লালেলি মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
প্রদেশ | ইস্তাম্বুল |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইস্তাম্বুল, তুরস্ক |
পৌরসভা | ফেতিহ |
দেশ | তুরস্ক |
এটি ইস্তাম্বুলের ফেতিহ পৌরসভায় অবস্থিত | |
স্থানাঙ্ক | ৪১°০০′৩৬″ উত্তর ২৮°৫৭′২৪″ পূর্ব / ৪১.০১০০০° উত্তর ২৮.৯৫৬৬৭° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | মেহমেত তাহির আগা |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | বারোক |
ভূমি খনন | ১৭৬০ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৭৮৩ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ২৪.৫ মিটার (৮০ ফুট) |
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে) | ১২.৫ মিটার (৪১ ফুট) |
মিনার | ২ |
উপাদানসমূহ | গ্রানাইট, পাথর |
লালেলি মসজিদ মসজিদ (তুর্কি: Laleli Camii, or Tulip Mosque) তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ফাতিহের লালেলি শহরে অবস্থিত ১৮শ শতকের উসমানীয় সাম্রাজ্যের মসজিদ।[১] স্থপতি মেহমেত তাহির আগা মসজিদটির নকশা করেন। মসজিদের নামজঘরের পাশাপাশি একটি মাদ্রাসা, ঝর্ণা এবং সুলতান তৃতীয় মুস্তফার সমাধি রয়েছে। মসজিদটি ১১৭৬ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরে ১৭৮৩ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়।[২] মসজিদে অষ্টভুজ আকৃতির একটি গম্বুজ আছে।
লালেলি মসজিদটি সুলতান তৃতীয় মোস্তফা দ্বারা ১৭৬০-৬৩ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। উসমানীয় সম্রাজ্যের স্থপতি মেহমেত তাহির আগা[২] বারোক ধাঁচে মসজিদটি নকশা করেছেন।[৩]
মসজিদ ভবন ১৭৮৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় এবং অবিলম্বে পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৯১১ সালে অগ্নিকাণ্ডের ফলে মসজিদের মাদ্রাসা ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সড়ক নির্মাণকাজে মসজিদটির অন্যান্য অনেক সহায়ক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মসজিদটি একটি একটি বহুতল বিশিষ্ট ভবন। ভবনের নিচের দিকে খিলানযুক্ত দোকান আছে। যেগুলোর ভাড়া মসজিদকে আর্থিক সহায়তার উদ্দেশ্যে করা হয়। মাঝখানে একটি ঝর্ণা সহ আটটি বিশাল স্তম্ভের সহায়তায় মসজিদের কাঠামোর নিচে একটি বিশাল মিলনায়তন আছে।[৪]
মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব অক্ষ বরাবর অবস্থিত এবং এটির উত্তর-পশ্চিমে নামাজঘরের দ্বিগুণ আকারের আয়তকার উঠান আছে।[২] এই উঠানটিতে ধারাবাহিকভাবে আঠারো গম্বুজসহ তোরণ এবং মাঝখানে একটি অযু ঝর্ণা আছে। মসজিদের গম্বুজকে সহায়তা করার জন্য অষ্টভুজ আকৃতির ইট গাঁথুনি এবং কলামের সমন্বয়ে একটি ভিত্তি রয়েছে।[২] উঠোনের প্রবেশপথের উভয়পার্শ্বের বারান্দার শেষপ্রান্তে দুটি মিনার রয়েছে।
লালেলি মসজিদের পশ্চিম প্রান্তের গ্যালারীতে একটি আয়তক্ষেত্রের অভ্যন্তরে একটি অষ্টভুজ আকৃতির শিলালিপি রয়েছে। দেয়ালগুলো বিচিত্র রঙের পাথরগুলোর মধ্যে লাল, নীল, হলুদ এবং বাদামী রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। ওপাস সেক্টাইল শিল্প কৌশলে বিভিন্ন পদক এছাড়াও মূল্যবান মনি-মুক্তা দ্বারা দেয়ালগুলো সজ্জিত করা হয়েছে। মিহরাব এবং মিম্বর একইভাবে মূল্যবান পাথর দ্বারা গঠন করা হয়েছে। সাদা এবং স্বচ্ছ রংমিশ্রিত কাঁচের সংমিশ্রণে অসংখ্য জানালা থাকায় অভ্যন্তরভাগ প্রচুর আলোবাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
গম্বুজটি ১২.৫০ মিটার (৪১.০ ফুট) ব্যাস এবং ২৪.৫০ মিটার (৮০.৪ ফুট) উচ্চতা বিশিষ্ট অষ্টভুজ আকৃতির।[২] কোনার খিলানগুলিতে অর্ধ-গম্বুজাকার এবং বৃহত্তম অর্ধ-গম্বুজগুলি মিহরাবের উপরে খিলানগুলো এবং মাঝের খিলানটিকে যুক্তকরে রয়েছে।
লালেলি মসজিদের বেশিরভাগকুলিয়ে স্থাপত্য কাঠামো কয়েক বছরের ব্যবধানে অদৃশ্য হয়ে গেছে, তবে ওড়ু সড়কের মুখোমুখি অষ্টভুজাকার গম্বুজটি রয়েছে। এতে তৃতীয় মুস্তফা, তাঁর স্ত্রী মিহরিসাহ সুলতান, পুত্র তৃতীয় সেলিম এবং কন্যা হিবেতুল্লাহ এবং ফাতেমা সুলতান এবং মিহরিমা সুলতানের সমাধি রয়েছে।[২] অভ্যন্তরে ইজনিক টাইলস দিয়ে সজ্জিত এবং সারিবদ্ধ লিপিবিদ্যা উপরের দেয়ালকে ঘিরে রেখেছে।
১৯২২ সালে তাইয়ার ভবনগুলো নির্মিত হয়। মসজিদের পাশে অবস্থিত মসজিদের অন্তর্ভুক্ত কোসকা মাদ্রাসা ১৯১১ সালের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়। পরে এই ভবনটিকে পাঁচতারা হোটেলে রূপান্তর করা হয়।