्ट्रिय निकुञ्ज) নেপালের চতুর্থ জাতীয় উদ্যান। এটি ১৯৭৬ সালে হিমালয় অঞ্চলের প্রথম জাতীয় উদ্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই উদ্যানে ভূমির উচ্চতা সর্বোচ্চ ৬,৪৫০ মিটার পর্যন্ত পৌছেছে। লাংতাং জাতীয় উদ্যান প্রায় ১,৭১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। নেপালের নুয়াকোট, রাসুয়া এবং সিন্দুলফালচোক - এই তিনটি জেলাতে উদ্যানের এলাকা ছড়িয়ে রয়েছে। তিব্বতের কোমোলাংমা জাতীয় প্রকৃতি অভয়ারন্যের সাথে এই উদ্যানের সংযুক্ত। হিমালয়ের গোসাইকুন্দা হ্রদ এই উদ্যানেরই অন্তর্গত।[১] হ্রদটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৩০০ মিটার উপরে অবস্থিত। গোসাইকুন্দা হ্রদ এবং দোর্জে লাকপা পর্বতশৃঙ্গ উদ্যানের পূর্ব-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বরাবর অবস্থিত। লাংতাং জাতীয় উদ্যানের সর্বোচ্চ চূড়া লাংতাং লিরুং, যার উচ্চতা ৭,২৪৫ মিটার।[২]
উদ্যানটির উত্তর এবং পূর্বের প্রান্ত তিব্বতের সীমান্ত বরাবর অবস্থিত। পশ্চিমপ্রান্তে রয়েছে ভোটেকোশি এবং ত্রিশুলি। লাংতাং জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ প্রান্ত কাঠমান্ডু উপত্যকা থেকে ৩২ উত্তরে অবস্থিত।[৩]
ইন্দো-মালায়ান এবং প্যালিয়ার্কটিক – দুইটি জীবভৌগলিক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যই এই উদ্যানে পরিলক্ষিত হয়।[৪]
১৯৭০ সালে রাজসভার নির্দেশে লাংতাং জাতীয় উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়। এতাই হিমালয় অঞ্চলের প্রথম সংরক্ষিত অঞ্চল। ১৯৭৫ সালে এটি গেজেটের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালে অতিরিক্ত ৪২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা যুক্ত করা হয়। নেপাল সরকার এই উদ্যানের বন,বন্যপ্রাণী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এছাড়া অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং বিকল্প শক্তির বিকাশেও সরকার গুরুত্বের সাথে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়।[৫]
দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রীষ্ম মৌসুমি জলবায়ু লাংতাং জাতীয় উদ্যানকে প্রভাবিত করে। উদ্যানের ভূমির উচ্চতায় ব্যাপক তারতম্য থাকায় তাপমাত্রাতেও পার্থক্য ঘটে। অধিকাংশ বৃষ্টিপাত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘটে। অক্টোবর থেকে নভেম্বর এবং এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত সূর্যালোক বেশি থাকে, ফলে উষ্ণতাও যথেষ্ট থাকে। তবে রাতের বেলা তাপমাত্রা বেশ কমে যায়। বসন্তকালে ৩,০০০ মিটারের উর্ধ্বে বৃষ্টিপাত অনেক সময় তুষারপাতে রূপ নেয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত দিনের বেলা আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং আবহাওয়া উষ্ণ থাকে। তবে রাতের বেলা তাপমাত্রা শূণ্যের নিচে নেমে যায়।[৬]
লাংতাং জাতীয় উদ্যানে ১৪ ধরনের উদ্ভিদের দেখা পাওয়া গেছে। এগুলো ১৮টি ভিন্ন বাস্তসংস্থার অধীন। উচ্চ স্থানে আলপান তুন্দ্রা থেকে নিচে ১,০০০ মিটার স্থানের দিকে যথেষ্ট বৃক্ষরাজির সমাবেশ রয়েছে।