![]() | |
কর্মীবৃন্দ | |
---|---|
অধিনায়ক | ![]() |
কোচ | ![]() |
দলের তথ্য | |
রং | মেরুন সোনালী |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮০ |
স্বাগতিক মাঠ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
ইতিহাস | |
চারদিনের জয় | ১ (যৌথভাবে অতিরিক্ত ১টি) |
ডব্লিউআইসিবি কাপ জয় | ৫ (যৌথভাবে অতিরিক্ত ২টি) |
টুয়েন্টি২০ জয় | ০ |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | Leeward Islands |
লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Leeward Islands cricket team) ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের আঞ্চলিক সংস্থা লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যতম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল। উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস, এন্টিগুয়া ও বারবুদা, সেন্ট কিটস, নেভিস, অ্যাঙ্গুইলিয়া, মন্টসেরাট, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডস[২] ও সিন্ট মার্টেনের[৩] ন্যায় লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসও লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। দলটি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলেও ১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে এন্টিগুয়া ও বারবুদা অংশ নিয়েছিল। তবে, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত আন্তঃআঞ্চলিক প্রতিযোগিতা যেমন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রফেসনাল ক্রিকেট লীগের অধীনে রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন ও নাগিকো রিজিওন্যাল সুপার৫০ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। দলের সেরা খেলোয়াড়গণকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রফেসনাল ক্রিকেট লীগে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল হিসেবে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস হারিক্যান্স নামে অংশ নেয়।[৪] ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস দশবার শিরোপা জয় করেছে। তন্মধ্যে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে চারবার ও একদিনের ক্রিকেটে ছয়বার শিরোপা ঘরে তুলেছে। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে সর্বশেষ শিরোপা জয় করে দলটি। এ পর্যায়ে তারা গায়ানার সাথে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যৌথভাবে শিরোপা জয়ের ফলে ডাবল লাভ করে।
১৯৫৮ সালে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়। ঐ খেলায় দলটি জ্যামাইকার কাছে ইনিংস ও ১৯ রানে পরাভূত হয়। তবে, ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমের পূর্বে তার কোন জয় পায়নি। এ পর্যায়ে তারা ওয়ার্নার পার্ক স্পোর্টিং কমপ্লেক্স গ্রাউন্ডে গায়ানার মুখোমুখি হয়। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৪৩ রানের জয় পায় তারা। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে ১৯৮০-৮১ মৌসুম পর্যন্ত কম্বাইন্ড আইল্যান্ডসের সাথে যৌথভাবে খেলে। পাশাপাশি উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস থেকেও তারা সেরা খেলোয়াড়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করে। তবে, ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম থেকে নিয়মিতভাবে একদিনের খেলা চালু হলে দ্বীপগুলো পৃথকভাবে অংশ নেয়। এ পর্যায়ে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস তৃতীয় প্রচেষ্টায় শিরোপা জয় করে।
১৯৮১-৮২ মৌসুমে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস শেল শীল্ডে প্রথম অংশ নেয়। উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে তারা ৫৭ রানে জয়ী হয়। ঐ মৌসুম শেষে কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস শিরোপা জয়ী হয়েছিল। আট মৌসুম বাদে প্রথম-শ্রেণীর শিরোপা জয় করে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস। এ পর্যায়ে শিরোপার নাম রাখা হয়েছিল রেড স্ট্রাইপ কাপ। ১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস পাঁচবার প্রথম-শ্রেণীর ও চারবার একদিনের শিরোপা পেলেও তারপর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বড় ধরনের আসরের কোন শিরোপা জয় করতে পারেনি। তন্মধ্যে, উভয় স্তরের ক্রিকেটেই একবার করে যৌথভাবে শিরোপা জয় করেছিল দলটি।
লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়ের তালিকা নিম্নরূপ:
লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস দ্বীপের সর্বত্রই ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয়। তবে, টেস্ট ক্রিকেট খেলার উপযোগী এন্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডেই তারা বেশি খেলায় অংশ নিয়েছে। এ মাঠে আয়োজক দল হিসেবে ৫০টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছে। তবে, ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে ঐ মাঠে সর্বশেষ খেলে। এছাড়াও, সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ২৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছে। এ মাঠেই ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলা আয়োজন করা হয়েছিল। ২০০৪-০৫ মৌসুমে মন্টসেরাটের সালেম ওভাল, সেন্ট কিটসের এডগার গিলবার্ট স্পোর্টিং কমপ্লেক্স, সিন্ট মার্টেনের ক্যারিব লাম্বার বল পার্ক, সেন্ট টমাসের অ্যাডেলিটা ক্যানক্রিন জুনিয়র হাই স্কুল গ্রাউন্ড ও নেভিসের এলকুমেদো উইলেট পার্কে তাদের নিজেদের খেলাগুলো আয়োজন করেছে।