লায়লা সৌয়েফ | |
---|---|
জন্ম | ১৯৫৬ (বয়স ৬৭–৬৮) |
জাতীয়তা | মিশরীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মী, এবং গণিতবিদ |
উপাধি | কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক |
দাম্পত্য সঙ্গী | আহমেদ সেফ এল-ইসলাম (মৃত্যু ২০১৪) |
সন্তান | আলা আব্দ এল-ফাত্তাহ সানা সেফ মোনা সেফ |
আত্মীয় | আহদাফ সৌয়েফ (বোন) |
লায়লা সৌয়েফ (জন্ম ১৯৫৬) একজন মিশরীয় মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মী। তিনি একজন গণিতবিদ এবং কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আল জাজিরা তাকে "একজন মিশরীয় বিপ্লবী" বলে আখ্যায়িত করেছে।[১] তিনি সহকর্মী আহমেদ সেফ আল-ইসলামের স্ত্রী এবং তাদের তিনজন সন্তানই উল্লেখযোগ্য সক্রিয় কর্মী। তারা হলেন আলা আবদ আল-ফাত্তাহ, সানা সেফ এবং মোনা সেফ । তার বোন ঔপন্যাসিক আহদফ সৌয়েফ ।
১৯৫৬ সালে লায়লা সৌয়েফ জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা ও মাতা দুজনই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।[২] তিনি ১৯৭২ সালে কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে তার প্রথম রাজনৈতিক বিক্ষোভে যোগ দান করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর।[২] তাহরির স্কোয়ারের বিক্ষোভ স্থল থেকে খুঁজে বের করতে মা বাবার দুই ঘণ্টা সময় লেগেছিল। তাকে খুঁজে বের করার পর তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সেই থেকে আমি বুঝতে পারি যে, আমার বাবা-মাকে অমান্য করার চেয়ে রাষ্ট্রকে অমান্য করা সহজ"।[২]
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লায়লা সৌয়েফ রাজধানীতে অবস্থিত কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।[২]
বর্তমানে লায়লা সৌয়েফ তার নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।[১][৩]
সৌয়েফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের ৯ মার্চের আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সতন্ত্রতার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আন্দোলন করেছিলেন।[৩]
২০১৪ সালের নভেম্বরমাসে সৌয়েফ এবং তার মেয়ে মোনা সেফ ৭৬ দিনের অনশন ধর্মঘট শেষ করেন। তিনি তার ছেলে আলা আব্দ এল-ফাত্তাহকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘট পালন করেন। তবে এল-ফাত্তাহ ও তার বোন সানা সেফ অনশনের সময় ছিলেন বলে জানা গেছে।
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সৌয়েফ তার ভাবী স্বামী আহমেদ সেফ এল-ইসলামের সাথে দেখা করেন, যেখানে তিনি ইতিমধ্যে "বিপ্লবের আহ্বান কারী একটি আন্ডার গ্রাউন্ড কমিউনিস্ট ছাত্র সেলের নেতা" ছিলেন।[২] তিনি বামপন্থী মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী হন এবং ২০১৪ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের বিবাহ বন্ধন অটুট থাকে হয়।
তারা আলা আব্দ এল-ফাত্তাহ, সানা সেফ এবং মোনা সেফ সক্রিয় কর্মীদের বাবা-মা।[১][৪] তার বোন ঔপন্যাসিক আহদাফ সৌয়েফ।[৫]