লাল পাহাড়ের কথা | |
---|---|
পরিচালক | রেমো ডি'সুজা |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | রেমো ডি'সুজা |
চিত্রনাট্যকার |
|
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | মধু মুখ্যার্জি |
চিত্রগ্রাহক | শৌমিক হালদার |
সম্পাদক | রাজীব দত্ত |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪৫ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹ ১.৫ কোটি (#নির্মাণ) |
লাল পাহাড়ের কথা (ইংরেজি: A Story Of The Red Hills) ২০০৭ সালের ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভারতীয় নৃত্য নির্দেশক রেমো ডি'সুজার ছায়াছবি পরিচালনার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটি জেএমজে এন্টারটেইনমেন্ট ও ডিএনজি মুভিজের ব্যানারে বিমল অবেরয় এবং লিজেল ডি'সুজা'র প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছিল। রেমো ডি'সুজার গল্প অবলম্বনে ধ্রুব ব্যানার্জি ও শুভেন্দু দাসমুন্সি এটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। চলচ্চিত্রটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী 'ছাও' নামক উপজাতীয় নৃত্য নিয়ে নির্মিত। মিঠুন চক্রবর্তী, শংকর চক্রবর্তী, মৌমিতা গুপ্ত, আলি কাইয়ুম, শংকর দেবনাথ ও বিদিপ্তা চক্রবর্তী চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।[১][২] ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রথম প্রদর্শিত হয়।
মনোহর (মিঠুন চক্রবর্তী) একজন গুণী এবং সমাদৃত ছাও নৃত্যশিল্পী। মনোহরের নাচ অভিনয়গুণে মুগ্ধ হয় মালতি (মৌমিতা গুপ্ত)। মনোহরের প্রেমে পড়ে মালতি। মনোহর নাচ করতে সফরে চলে যায়। এসময় শিবের (শংকর চক্রবর্তী) সাথে জোর করে মালতিকে বিয়ে দেয়া হয়। শিব আর মলতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় তাদের ছেলে ফেলাই (আলি কাইয়ুম)। ফেলাই জন্ম হতে শারীরিক প্রতিবন্ধী। ফেলাইয়ের প্রতিবন্ধকতা শিব সহ্য করে না। একজন প্রতিবন্ধীর বাবা হওয়ায় হীনমন্যতায় ভোগে শিব। নিজের ,মানুষিক দৈনতা ঘোচাতে ফেলাইকে খুন করতে চায় শিব। মনোহর ফেলাইকে শিবের হাত থেকে বাঁচায়। ফেলাই বড় হতে থাকে মনোহরের সাথে। ফেলাইকে সাথে নিয়ে মনোহর তার জীবনের নতুনত্ব খুঁজেন।
লাল পাহাড়ের কথা চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীদের তালিকা (ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট হতে অভিযোজিত)[১]-
এছাড়াও, শংকর দেবনাথ, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, দিয়া, পায়েলি, শঙ্খনীল, রিমঝিম ও কমল চক্রবর্তী উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
রেমো ডি'সুজা নিজের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা হতে লাল পাহাড়ের কথা চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী শিশুকে নাচ শেখানোর সময় রেমো এই চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারণা পান। তিনি বাঙালি নন, পশ্চিমবঙ্গের পটভূমিতে চলচ্চিত্রনির্মাণের জন্য তিনি ধ্রুব ব্যানার্জি ও শুভেন্দু দাসমুন্সি'র সাথে যৌথভাবে চিত্রনাট্য তৈরী করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি নির্মাণে ২০০৭ সালে ১.৫ কোটি ভারতীয় রূপি ব্যয় হয়েছিল।[২]
লাল পাহাড়ের কথা ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। ভারতীয় চলচ্চিত্র হলেও পরিবেশকের অনিহায় চলচ্চিত্রটি ভারতে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দেওয়া যায়নি। পরিচালক রেমো ডি'সুজর ভাষ্য অনুযায়ী, "আমি ছাউ নৃত্যের উপর ভিত্তি করে আমার প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র তৈরি করেছি - একটি প্রচলিত ভারতীয় উপজাতীয় শিল্পরূপ, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ইত্যাদির মতো দেশে এটির জন্য অনেক প্রশংসা অর্জন করেছি, তবে ভারতে, কেউই এই ছবিটি মুক্তি দেয়নি কারণ কেউই ভারতীয় ধ্রুপদী সংস্কৃতি দেখতে চায় না"।[২]