লায়লা মজনু | |
---|---|
![]() | |
পরিচালক | সাজিদ আলী |
প্রযোজক | একতা কাপুর শোভা কাপুর প্রীতি আলী |
চিত্রনাট্যকার | ইমতিয়াজ আলী সাজিদ আলী |
শ্রেষ্ঠাংশে | অবিনাশ ত্রিপাঠী তৃপ্তি ডিমরি |
সুরকার | নীলাদ্রি কুমার জয় বরুয়া আতিফ আসলাম ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক: হিতেশ সোনিক |
চিত্রগ্রাহক | সায়ক ভট্টাচার্য |
প্রযোজনা কোম্পানি | বালাজী মোশন পিকচার্স পাই পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
লায়লা মজনু (হিন্দুস্তানি উচ্চারণ: [lɛːlaː mədʒnuː]) হল অবিনাশ তিওয়ারি ও তৃপ্তি ডিমরি অভিনীত একটি প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালে হিন্দি ভাষায় মুক্তি পায়। এটি প্রযোজনা করেছেন ইমতিয়াজ আলী এবং সহ-প্রযোজক হিসেবে আছেন একতা কাপুর, শোভা কাপুর এবং প্রীতি আলি।[১]
চলচ্চিত্রটি ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। যদিও মুক্তির পরে বাণিজ্যিকভাবে অসফল ছিলো, পরবর্তীতে অনলাইনে মুক্তির পরে চলচ্চিত্রটি এর গল্প এবং অভিনয়শিল্পীদের অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে।[২]
লায়লা প্রেমের ভান করে ছেলেদের তার প্রতি আকৃষ্ট করে জ্বালাতন করতে পছন্দ করেন। শহরের নামকরা একটি পরিবারে তার জন্ম।
একদিন তাঁর কায়েস নামের এক ধনী ছেলের সাথে দেখা হয়, যার পরিবারের সাথে তার পরিবার মামলা মোকদ্দমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের পরিবারের মধ্যকার শত্রুতা সত্ত্বেও, তারা উভয়ই একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু যখন লায়লার পরিবার তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারে, তখন তারা তার বাবার রাজনৈতিক সহকারী ইব্বানের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। যদিও লায়লা তার বাবাকে বোঝানোর জন্য কায়েসের জন্য অপেক্ষা করে; কিন্তু কায়েস তার বাবাকে অসম্মান করে কথা বললে সে কায়েসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। কায়েস তাকে বলে যে সে তাকে আর কখনো বিরক্ত করবে না এবং প্রয়োজন হলে তাকে খুঁজে নিতে।
চার বছর পর, কায়েস তার বাবার শেষকৃত্যের জন্য লন্ডন থেকে ফিরে আসে। সে তখনও লায়লার সাথে দেখা করেনি। মাতাল এমএলএ স্বামীর হাতে নিয়মিয় নির্যাতিত হতে থাকা লায়লা কায়েসের ফিরে আসার কথা শুনে তার সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়। যখন লায়লা কায়েসকে দেখে, লায়লা বুঝতে পারে যে সে এই সমস্ত বছর কায়সের স্মৃতি আগলে লড়াই করছিল, যা তাকে একজন ভিন্ন ব্যক্তি করে তুলেছে। লায়লা তার স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড়ায় এবং ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়। লায়লা কায়েসকে তার ডিভোর্স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে। তবে ডিভোর্সের আগেই তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিন লায়লা কায়েসের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু তার বাবা তাকে না করতে বলেন এবং তাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে কয়েক সপ্তাহ পরে সে কায়েসকে বিয়ে করতে পারবে। লায়লা আবার কায়েসকে তার জন্য অপেক্ষা করতে বলে।
কায়েস তার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করছিল, সে অনুভব করে যে সে কখনই লায়লার সাথে একত্রিত হবে না এবং এই চিন্তা তাকে অদ্ভুত করে তোলে। সে হ্যালুসিনেশনে লায়লাকে দেখা শুরু করে, তার সাথে কথা বলেন এবং অবশেষে একটি পাহাড়ে চলে যায়। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং লায়লা অনেক দিন ধরে তাকে খোঁজে কিন্তু পায়না। কায়েস মনে করে যে লায়লা তার সাথে আছে এবং তার সাথে পাহাড়ে জীবন শুরু করে। কিছু লোক তাকে ধরে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। সেখানে সে লায়লাকে চিনতে পারে কিন্তু তার ধারণা, লায়লা আলাদা কোনো ব্যক্তি নয়, সে সর্বত্র আছে এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশ করছে।
লায়লা বুঝতে পারে যে সে তাকে চিরতরে হারিয়েছে এবং শোকে মারা যায়। এরপর সম্পূর্ণ উন্মাদ কায়েস তার সমাধিস্থলে ছুটে যায়, পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। তারপর সে উঠে লায়লার দিকে তাকিয়ে হাসে এবং পাহাড়ের দিকে দৌড়ে চলে যায়।
গানের তালিকা | ||||
---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | সুরকার | সঙ্গীতশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "আহিস্তা" | নীলাদ্রি কুমার | অরিজিৎ সিং, জোনিতা গান্ধী | ৫:২০ |
২. | "ও মেরি লায়লা" | জয় বড়ুয়া | আতিফ আসলাম, জ্যোতিকা ট্যাংরি | ৪:৪১ |
৩. | "তুম" | নীলাদ্রি কুমার | আতিফ আসলাম | ৪:৩৯ |
৪. | "হাফিজ হাফিজ" | নীলাদ্রি কুমার | মোহিত চৌহান | ৫:৩৯ |
৫. | "সার্ফিরি" | নীলাদ্রি কুমার | শ্রেয়া ঘোষাল, বাবুল সুপ্রিয় | ৪:০৫ |
৬. | "গায়ে কাম সে" | জয় বড়ুয়া | দেব নেগি, অমিত শর্মা, মীনাল জৈন | ৪:১৩ |
৭. | "লালা জুলা জালিও" | জয় বড়ুয়া | ফ্র্যাঙ্কি (কাশ্মীরি), জয় বড়ুয়া, সুনিধি চৌহান | ৩:০০ |
৮. | "ও'মেরি লায়লা" (রেডিও সংস্করণ) | জয় বড়ুয়া | জয় বড়ুয়া | ৩:১১ |
৯. | "তুম" (সংস্করণ ২) | নীলাদ্রি কুমার | জাভেদ আলী | ৪:৪১ |
১০. | "কাট্যু চুকো" | আলিফ | মোহাম্মদ মুনিম | ৩:০৪ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ৪২:৩৩ |
অনুষ্ঠানের তারিখ | পুরস্কার | বিভাগ | প্রাপক এবং মনোনীত ব্যক্তি | ফলাফল | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ | মির্চি সঙ্গীত পুরস্কার | বর্ষসেরা উঠতি সুরকার | নীলাদ্রি কুমার - "আহিস্তা" | বিজয়ী | [৩][৪] |
বর্ষসেরা গীতিকার | ইরশাদ কামিল - "আহিস্তা" | মনোনীত | |||
২৩ মার্চ, ২০১৯ | ৬৪তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | সঙ্গীতে উঠতি প্রতিভার জন্য ফিল্মফেয়ার আরডি বর্মন পুরস্কার | নীলাদ্রি কুমার | বিজয়ী | [৫] |
শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী | জোনিতা গান্ধী - "আহিস্তা" | মনোনীত | [৬] |