লাল কাঠগোলাপ গুইচি চাঁপা লাল গুলাচি | |
---|---|
লাল কাঠগোলাপ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | জেনটিয়ানালেস (Gentianales) |
পরিবার: | অ্যাপোসাইনাসি (Apocynaceae) |
গণ: | Plumeria লিনিয়াস[১] |
প্রজাতি: | P. rubra |
দ্বিপদী নাম | |
Plumeria rubra লিনিয়াস[১] | |
প্রতিশব্দ[২] | |
|
লাল কাঠগোলাপ, গুইচি চাঁপা বা লাল গুলাচি (দ্বিপদ নাম: Plumeria rubra) হচ্ছে পত্রপতনশীল প্রজাতির Plumeria গণের একটি উদ্ভিদ।[৩] মূলত মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলা অঞ্চলের স্থানীয় এ উদ্ভিদটি বিশ্বজুড়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং প্রায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় এবং এটি বাগান ও পার্কের একটি জনপ্রিয় উদ্ভিদ, পাশাপাশি মন্দির এবং কবরস্থানেও ব্যবহৃত হয়। এটি ৭-৮ মি, (২৩-২৬ ফুট) উঁচু ও প্রশস্ত হয়ে ছড়িয়ে বৃদ্ধি পায় এবং গ্রীষ্ম এবং শরত্কালে গোলাপী, সাদা ও হলুদ রঙের শেডের সুগন্ধযুক্ত ফুলে শোভিত হয়।
লাল কাঠগোলাপ , কার্ল লিনিয়াস বর্ণিত প্রথম উদ্ভিদসমূহের মধ্যে অন্যতম, এবং স্পীশীজ প্লান্টারাম -এর ১৭৫৩ সংস্করণেও এর নাম পাওয়া যায়।এর গণ নাম লাতিন রুবার "লাল" থেকে উদ্ভূত।এছাড়া অ্যাকুমিনটা, অ্যাকিউটিফোলিয়া এবং লুটিয়া ইত্যাদি নাম বিশেষণ দেখা যায়, তবে সেগুলো অকার্যকর। এর সাধারণ নামগুলির মধ্যে রয়েছে কাঠগোলাপ (ফ্রেঞ্জিপাণি) ,[১] লাল চাঁপা (পাউসিপান) , লাল-জুঁই, লাল কাঠগোলাপ (ফ্রেঞ্জিপানি) , সাধারণ কাঠগোলাপ (ফ্রেঞ্জিপানি) , মন্দিরের গাছ, বা কেবল কাঠচাঁপা (প্লামেরিয়া) ।
"frangipani" (কাঠগোলাপ) সাধারণ নামটি ইতালীয় উন্নত গোত্র থেকে উদ্ভূত একটি ষোড়শ শতাব্দীর মার্কাস, যার থেকে কাঠ-গোলাপের সুগন্ধি আবিষ্কৃত হয়। গণ নামটি চার্লস প্লামিয়ার, একজন ফ্রান্সিসকান ক্রমের ফরাসী সন্ন্যাসী এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানী, -এর সম্মানে গৃহীত।[৪]
মেক্সিকোতে সাধারণ নাম হলো ক্যাকালোক্সচিটোল বা ক্যাকালোক্সুচিটোল, নামটি এসেছে নহুয়াতল থেকে এবং এর অর্থ "কাকের ফুল"।[৫] ১৯৭১ সালে নিকারাগুয়ার জাতীয় ফুল হিসাবে লাল কাঠগোলাপকে ঘোষণা করা হয়, যেখানে এটি সাকানজোচে নামে পরিচিত।[৬] স্পেনিশ ভাষায় কাঠগোলাপকে আলহেলি, আলহেলি সিমারন এবং সুচে নামেও উল্লেখ করা হয়।[৭] মেলিয়া পরিভাষাটি একটি হাওয়াইয়ান শব্দ।[৮] কুক দ্বীপপুঞ্জগুলিতে এটি টিপানী নামে সুপরিচিত। এটি ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপকভাবে জন্মে, যেখানে এর নাম চম্পা বা এর থেকে উদ্ভূত যেমন চাঁপা, চাম্পিজ ইত্যাদি। এটিকে পাকিস্তানেও চম্পা বলা হয়।[৯] কম্বোডিয়ায় এর নাম চাম্প্পি ক্রাহা: ম ( ক্রোম নামেও লিখিত, যার অর্থ 'লাল') বা চাম্পি স্লাক শ্রুয়েচ , অন্যদিকে প্রজাতির জন্য ফরাসি পরিভাষা হলো ফ্রেঞ্জিপানিয়ের আ ফ্লুয়ারস রৌজেস ।[১০] শ্রীলঙ্কায় সিংহলিতে এটিকে আরালিয়া বলা হয়। এটি ব্রাজিলেও নানা নামে পরিচিত, যেমন জস্মিম-দে-কায়েনা, জেসমিন-দো-পারা এবং জেসমিন-মাঙ্গা। পর্তুগিজ ভাষায় এর আরেকটি নাম পাওয়া যায় ফ্লোর-দে-সান্তো-আন্তোনিও। মায়ানমারে এটিকে মওক-সাম-কা, মওক-সাম-পাইলং এবং সোনপাবাটায়িং নামে ডাকা হয়।[১১] চিনে এটির সাধারণ নাম জি দান হুয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে নোসগে ।
Plumeria rubra ডগবেইন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং এটি একটি ছড়িয়ে পড়া গুল্ম বা ছোট উদ্ভিদ হিসাবে ২-৮ মি, (৫-৬ ফুট) উচ্চতার এবং অনুরূপ প্রস্থে বৃদ্ধি পায়।[৪] এছাড়া এর একটি সরু সরস গুঁড়ি ও পাতলা ধূসর ছাল দিয়ে আচ্ছাদিত সসেজ-রুপ ভোঁতা আরও কিছু শাখা থাকে। শাখাগুলি কিছুটা ভঙ্গুর এবং ভাঙ্গলে, একটি সাদা কষ বের হয় যা ত্বকে ও শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। গাছের কাণ্ডে পাওয়া এই কষ প্রকৃতপক্ষে বিষাক্ত, তবে বিপুল পরিমাণে না হলে মারাত্মক নয়।[১২] বড় সবুজ পাতা ৩০ থেকে ৫০ সেমি (১২ থেকে ২০ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা ও পর্যায়ক্রমে সাজানো এবং শাখাগুলির শেষে গুচ্ছাকারে থাকতে পারে। বনে এ গাছের গুঁড়ি ২৫ সে,মি, পর্যন্ত হতে পারে। যদিও চাষে এর দৈর্ঘ্য হ্রাস পেতে থাকে।[১২]
এগুলি পত্রঝরা, বছরের শীতকালীন মাসগুলিতে পাতা পড়ে যায়। ফুলগুলি প্রান্তীয়, গ্রীষ্মে শাখাগুলির শেষ প্রান্তে দেখা যায়। প্রায়শই প্রচুর এবং খুব স্পষ্ট, বেশ সুগন্ধযুক্ত এবং পাঁচটি পাপড়ি থাকে। ফুলগুলি সকালে এবং সন্ধ্যায় তাদের সুগন্ধ ছড়ায়। এই সুগন্ধ গোলাপ, সাইট্রাস (লেবুবর্গ) এবং দারুচিনির অনুরূপ।[১৩] ফুলের কেন্দ্রে রঙ, সাধারণ গোলাপী থেকে হলুদের ছায়াযুক্ত সাদা পর্যন্ত হয়ে থাকে।[৩][১৪] খোলার আগে প্রাথমিকভাবে নলাকার ফুলগুলি ৫–৭.৫ সেমি (২–৩ ইঞ্চি) ব্যাসের হয় এবং খুবই কম বীজ উত্পাদনে অংশ নেয়- ২০-৬০ টি দলযুক্ত বীজ, ১৭.৫ সেমি (৭ ইঞ্চি) -এর কোষ ধারণ করে।[৮] ফলগুলি নলাকার কোষ যা চাষে খুব কমই দেখা যায়।[৪]
তার স্থানীয় পরিসীমা, মধ্য মেক্সিকোর দক্ষিণ, মধ্য আমেরিকা থেকে কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলা মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকাতে বিস্তৃত। বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এটি চাষ করা হয় এবং সম্ভবত ভারতের কিছু অংশে এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়।[১]
আরও সুনির্দিষ্টভাবে, বলিভিয়ার নিম্নভূমি এবং ইউঙ্গাস, ইকুয়েডরের উপকূলীয় এবং আন্দিয়ান অঞ্চল এবং পেরুর অ্যামাজন এবং আন্দিয়ান অঞ্চলগুলিতে P. Rubra চাষ হয়, যেখানে এটি অসম এলাকায় পাওয়া যায়।P. Rubra দক্ষিণ আফ্রিকা, ইয়েমেন, চাদ এবং বুরুন্ডি সহ অনেক দেশ এবং দ্বীপেও এখন পাওয়া যাচ্ছে। খুব শীতল পাহাড়ি অঞ্চল বাদে মিয়ানমারেরও সর্বত্র এর প্রাপ্তি বাড়ছে।[১১] এটি চীন এবং পাকিস্তান উভয় অঞ্চলেই চাষ শুরু হয়েছে এবং মাদাগাস্কারের আনালামাঙ্গা ও বেটসিবোকা অঞ্চলেও প্রাকৃতিককরণ করা হয়েছে। এছাড়া কলম্বিয়ার অ্যান্টিওকিয়া বিভাগের এটি স্থানীয়, এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, এল সালভাদোর, বেলিজ, এবং হন্ডুরাসের মতো দেশে বিতরণ করা হচ্ছে। পানামায়ও এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে।[৯]
P. Rubra সাধারণত শুষ্ক থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত সহ গরম এবং পাথুরে এলাকায় উৎপাদিত হয়। উল্লেখযোগ্য শুকনো মৌসুম আছে এমন স্থানেও এরা বেঁচে থাকতে পারে, যেখানে তারা খালি শাখায়ও ফুল ফুটাতে পারে বা আরও আর্দ্র অঞ্চলে এরা চিরসবুজ থাকতে পারে। এটি পাথুরে বন, পাহাড়ের ঢাল, এমনকি মাঝে মধ্যে সমভূমি বা স্যাভান্নায়ও পাওয়া যায়। এটি ৫০০ থেকে ১০০০ মিটার উচ্চতায় স্বাভাবিক হলেও ১৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্তও পাওয়া যায়।[১২]
প্রজাতিটি বিশ্বজুড়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং প্রায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুতে চাষ হয়। অস্ট্রেলিয়ায় এটি, সিডনি ও পার্থ এবং উত্তরের উষ্ণ, হিম-মুক্ত জলবায়ুতে ব্যাপকভাবে দেখা যায়।[১৫] মূল ভূখণ্ডের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এটি ইউএসডিএ কঠোরতার মাত্রা ১০বি থেকে ১১ (দক্ষিণ উপকূলীয় ক্যালিফোর্নিয়া এবং ফ্লোরিডার দক্ষিণাঞ্চল) সহ্য করে।[১৪] এটি হাওয়াইতে ২০০০ মিটার উচ্চতায়ও জন্মে।[৮] তারা অম্ল থেকে ক্ষার এবং কাঁদা থেকে বেলে মাটি পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মাটিতে জন্মাতে পারে।[১৪] তবে শুকনো থেকে মাঝারি আর্দ্রতা, ভালোভাবে শুষ্ককৃত মাটিতে ভাল জন্মায় এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়ে ফুল ফোটায়। ভেজা মাটিতে এবং শীত মৌসুমে ৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচের তাপমাত্রার স্থানে এরা ভালো জন্মে না, ফুল ফোটানো বন্ধ করে দেয় এবং পাতা ঝরিয়ে ফেলে।[৪] প্রতিষ্ঠিত গাছগুলি বেশ লবণ সহনশীল এবং লবণাক্ত বায়ু পর্যন্ত সহ্য করে।[১২] নার্সারিগুলিতে সহজলভ্য কাঠগোলাপ, শীতল মাসে গ্রহণ করা শাখাগুলির কর্তন ও এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় শুকনো রেখে দেওয়ার মাধ্যমে সহজেই জনন করা যায়।[১৫] পাশাপাশি বাগান এবং রাস্তা- এবং পার্ক রোপণ, মন্দির এবং কবরস্থানে রোপণেও ব্যবহার করা হয়।[৮]
Plumeria Rubra হাওয়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল, যেখানে ২০০৫ সালে ১৪ কোটিরও বেশি ফুল লেই ব্যবহার করার জন্য বিক্রি হয়েছিল।[১৬]
শীতপ্রধান অঞ্চলে P. Rubra অবশ্যই কাচের নীচে জন্মাতে হবে, একটি বড় সংরক্ষণাগার বা অনুরূপ মাধ্যমে, কারণ এটি ১০ °সে (৫০ °ফা) -এর নীচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। তবে গ্রীষ্মের মাসগুলিতে এটি বাইরে ছায়াযুক্ত রৌদ্রোজ্জ্বল কোনো জায়গায় রাখা যাবে। যুক্তরাজ্যে এটি রয়েল হর্টিকালচারাল সোসাইটির গার্ডেন মেরিটের পুরস্কার পেয়েছে।[১৭][১৮]
চাষের কিছু উপায় হলো- এই প্রজাতি এবং Plumeria obtusa -এর মধ্যে সংকরায়ণ; যেগুলোর পাতা সূচাগ্র তীক্ষ্ণ হওয়ার চেয়ে গোলাকার হয় এবং পত্রপতনশীল হওয়ার সম্ভাবনাও কম।[৮] হাওয়াইয়ে সারা বছর ধরে সাদা এবং হলুদ "সিঙ্গাপুর" ফুল চাষ হয়।[১৯]
Coleosporium plumeriae ,কাঠগোলাপ মরিচা বা ফ্রাঞ্জিপানি মরিচা, একটি ছত্রাক যা কাঠগোলাপের তরুণ পাতায় আক্রমণ করে। এটি পাতায় বাদামী বা কমলা গুঁড়ার আবরণ বা পাতায় ফোস্কা সৃষ্টি করে। হাওয়াই এবং অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল এর উদাহরণ পাওয়া যায়।[৮][২০] এটি প্রথম ফরাসী মাইকোলজিস্ট (ছত্রাক বিজ্ঞানী) নারসিস থিওফিল প্যাটুইলার্ড ১৯০২ সালে পূর্ব ক্যারিবিয়ান গুয়াদেলুপ দ্বীপে আবিষ্কার করেন এবং ২০০৫ সালের মধ্যে তাইওয়ানে পৌঁছে যায়।[২১]
ইউএসডিএ ফরেস্ট্রি সার্ভিস লাল-কাঠগোলাপকে একটি বিষাক্ত উদ্ভিদ হিসাবে তালিকাভুক্ত এবং গাছের কোনো অংশ স্পর্শ বা খাওয়া থেকে সতর্ক করে থাকে।[২২]
কম্বোডিয়ায়, অন্যান্য কাঠগোলাপ প্রজাতির মতো, লাল-কাঠগোলাপের ফুলগুলিও গলার হার, দেবদেবীদের কাছে নৈবেদ্য বা কফিনের সজ্জা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এ প্রজাতির পাতাগুলি ক্ষত সাড়ানোতে এবং শীতল সংমিশ্রণ তৈরিতেও ব্যবহার হয় ।[১০] এর ফুল ও কাণ্ড জ্বর, রক্ত আমাশয়, হুপিং কাশিইত্যাদির নিরাময়ের ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ তৈরিতেও কাজে লাগে।[২৩]
P. rubra ফ্লাভোপ্লুমিয়েরিন, একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে । এছাড়াও উদ্ভিদটিকে ছত্রাকনাশক, ভাইরাস-প্রতিরোধী, বেদনানাশক, খিঁচুনি-রোধক এবং হাইপোগ্লাইসেমিক হিসাবে দেখানো হয় ।[১২] এসব ছাড়াও P. rubra, অ্যাজোনিয়াডিন, প্লামেইরিড, প্লামেরিক অ্যাসিড, সেরোটেনিক অ্যাসিড ও লুপিওল ধারণ করে, এবং এর বীজে ট্রিটেরপিনয়েড নামক একটি উপক্ষারও পাওয়া যায় । আবার উদ্ভিদটি শ্বসনতন্ত্র ও ইমিউন (অনাক্রম্য) কার্যক্রমের উৎকর্ষের পাশাপাশি হজম ও নিঃসরণ -এও ভূমিকা রাখে । এর প্রাণরস রেচক ঔষধ হিসাবে এবং ফোলাভাব ও পেটে ব্যথার প্রতিকােরও ব্যবহার হয় । ছালও রেচক বলে যৌনব্যাধি-গ্রস্ত ঘায়েও ব্যবহৃত হয়। এর ফুলগুলিকে জল বা রসে সিদ্ধ করে সালাদ তৈরি করে ব্যবহার করা যায় অন্ত্রের গতিবিধি, প্রস্রাবের প্রবাহ এবং গ্যাস এবং কফ নিয়ন্ত্রণের জন্য । ফুলগুলি হাঁপানির চিকিত্সায়ও উপাদেয় ।[১১]
হাওয়াইয়ান দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই দ্বীপে, P. rubra চাষ করা হয় গলার মালা ( লেই ) তৈরি করার জন্য ।[১৩] অন্যদিকে, হাওয়াই -এর অন্তর্ভুক্ত অনেক প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপে সুগন্ধি তেল তৈরিতেও ফুল ব্যবহৃত হয় ।[৪] আবার নারকেল তেলের সুগন্ধে ব্যবহার করা হয় । বাকলে হালকা বেগুনি লাইন থাকে এবং কাঠটি শক্ত তবে খুব সুন্দর নিবিড় বুননিযুক্ত । কাঠের পলিশও উঁচু মানের হতে হয় ।[১২]