লাচলান ডেডম্যানস খাত, বুরুঙ্গুলেন শৃঙ্খল, মুটবিলি খাত[১] | |
---|---|
কাউরাতে লাচলান নদী | |
![]() | |
ব্যুৎপত্তি | লাচলান ম্যাককুয়ারিয়ের সম্মানে[১] |
স্থানীয় নাম | গ্যালিয়ের,[১] Kalari[২] {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য) |
অবস্থান | |
দেশ | অস্ট্রেলিয়া |
রাজ্য | নিউ সাউথ ওয়েল্স |
অঞ্চল | দক্ষিণ পূর্ব পার্বত্য অঞ্চল, রিভেরিনা (আইবিআরএ), দক্ষিণ টেবিলল্যান্ড, মধ্য পশ্চিম |
স্থানীয় সরকার এলাকা | উচ্চ লাচলান, বোরোভা, কাউরা, ওয়েডিন, ফোর্বেস, লাচলান |
শহর | বেভেন্ডাল, ব্রেডালব্যান, রেইডস ফ্ল্যাট, ওয়াঙ্গালা, কাউরা, গুলোগঙ্গ, ফোর্বেস, ইউয়াবালঙ্গ, কনডোবোলিন, লেক কার্গেলিগো, হিলস্টন, বুলিগাল, অক্সলে |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | গ্রেট ডিভাইডিং পর্বতমালা |
মিলন | হান্নানস খাত এবং মাতমাতবিলি খাত |
• অবস্থান | গুনিংয়ের পূর্বে |
• স্থানাঙ্ক | ৩৪°৪৬′৫৮″ দক্ষিণ ১৪৯°৩২′৭″ পূর্ব / ৩৪.৭৮২৭৮° দক্ষিণ ১৪৯.৫৩৫২৮° পূর্ব |
• উচ্চতা | ৬৯৯ মি (২,২৯৩ ফু) |
মোহনা | মারাম্বিজি নদী |
• অবস্থান | অক্সলের নিকটে |
• স্থানাঙ্ক | ৩৪°২২′ দক্ষিণ ১৪৩°৪৭′ পূর্ব / ৩৪.৩৬৭° দক্ষিণ ১৪৩.৭৮৩° পূর্ব |
• উচ্চতা | ৬৮ মি (২২৩ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ১,৪৪০ কিমি (৮৯০ মা) |
অববাহিকার আকার | ৮৪,৭০০ কিমি২ (৩২,৭০০ মা২) |
নিষ্কাশন | |
• গড় | ৪৯ মি৩/সে (১,৭০০ ঘনফুট/সে) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
নদী ব্যবস্থা | মারাম্বিজি নিষ্কাশন অববাহিকা, মারি-ডার্লিং অববাহিকা |
উপনদী | |
• বামে | বোরোভা নদী |
• ডানে | ক্রুকওয়েল নদী, আবেরক্রম্বি নদী, বেলুবুলা নদী |
বাঁধ | ওয়াঙ্গালা বাঁধ, ব্রিউস্টার বাঁধ |
[৩][৪] |
লাচলান নদী একটি সবিরাম নদী যা মারি-ডার্লিং অববাহিকার মধ্যবর্তী মারাম্বিজি নিষ্কাশন অববাহিকার অংশ, এটি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের দক্ষিণ টেবিলল্যান্ড, মধ্য পশ্চিম এবং রিভেরিনা অঞ্চলে অবস্থিত।
লাচলান নদী মারি ডার্লিং অববাহিকার সাথে তখনই সংযুক্ত থাকে যখন লাচলান এবং মারাম্বিজি উভয় নদী বন্যায় আক্রান্ত থাকে। এটি নিউ সাউথ ওয়েলসের একমাত্র নদী যার দৈর্ঘ্য বরাবর উল্লেখযোগ্য জলাভূমি রয়েছে, কাউল-উইলবারট্রয় হ্রদ, কার্গেলিগো হ্রদ এবং ব্রিউস্টার হ্রদ এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নয়টি জলাভূমি তার প্রান্তের দিকে সংযুক্ত আছে।[২]
গুনিংয়ের ১৩ কিলোমিটার (৮.১ মাইল) পূর্বে হান্নানস খাত এবং মাতমাতবিলি খাতের একত্র প্রবহন দ্বারা গঠিত, নিউ সাউথ ওয়েলসের দক্ষিণ টেবিলল্যান্ড জেলার গ্রেট ডিভাইডিং পর্বতমালার পশ্চিম ঢালে নদীটির উৎপত্তি হয়েছে। নদীটি সাধারণত উত্তর-পশ্চিম, উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়েছে, ক্রোকওয়েল, অ্যাবারক্রোম্বি, বুরোভা এবং বেলুবুলা নদী সহ পঁয়ত্রিশটি উপনদী যুক্ত হয়েছে এবং নদীটি অক্সলের নিকটবর্তী ৫০০ বর্গকিলোমিটার (১৯০ বর্গ মাইল) আয়তনের বৃহৎ কুম্বং জলাভূমিতে পতিত হয়েছে, জলাভূমিটি দক্ষিণে মুরুম্বিজি নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং লোবিদ্জি প্লাবনভূমির অংশে পরিণত হয়েছে। নদীটি তার ১,৪৪০ কিলোমিটার (৮৯০ মাইল) পথ অতিক্রম করার সময় উপর থেকে ৬৩২ মিটার (২,০৭৩ ফুট) নীচে নেমেছে।[১][৩]
নদীটি কাউরার নিকটে ওয়াঙ্গালা বাঁধ এবং কার্গেলিগো হ্রদ এবং হিলস্টনের মধ্যে অবস্থিত ব্রিউস্টার বাঁধ দ্বারা অবরুদ্ধ করা হয়েছে; এবং ব্র্যাডালবেন, রিডস সমভূমি, ওয়াঙ্গালা, কাউরা, গুলুগং, ফর্বেস, ইউয়াবালং, কনডোবোলিন, লেক কার্গেলিগো, হিলস্টন, বুলিগাল এবং অক্সলে শহরগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
লাচলানের বার্ষিক প্রবাহ অনিশ্চিত। বার্ষিক প্রবাহ ১৯৪৪ সালে ১,০০০ মেগালিটার (৩৫ × ১০৬ ঘন ফুট) এর কম থেকে শুরু করে ১৯৫০ সালে ১০,৯০০ মেগালিটার (৩৮০ × ১০৬ ঘন ফুট) পর্যন্ত ছিল। শুষ্ক বছরগুলিতে লাচলানে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শূন্য প্রবাহ থাকতে পারে (উদাহরণস্বরূপ ১৯৪৪ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৪৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত), যা মারি এবং মুরুম্বিজির সম্পূর্ণ বিপরীত, ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের পর থেকে এর আগে আর কখনো প্রবাহ বন্ধ ছিল না। ১৮৮৭ সালের পর থেকে ফর্বেস-এ নদীটি প্রতি সাত বছরে একবার বন্যাক্রান্ত হয়েছে।[৫]
লাচলান নদীর সামাজিক-বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থা এবং এর নিষ্কাশন অববাহিকার মধ্যে রয়েছে এর উচ্চ অধিত্যকা, মিশ্র চাষের ঢাল, সমভূমি, প্রাকৃতিক চারণভূমি এবং এরপরে নিম্ন প্লাবনভূমিসমূহ।[৬] লাচলান নিষ্কাশন অববাহিকায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস করে। এটি অনুমান করা হয় যে রাজ্যের ১২% কৃষি ব্যবসা লাচলান নদীর নিষ্কাশন অববাহিকার মধ্যে থেকে অবস্থিত।[২]
লাচলান নদীটি উইরাদজুরি আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী মাতৃভূমিতে অবস্থিত।[৭] "তিন নদীর ভূমি" নামে পরিচিত এই অঞ্চলে উইরাদজুরিরা ওয়াম্বুল (ম্যাকুয়ারি), কালারে (লাচলান) এবং মুরুম্বিজেরি (মুরুম্বিজে) বরাবর বাস করতো।[৮]
ভারপ্রাপ্ত-সমীক্ষক জর্জ উইলিয়াম ইভান্স ১৮১৫ সালে এই নদী পরিদর্শনের সময় নিউ সাউথ ওয়েলসের উপনিবেশের গভর্নর লাচলান ম্যাককুরিয়ের নাম অনুসারে এই নদীটির নাম দেন লাচলান নদী। ১৮১৭ সালে জন অক্সলে লাচলান নদীটি যথেষ্ট পরিমাণে অনুসন্ধান করেন।[৯] ঔপনিবেশিক নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রারম্ভিক দিনগুলিতে, লাচলানের দক্ষিণ অংশটি ফিশ রিভার নামে পরিচিত ছিল। আরও অনুসন্ধানের পরেই জানা যায় যে এই দুটি নদী একই নদী এবং ফিশ রিভার নাম বাদ পড়ে।
লাচলান নদীর তীরের পাখি এবং আবাস সম্পর্কে লেখা প্রথম ইউরোপীয়দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গবেষক ও প্রকৃতিবিদ জেমস এইচ বি শ’। তার নিবন্ধটি অস্ট্রেলিয়ান টাউন এবং কান্ট্রি জার্নালে (সিডনি, এনএসডব্লিউ: ১৮৭০ - ১৯০৭), শনিবার ৭ মার্চ ১৮৮৫, পৃষ্ঠা ২৮, ২৯ এ প্রকাশিত হয়েছে http://nla.gov.au/nla.news-article71024608
১৮৭০ সালে কাউরায় নদীর পানি ১৫.৯ মিটার (৫২ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছেছিল।[১০] ১৮৮৭ সালের পর ১৯৫২ সালের জুনে ফর্বেসে সর্বোচ্চ বন্যা দেখা দেয়, এ সময় ফর্বেস আয়রন ব্রিজে নদীর পানি ১০.৮ মিটার (৩৫ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছেছিল।[৫] এ সময় ৯০০ এরও বেশি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, অনেককেই নৌকা ও হেলিকপ্টার দিয়ে ছাদের উপর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।[১১] ১৯৯০ সালের আগস্টে বন্যার সময় ফর্বেসে ১৩২ টি বাড়ি তাদের আঙ্গিনা বা মেঝেতে পানিতে পূর্ণ অবস্থায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[৫] ১৯৯০ সালের মতো ফর্বেস-এ ১৯৯২-এর বন্যা সমান স্তরে পৌঁছতে পারেনি, তবে লাচলান উপত্যকার কৃষকরা ফসল কাটার ঠিক আগে তাদের লুসার্ন শস্যের প্রায় ৩০ শতাংশ হারিয়েছিলেন। ইউগোউরা/ট্রুন্ডল অঞ্চলে কমপক্ষে ৫০০ টি ভেড়া ডুবে যায় এবং ইউগোউরার প্রায় ৪০০ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ট্রুন্ডল থেকে কিছু বাসিন্দা সরিয়ে নেওয়া হয়।[১২] বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বছরগুলি হলো: ১৮৯১, ১৯১৬, ১৯৫১, ১৯৫৬, ১৯৬১, ১৯৭৪, ১৯৭৬, ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০১৬।[১৩]
ব্যঞ্জো প্যাটারসন তার ক্ল্যান্সি অব দ্য ওভারফ্লো কবিতায় লাচলান নদীর কথা উল্লেখ করেছেন।