লাভ ইন নেপাল | |
---|---|
পরিচালক | রজত মুখার্জী |
প্রযোজক | রজত অরোরা |
রচয়িতা | সমীর অরোরা |
শ্রেষ্ঠাংশে | সোনু নিগম রাজপাল যাদব ফ্লোরা সাইনি |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | টি-সিরিজ |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
লাভ ইন নেপাল (ইংরেজি: Love in Nepal) একটি বলিউড নির্মিত, হিন্দি ভাষার রহস্য ও প্রেমকাহিনী মূলক চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটি ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়। এতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন ভারতীয় গায়ক সোনু নিগম। লাভ ইন নেপালের পরিচালক ছিলেন রজত মুখার্জী।[১][২]
অভিনব ওরফে এব্বি একজন সৃষ্টিশীল কিন্তু বেহিসেবি চরিত্রের মানুষ। সে কোম্পানীর ক্রিয়েটিভ প্রধান হিসেবে কাজ করে। তার বন্ধু কোম্পানীর ম্যানেজার জর্জ তাকে জানায় নামকরা মার্কিন কোম্পানি আটলান্টা তাদের কোম্পানীর সাথে একত্র হতে ইচ্ছুক। সেই বিষয়ের মিটিং এ এব্বি উপস্থিত হতে পারেনা নিজের খামখেয়ালীপনার জন্যে। যদিও জর্জ ও কোম্পানির আরেক কর্মী এব্বির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী স্যান্ডি সবসময় তার পাশে থাকে। দুই কোম্পানী একত্রিত হলে নতুন প্রধান হয়ে আসেন শ্রীমতি মিনাক্ষী ওরফে ম্যাক্সি। প্রথমে এব্বির কাজকর্ম ম্যাক্সির অপছন্দ হলেও সে বুঝতে পারে এব্বি প্রতিভাবান এবং নিয়ম শৃংখলা মানেনা। তারা কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের চিত্রগ্রহণ করতে নেপালে রওনা দেয়। প্লেনে তানিয়া নামক একটি মেয়ের সাথে এব্বির আলাপ হয়। নেপাল পৌঁছে তাদের গাইডের কাজ করে বান্টি। শুটিং এর সময় ম্যাক্সি ও এব্বির ঘনিষ্ঠতা হলে তারা একে অপরকে ভালবাসতে শুরু করে কিন্তু তানিয়াকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। এব্বি হতাশ হয়ে অতিরিক্ত মদ্যপান করে এবং সেই অবস্থায় তানিয়া তাকে ঘরে নিয়ে যায়। জ্ঞান ফিরে আসার পর এব্বি দেখে তানিয়াকে কেউ নৃশংস ভাবে হত্যা করে বিছানায় তার পাশে শুইয়ে রেখেছে। এব্বি আতঙ্কিত হয়ে নিজের ঘরে চলে আসে। ইতিমধ্যে বার টেন্ডার ও ড্যান্স গার্লকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ অফিসার পৃথ্বী সিং সন্দেহ করে এব্বিকে। এসময় স্যান্ডি ও ম্যাক্সি এব্বিকে সাহায্য করে পালাতে। এব্বি বার বার গুজ্জি বলে ব্যক্রির ফোন পেতে থাকে যে হুমকি দেয় প্রচুর টাকার মাল ফেরত দিতে। সে বুঝতে পারেনা এই 'মাল' কি এবং তার সাথে তানিয়া হত্যার যোগাযোগ কীভাবে ঘটল। বান্টি গাইড এব্বিকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সে জানায় তানিয়াকে সে চিনতো এবং নিয়মিত তানিয়া একটি নাইট ক্লাবে যেত। বান্টি তাকে সেই ক্লাবে নিতে যায় যেখানে তানিয়ার যাতায়াত ছিল। এব্বি ও ম্যাক্সি সেখানে গিয়ে তানিয়ার খোঁজ করতে গেলে তারা টনির খপ্পরে পড়ে। টনি পোখরা'র বিরাট মাদক পাচারকারী। গুজ্জু তারই বন্ধু। টনিকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বান্টির সাহায্যে তারা পালাবার চেষ্টা করে ভারতে। বান্টি তাদের রাত্রে একটি নির্জন বাংলোয় রেখে আসে ও বলে পরের দিন নিরাপদে পালাতে সাহায্য করবে। টনির দলবল আচমকা হানা দেয় সেই বাড়িতে। ভুত সেজে দুজনে অপরাধীদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। এদিকে স্যান্ডি পুলিশকে পুরো ঘটনা খুলে বলে সাহায্য চায় কারণ আসল অপরাধী এব্বি নয়। অন্য কেউ যে সেই মাল অর্থাৎ ড্রাগস সরিয়ে রেখেছে ও তানিয়াকে খুন করেছে।