সংক্ষেপে | লালজসেক |
---|---|
নীতিবাক্য | "The world's leaders in high-quality entertainment at your expense", "Laughing at your security since 2011" |
গঠিত | মে ২০১১ |
ধরন | হ্যাকিং |
সদস্যপদ | ১১ |
নেতা | রাউই |
সম্পৃক্ত সংগঠন | অ্যানোনিমাস, লালজরেফ্ট, অপারেশেন এন্টিসেক |
স্বেচ্ছাকর্মী | ৭ |
ওয়েবসাইট | Portal.LulzSec.com |
লালজ সিকিউরিটি (সংক্ষেপে লালজসেক নামেও পরিচিত) একটি কম্পিউটার হ্যাকটিভিস্ট দল যারা অনেকগুলো গুরুত্তপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের সাথে জড়িত ছিল।[১] এই হ্যাকার দলটি ২০১১ সালে সনির প্লে-স্টেশন হ্যাক করে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিল এবং সিআইএর ওয়েবসাইট হ্যাক করে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল।[২] কিছু কিছু সিকিউরিটি প্রফেশনাল লালজসেককে ওয়েবসাইট সিকিউরিটি সিস্টেম নষ্ট করে দেয়া ও বিপদজ্জনক পাসওয়ার্ড পূনব্যবহারের জন্য দোষী সাবস্থ করে থাকে।[৩] এছাড়া লালজ সিকিউরিটি বিশ্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে। লালজসেকের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা যিনি অনলাইনে “সাবো” নামে পরিচিত তিনি এফবিআইএর সাথে এক চুক্তির অওতায় এই হ্যাটিভিস্ট দলের কিছু সদস্যকে গ্রেফতারে সহয়তা করেছিলেন। ২০১২ সালের মার্চে লালজসেকের সাথে জড়িত কমপক্ষে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষও দুজন কিশোরকে গ্রেফতারের কথা জনিয়েছিল।
২৬ জুন ২০১১ এ মধ্যরাতের (BST, UT+01) পর লালজসেক হঠাৎ করেই তাদের টুইটার একাউন্টে ঘোষণা দেয় তারা অফিসিয়ালি হ্যাকিং করা বন্ধ করে দেবে।[৪] এই বার্তার সাথে তার তাদের “লালজসেকের ৫০ দিন” নামে একটি স্টেটমেন্ট দেয় এবং দাবী করা হয় লালজ সিকিউরিটির সদস্য সংখ্যা ৭ জন।[১] এরসাথে তারা বিভিন্ন হ্যাক করা ওয়েবসাইটের ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড প্রকাশ করে দেয়। এই ঘোষণার পর ১৮ জুলাই তারা পুনরায় নিউজ কর্পোরেশনের একটি পত্রিকায় সাইবার হামলা করে রাপার্ট মার্ডকের মৃত্যু সম্পর্কে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। এছাড়া তারা অ্যানোনিমাস ও অন্য হ্যাকারদের সাথে মিলে “অপারেশন এন্টিসেক” চালু করতেও সাহায্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মতে, লালজসেকের ছয় জন সদস্য পূর্বে অপর একটি হ্যাকার সংগঠন অ্যানোনিমাসের শাখা “ইন্টারনেট ফেডস” এর সদস্য ছিল। তারা এই গ্রুপের নামে তারা আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল “ফাইন গ্যাইল”, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান “এইসবিগ্যারে” ও ফক্স ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনে সাইবার হামলা চালায়। তার এইসবিগ্যারেরে ওয়েবসাইট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে সক্ষম হয়। এই হ্যাকিং এর জন্য তারা পরিচিতি লাভ করলে ২০১১ সালের মে মাসে “ইন্টারনেট ফেডসের” এই ছয় সদস্য মিলে গঠন করেন “লালজ সিকিউরিটি”।[৫]