লারিসা লাতিনিনা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() ২০০০ সালে লারিসা লাতিনিনা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্ণ নাম | লারিসা সিমাইওনোভনা লাতিনিনা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতিনিধিত্ব দেশ | ![]() | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | Kherson, ইউক্রেন এসএসআর, সোভিয়েত ইউনিয়ন | ডিসেম্বর ২৭, ১৯৩৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শৃঙ্খলা | মহিলা শৈল্পিক জিমন্যাস্টিকস্ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শ্রেণী | সিনিয়র ইন্টারন্যাশনাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জিম | রাউন্ড লেক ন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টার; বুরেভেস্তনিক ভলান্ট্যারি স্পোর্টস সোসাইটি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অবসর | ১৯৬৬ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
লারিসা সিমাইওনোভনা লাতিনিনা (ইউক্রেনীয়: Лариса Семенівна Дирій, রুশ: Лари́са Семёновна Ди́рий; জন্ম: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৪) সাবেক সোভিয়েত জিমন্যাস্ট ছিলেন। জিমন্যাস্টিক বিষয়ে তিনি একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করে ক্রীড়া জগতে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।[১] ১৯৫৬, ১৯৬০ এবং ১৯৬৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ১৪টি অলিম্পিক পদক লাভ করেন যা ঐ সময়কার জন্যে একটি রেকর্ড ছিল। ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে তিনি স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ মিলে সর্বমোট ১৮টি পদক লাভ করেছিলেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক পদক হিসেবে এ সংখ্যাটি ৪৮ বছর টিকে ছিল। কিন্তু, ৩১ জুলাই, ২০১২ তারিখে আমেরিকান সাঁতারু মাইকেল ফেলপস উক্ত পদকসংখ্যাকে অতিক্রম করে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেন।
১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্তৃক অলিম্পিক অর্ডার (রৌপ্য) লাভ করেন। এছাড়াও, ১৯৯৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিকস্ হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।[২]
লাতিনিনা শৈশবে ব্যালে নৃত্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও কিন্তু পরবর্তীতে জিমন্যাস্টিকসে মনোনিবেশ ঘটান। তার কোরিওগ্রাফার তাকে ইউক্রেনের খেরসন থেকে বাইরে নিয়ে যেতে সহায়তা করেন। ১৯৫৩ সালে হাইস্কুল থেকে পাশ করে কিয়েভে অবস্থিত লেনিন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। পাশাপাশি বুরেভেস্তনিক ভলান্ট্যারি স্পোর্টস সোসাইটিতে প্রশিক্ষণ কার্য গ্রহণ করতে থাকেন। ১৯ বছর বয়সে ১৯৫৪ সালে রোমে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে নিজেকে অভিষেক ঘটান এবং দলীয় প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক লাভ করেন।
১৯৫৬ সালে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সে লাতিনিনা হাঙ্গেরীর আগ্নেস কেলেতি'র সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হন। ঐ অলিম্পিকে তিনি সবচেয়ে সফলতম জিমন্যাস্টরূপে পরিচিতি পান। কেলেতিকে তিনি অল-এরাউন্ড ইভেন্টে পরাভূত করেন এবং সোভিয়েত দলও দলগত বিষয়ে জয়ী হয়। ফ্লোর ইভেন্টে কেলেতি'র সাথে যুগ্মভাবে ও ভল্টে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেন। আনইভেন বারে রৌপ্যপদক এবং দলগত এপারেটাস বিষয়ে ব্রোঞ্জপদক পান।
১৯৫৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে ছয়টি বিষয়ের মধ্যে ৫টি বিষয়ে জয়ী হন। এ সময় তিনি ৪ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। রোম অলিম্পিকে তিনি শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগী ছিলেন।[৩] অল-এরাউন্ড বিষয়ে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন দলকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথম চারটি স্থান দখলে সহায়তা করেন। এছাড়াও তিনি নয় পয়েন্টের ব্যবধানে দলগত বিষয়ে জয়লাভ করান। ফ্লোরে শিরোপা ধরে রাখেন। ব্যালেন্স বীম ও আনইভেন বারে রৌপ্য পদক এবং ভল্ট প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ লাভ করেন।
১৯৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণের পর খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন লারিস লাতিনিনা। এরপর তিনি সোভিয়েত জাতীয় জিমন্যাস্টিকস্ দলের জন্যে কোচ হিসেবে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার পরিচালনায় সোভিয়েত নারী জিমন্যাস্টগণ দলগতভাবে ১৯৬৮, ১৯৭২ এবং ১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করে।[৩] ১৯৮০ সালে মস্কোতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক্সের জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০০ সালে তিনি সোভিয়েত স্পোর্টস ওয়ার্স শিরোনামীয় আমেরিকান পিবিএস টেলিভিশনের তথ্যচিত্রের দ্য রেড ফাইলসে অংশ নেন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্ট ও সোভিয়েত কোচ হিসেবে তার অভিজ্ঞতা, দর্শন তুলে ধরেন। বর্তমানে তিনি একজন রুশ নাগরিক। মস্কো অঞ্চলের সিমেনোভস্কোয়ে এলাকায় তিনি বসবাস করছেন।
সাল | প্রতিযোগিতার বিবরণ | পদক ও বিভাগ |
---|---|---|
১৯৫৪ | বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ | ১ স্বর্ণ (দলগত) |
১৯৫৬ | মেলবোর্ন অলিম্পিক গেমস | ৪ স্বর্ণ (অল-এরাউন্ড, দলগত, ভল্ট এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ); ১ রৌপ্য (বার); ১ ব্রোঞ্জ (অবজেক্ট এক্সারসাইজ) |
১৯৫৭ | ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ | ৫ স্বর্ণ (অল-এরাউন্ড, ভল্ট, বার, ব্যালেন্স বীম এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ) |
১৯৫৮ | বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ | ৫ স্বর্ণ (অল-এরাউন্ড, দলগত, ভল্ট, বার এবং ব্যালেন্স বীম); ১ ব্রোঞ্জ (ফ্লোর এক্সারসাইজ) |
১৯৬০ | রোম অলিম্পিক গেমস | ৩ স্বর্ণ (অল-এরাউন্ড, দলগত এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ); ২ রৌপ্য (বার এবং ব্যালেন্স বীম); ১ ব্রোঞ্জ (ভল্ট) |
১৯৬১ | ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ | ২ স্বর্ণ (অল-এরাউন্ড এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ); ২ রৌপ্য (বার এবং ব্যালেন্স বীম) |
১৯৬২ | বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ | ৩ স্বর্ণ (অল-এরাউন্ড, দলগত এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ); ২ রৌপ্য (ভল্ট এবং ব্যালেন্স বীম); ১ ব্রোঞ্জ (বার) |
১৯৬৪ | টোকিও অলিম্পিক গেমস | ২ স্বর্ণ (দলগত এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ); ২ রৌপ্য (অল-এরাউন্ড এবং ভল্ট); ২ ব্রোঞ্জ (বার এবং ব্যালেন্স বীম) |
১৯৬৫ | ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ | ৪ রৌপ্য (অল-এরাউন্ড, বার, ব্যালেন্স বীম এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ); ১ ব্রোঞ্জ (ভল্ট) |
১৯৬৬ | বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ | ১ রৌপ্য (দগলত) |