লিওনেল ব্যারিমোর | |
---|---|
Lionel Barrymore | |
জন্ম | লিওনেল হার্বার্ট ব্লাইদ ২৮ এপ্রিল ১৮৭৮ |
মৃত্যু | ১৫ নভেম্বর ১৯৫৪ ভান নুইস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৬)
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৮৯৩-১৯৫৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডোরিস র্যানকিন (বি. ১৯০৪; বিচ্ছেদ. ১৯২২) আইরিন ফেনউইক (বি. ১৯২৩; মৃ. ১৯৩৬) |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা | মরিস ব্যারিমোর (পিতা) জর্জিয়ানা ড্রিউ (মাতা) |
আত্মীয় | ব্যারিমোর পরিবার |
লিওনেল ব্যারিমোর (ইংরেজি: Lionel Barrymore; জন্ম: লিওনেল হার্বার্ট ব্লাইদ,[১] ২৮ এপ্রিল ১৮৭৮ - ১৫ নভেম্বর ১৯৫৪)[২] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।[৩] তিনি মঞ্চ, পর্দা ও বেতারে অভিনয় করেছেন। তিনি আ ফ্রি সোল (১৯৩১) চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রার ১৯৪৬ সালের ইট্স আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ চলচ্চিত্রে মিস্টার পটার ভূমিকায় খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য আধুনিক দর্শকদের কাছে পরিচিত।
তিনি তার কর্মজীবনের শেষ দুই দশক বার্ষিক বেতার অনুষ্ঠান আ ক্রিসমাস ক্যারল-এ এবেনেজার স্কুজ চরিত্রে কাজ করেন। তিনি ডক্টর কিলডের চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের নয়টি চলচ্চিত্রে ডক্টর লিওনার্ড গিলেস্পি চরিত্রে, গিলেস্পিকে কেন্দ্র করে নির্মিত আরও ছয়টি চলচ্চিত্রে একই চরিত্রে অভিনয় করেন এবং বেতার ধারাবাহিক দ্য স্টোরি অব ডক্টর কিলডের-এ কণ্ঠ দেন। তিনি ব্যারিমোর পরিবারের একজন অন্যতম সদস্য।
ব্যারিমোর ১৯০৯ সালে বায়োগ্রাফ স্টুডিওজে যোগদান করেন এবং ১৯১১ সালে ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ পরিচালিত চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি দ্য ব্যাটল (১৯১১), দ্য নিউ ইয়র্ক হ্যাট (১৯১২), ফ্রেন্ডস ও থ্রি ফ্রেন্ডস (১৯১৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯১৫ সালে তিনি লিলিয়ান রাসেলের বিপরীতে ওয়াইল্ডফায়ার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বায়োগ্রাফের চলচ্চিত্রে লেখনী ও পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেন। তার পরিচালিত শেষ নির্বাক চলচ্চিত্র হল লাইফ্স হুয়ার্পুল (১৯১৭), এতে তার বোন ইথেল ব্যারিমোর শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছিলেন। তিনি গ্রিফিথের ষাটটির অধিক নির্বাক চলচ্চিত্রে কাজ করেন।[৪][৫]
১৯২০ সালে ব্যারিমোর দ্য কপারহেড মঞ্চনাটকে তার অভিনয় করা চরিত্রে এর চলচ্চিত্ররূপে অভিনয় করেন।[৪] একই বছর তিনি দ্য মাস্টার মাইন্ড (১৯২০)-এ জিপসি ওব্রায়ানের সাথে অভিনয় করেন। ১৯২৪ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে মেট্রো পিকচার্সে লুইস বি. মেয়ারের সাথে ব্যারিমোরের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি মেট্রো পিকচার্সে কয়েকটি নির্বাক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে কিছু সংরক্ষিত রয়েছে ও বাকিগুলো হারিয়ে গেছে। ১৯২৩ সালে ব্যারিমোর ও ফেনউইক দি ইটার্নাল সিটি চলচ্চিত্রের চিত্রায়নের জন্য ইতালির রোমে যান, পাশাপাশি তারা তাদের মধুচন্দ্রিমাও সম্পন্ন করেন।
১৯২৪ সালে তিনি গ্রিফিথের আমেরিকা চলচ্চিত্রে কাজ করেন। একই বছর তিনি ব্রিটিশ প্রযোজক-পরিচালক হার্বার্ট উইলকক্সের ইঙ্গ-জার্মান যৌথ প্রযোজনার ডেকামেরোন নাইটস চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে জার্মানি যান। ছবিটি বার্লিনের বাইরে ইউএফএ’র বাবেলসবের্গ স্টুডিওজে চিত্রায়িত হয়। ১৯২৫ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক ছেড়ে হলিউডে যান। সেখানে তিনি অঁরি দায়ামান-বের্গার নাট্যধর্মী ফিফটি ফিফটি (১৯২৫) চলচ্চিত্রে হোপ হ্যাম্পটন ও লুইস গ্লোমের বিপরীতে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে চ্যাডউইক পিকচার্সের দ্য বেলস (১৯২৬)।
ব্যারিমোর গ্লোরিয়া সোয়ানসনের বিপরীতে ১৯২৮ সালের স্যাডি টমসন চলচ্চিত্রে এবং গ্রিফিথের ড্রামস্ অব লাভ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। ১৯২৯ সালে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনায় ফিরে আসেন এবং বিতর্কিত হিজ গ্লোরিয়াস নাইট চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তিনি প্রথম পরিচালক, যিনি মাইক্রোফোন ব্যবহার করেন।[৩] ব্যারিমোর ১৯৩১ সালে ক্যামেরার সামনে অভিনয়ে ফিরে আসেন এবং আ ফ্রি সোল (১৯৩১) চলচ্চিত্রে মদ্যপ আইনজীবী চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি তার ভাইবোন জন ও ইথেলের সাথে রাসপুতিন অ্যান্ড দি এমপ্রেস (১৯৩২)-এ খল চরিত্র রাসপুতিনের ভূমিকায়[৩] এবং ডিনার অ্যাট এইট (১৯৩৩)-এ অলিভার জর্ডান চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ধ্রুপদী ভীতিপ্রদ মার্ক অব দ্য ভ্যাম্পায়ার-এ প্রফেসর জিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৩০ ও ১৯৪০-এর দশকে তার অন্যান্য কাজগুলো হল দ্য মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড (১৯২৯), গ্র্যান্ড হোটেল (১৯৩২), ক্যাপ্টেন্স কারেজিয়াস (১৯৩৭), ইউ ক্যান্ট টেক ইট উইথ ইউ (১৯৩৮), অন বরোড টাইম (১৯৩৯), ডুয়েল ইন দ্য সান (১৯৪৬), থ্রি ওয়াইজ ফুলস (১৯৪৬), এবং কি লার্গো (১৯৪৮)।
তার একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হল জেমস স্টুয়ার্টের সাথে ক্রিসমাস নাট্যধর্মী ইট্স আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ (১৯৪৬) চলচ্চিত্রে দুঃখ ভারাক্রান্ত ব্যাংকার মিস্টার পটার। তিনি ১৯৫২ সালে ক্লার্ক গেবলের সাথে পশ্চিমা ধাঁচের লোন স্টার চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র হল মেইন স্ট্রিট টু ব্রডওয়ে, এমজিএমের সঙ্গীতধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রটি ১৯৫৩ সালে মুক্তি পায় এবং এতে তার বোন ইথেলও অভিনয় করেন।