ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লিজেল লি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আর্মেলো, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২ এপ্রিল ১৯৯২||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৩) | ১৬ নভেম্বর ২০১৪ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৭) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ বনাম বাংলাদেশ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১২ জানুয়ারি ২০১৭ বনাম বাংলাদেশ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৬৭ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৩৫) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ বনাম বাংলাদেশ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২২ মার্চ ২০১৫ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এমপুমালাঙ্গা মহিলা দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নর্থ ওয়েস্ট মহিলা দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১২ মে ২০১৭ |
লিজেল লি (ইংরেজি: Lizelle Lee; জন্ম: ২ এপ্রিল, ১৯৯২) আর্মেলো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান প্রমিলা ক্রিকেটার।[১] দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে এমপুমালাঙ্গা, নর্থ ওয়েস্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকা উদীয়মান খেলোয়াড় একাদশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করে থাকেন। ২০১৩ সালের শেষদিকে জাতীয় দলের সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও দলের অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
হার্ড-হিটিং ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করে থাকেন। শুরুতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতেন। পরবর্তীতে মাঝারি সারিতে ব্যাটিংয়ে নামতে থাকেন। হাই স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর নর্থ ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাদেশিক প্রতিযোগিতাসমূহে নর্থ ওয়েস্টের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানেই তার ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটে। প্রাদেশিক টি২০ খেলায় এমপুমালাঙ্গার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ বলে অপরাজিত ১৬৯* রান তুলে তার ব্যাটিং প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
২১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর থেকে দ্রুতলয়ে খেলায় অংশ নিতে থাকেন। এগারোটি অর্ধ-শতকের সন্ধান পান। এছাড়াও সকল স্তরের ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ২৫-এর ওপরে।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে উত্তরাঞ্চলীয় নর্থ-ওয়েস্ট প্রভিন্সের পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রথমবারের মতো খেলেন। ৯ মার্চ, ২০১৬ তারিখে সিরিজের তৃতীয় টি২০ খেলায় স্বল্প সংগ্রহের প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। কেপটাউনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে চার রানে জয়ের পাশাপাশি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। এতে তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৩ রান তোলেন।[২]
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গটেং প্রদেশের বেনোনি শহরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেক হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে পাঁচ উইকেটে জয় পায় তার দল। সারাহ টেইলরের শততম ওডিআইয়ের দিনে লি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান তুলেন। এছাড়াও তৃষা ছেত্তি (৬৬) ও ওল্ফভার্ট (৫৫) দলের জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন ও ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতা আনেন। তবে আইসিসি মহিলাদের চ্যাম্পিয়নশীপের ঐ খেলায় টেলর ২ বল মোকাবেলা করে শূন্যরানে আউট হন। মারিজান কাপের সাথে ১৪ ওভারে ১১২ রান তোলেন। দলকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে মাত্র দুই রান বাকী থাকতে ড্যানিয়েল ওয়াটের কটে পরিণত হন।[৩]
জানুয়ারি, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরে ৫ ওডিআইয়ের সমন্বয়ে গড়া সিরিজে খেলার জন্য দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।[৪] ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ওডিআইয়ে ৭১ বলে ৮৭ রান তুলে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮৬ রানের জয় এনে দেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২৩ মার্চ, ২০১৪ তারিখে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত মহিলাদের বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করেন। অল-রাউন্ডার ডেন ফন নাইকার্কের (৯০*) সাথে উদ্বোধনী জুটিতে অপরাজিত থাকা অবস্থায় ১৬৩ রান তুলে মহিলাদের আন্তর্জাতিক টি২০-এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েন।[৫] এ সময় নাইকার্কের সাথে মহিলাদের টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৬৩ রানের জুটি করেছিলেন।[৬][৭]
১৬ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে মহীশূরের গঙ্গোত্রী গ্লেডস ক্রিকেট মাঠে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ঐ খেলায় রাজেশ্বরী গায়কওয়াড়, পুণম যাদব, এস বর্মা, এম দু প্রিজ, ওয়াই ফোরি, মারিজান কাপ, লিজেল লি, এনএ মুডলে, এপি থাবেথে, ক্লো ট্রায়ন ও ডেন ফন নাইকার্কের একযোগে অভিষেক ঘটে। তবে তার অভিষেক পর্বটি সুখকর হয়নি। ব্যাটহাতে উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৪ ও ২ রান তোলেন। খেলায় তার দল শোচনীয়ভাবে ইনিংস ও ৩৪ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
ইংল্যান্ডের অ্যানিয়া শ্রাবসোলের সাথে সুগভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার। ২০১৫ সালের গ্রীষ্মকালে ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। মহিলাদের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে সমারসেট দলের সদস্যরূপে ও সাউদার্ন প্রিমিয়ার লিগে বাথের সদস্য হিসেবে শ্রাবসোলের সাথে একত্রে খেলেন। তন্মধ্যে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ডেভনের বিপক্ষে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রিমিয়ার লিগে বাথের পক্ষে ৮০-এর অধিক গড়ে রান তুলেছিলেন।